বিদ্যালয়ের ছাদে সংসার পেতেছেন প্রধান শিক্ষক!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:৫৬ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
এবার নরসিংদীর মনোহরদীতে বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন প্রধান শিক্ষক। এতে শিক্ষার পরিবেশ যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি বিব্রতবোধ করছে বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরা। উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের এইচ. কে বিপুল স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, প্রধান শিক্ষকের বাড়ি কাপাসিয়া উপজেলায়। বিদ্যালয় থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরত্ব। তবুও তিনি দীর্ঘদিন শ্রেণীকক্ষ দখল করে বসবাস করে আসছেন। বিদ্যালয় ছুটি হলে সব শিক্ষক বাড়ি ফিরলেও তিনি ফিরেন না। রান্নাবান্না, গোসল, বারান্দায় কাপড় শুকাতে দেওয়াসহ গৃহস্থালি পরিবেশ তৈরি করে বিদ্যালয়কে রীতিমতো বাড়িঘরে রূপ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয় চলাকালীন সময়েও তিনি থাকেন সেই কক্ষে। তার এমন কর্মকাণ্ডে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিব্রত হচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের প্রধান শিক্ষক স্কুলেই থাকেন। প্রায়ই বারান্দায় ও ছাদে স্যারের স্ত্রী ও সন্তানকে দেখা যায়। ছাদে সবসময় কাপড়-চোপড় শুকানোর জন্য টাঙানো থাকে। স্কুলে স্যারের বসবাস করা আমাদের জন্য বিব্রতকর।
মো. বাসির উদ্দিন নামে এক অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের জন্য কোনো বাসভবন নেই। তিনি শ্রেণীকক্ষ দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। এতে বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে ও শিক্ষার পরিবেশকে ব্যাহত হচ্ছে। বাড়িতে যেতে না চাইলে বিদ্যালয়ের আশেপাশে তিনি বাসা ভাড়া নিতে পারতেন। অভিভাবকরা এ ব্যাপারে আপত্তি জানালেও তার কাছে বিষয়টি স্বাভাবিক মনে হচ্ছে।
অভিভাবকরা জানান, প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন বাসা ভাড়া না নিয়ে স্কুলকে নিজের বসতবাড়ি বানিয়েছেন। তার কারণে একটি কক্ষ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাছাড়া বিভিন্ন ফির নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. আক্তার হোসেন বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আমি এখানে বসবাস করি। আমার এখানে থাকার বৈধতা রয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. কাউসার বলেন, বিদ্যালয়ের স্বার্থে প্রধান শিক্ষককে সেখানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কি স্বার্থ তা তিনি বলেননি। মনোহরদী নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।