চালে শকুন
অজল জালাল
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ জুন,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:২৬ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
মনে চাই কাব্য করি।
কি নিয়ে করিব কাব্য
মাথায় যে থাকেনা
শুধু আসে আর যায়।
লেজ ধরে টানি তবু-
মাথার খোঁজ নাই
ধড়সহ উধাও যে
বেগম পাড়ায়।
ওরা সাজিয়েছে ঘর
দিয়ে সোনার মোহর
পিতা পতিসর দিয়েছে ওদের
উজাড় করিয়া প্রান।
পলিমাটি ধোয়া বাংলার ঘরে
পরম্পরার শিকড় বাকড়-
ওরা সর্ব শক্তিমান।
পিতা ঘোষকের সুবচন লয়ে
বাংলা যখন আহাজারি করে
ওরা কব্জি ডুবিয়ে নিশিভোজ করে
স্বজন হওয়ার সুবাস ছড়িয়ে-
আত্মীয়তার মধুর টানে।
বাজেনা তখন বিবেকের বাঁশি
উবে যায় যত চেতনার সুর।
ঘরের চালেতে শকুন বসেছে
উটকো গন্ধে নাকে নাই বাস
এ মাটির আঁশে পেয়েছে সুবাস
বাংলা তাদের তালুকের খাস।
তবুও বাঙালী ছাড়তে নারাজ
পিতা ঘোষকের সুমহান শ্বাস
বাঙালীর চালে শকুনের বাস।
ওঠ বাঙালী শপথের তরে
তুলিয়া মুষ্টি হাত
তর্জনী উঁচানো পিতার কথা
মার্চের সাত ভাষনের গাঁথা
ঘোষনা পাঠের নব উদ্যোগে
পরম্পরার লেহ্য ভোগীদের
সরাইয়া কর হে সাফ।
বাংলা আবার মুজিবের হোক
নব জীবনের মাজন লাগিয়ে
মুষ্টিবদ্ধ একতার সুরে
জাগিয়া উঠুক প্রাণ।
বাঙালী উঠানে ধ্রুবতারাসম
মুজিব নামের সোনার তরীতে
গাও জীবনের গান।
তবুও বাঙালী শোন দিয়া মন
নেতা পিতা তুমি যাইবা বল
ঘোষনা পাঠের সিপাহশালারে
মুখ ফিরাইবা কেমনে তারে
রনাঙ্গনের বীর সিপাহী
কোটি জনতার আপন সে জন
গাহে বাংলাদেশের গান।
এস সবে আজ, বস গোল হয়ে
বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা
কাঁধে কাঁধ রেখে মুষ্টি উঁচিয়ে
ধর শপথের গান -
ঘরের চালের শকুন তাড়াতে
ঈশান কোনের অশনি সরাতে
গাও বিজয়ের গান।