হল ছাড়ার নির্দেশ: ভোগান্তিতে কুয়েট শিক্ষার্থীরা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:০২ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদ সুমনের বাড়ি নাটোরে। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টা মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ পাওয়ার পর বাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিটের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু পাননি।
খুলনায় থাকার মতো কোনো জায়গা নেই তার। হাতে তেমন টাকাও নেই। তিনি বলেন, 'হঠাৎ করে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ায় এমন বিপাকে পড়েছি। এক আত্মীয়ের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা নিয়েছি। বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছি এখন।'
শুধু রাশেদ সুমনই নন, ৪টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ পেয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কুয়েটে পড়তে আসা অনেক শিক্ষার্থী ভোগান্তিতে পড়েছেন। দুপুর ২টার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা হল থেকে বের হতে শুরু করেন।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, 'আমার বাড়ি রাজশাহীর তানোরে। অনেক চেষ্টা করেও বাড়ি যাওয়ার টিকিট জোগাড় করতে পারিনি। খুলনার দৌলতপুরে এক আত্মীয়ের বাসায় রাতটা থাকার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। আগামীকাল টিকিটের ব্যবস্থা করে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করব।'
লায়লা সিদ্দিকা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, 'আমার আর আমার বান্ধবীর বাড়ি পিরোজপুর। বাড়িতে পৌঁছাতে রাত হয়ে যাবে। সেই দুশ্চিন্তা তো আছেই। তার ওপর ১৩ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় আসলেই খুলবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কিত আমরা। করোনার কারণে এমনিতেই আমাদের পড়াশোনা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'