মেসের সিটে ওঠা নিয়ে ইবি শিক্ষার্থীদের মারামারি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১২:২৫ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
মেসের সিটে ওঠাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল সংলগ্ন ত্রিবেণী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি জানার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বিষয়টি শৈলকুপা থানায় জানিয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ত্রিবেণী এলাকার একটি মেসে বন্ধুসহ অবস্থান করছিল বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ধ্রুব। চলতি মাসে সে মেসের রুমটি ছেড়ে দেয়। কিন্তু চলতি মাসের ভাড়া পরিশোধ করায় বদলি হিসেবে নিজের দুই বন্ধুকে রুমে থাকতে বলে। ধ্রুবর দুই সহপাঠী মার্কেটিং বিভাগের হাফিজ ও ফিন্যান্স বিভাগের সাকিব রুমটি পুনরায় ভাড়া নেওয়ার জন্য মেস মালিককে অবহিত করে। এ সময় মেস মালিক রুমটি ভাড়া দেবে বলে আশ্বাস দেয়।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে মেস মালিক এরশাদ বলেন, ‘আমি রুমটি আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সেলিমের মাধ্যমে অন্য আরেক শিক্ষার্থীকে ভাড়া দিয়েছি। আজ সেলিমের সহপাঠী মামুন রুমের সিটে উঠতে গেলে হাফিজ ও সাকিবের সঙ্গে বাক বিতণ্ডার শুরু হয়। একপর্যায়ে হাফিজ তার বন্ধুদের ডেকে এনে সেলিমকে মারধর করে। পরে সেলিমের বন্ধুরা ঘটনাস্থলে আসলে পুনরায় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির শুরু হয়। এতে কেউ গুরুতর আহত হয়নি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে হাফিজ বলেন, ‘মেস মালিক প্রথমে আমাদের রুমটি ভাড়া দিতে চায়, পরে দেখি অন্যজন আমাদের রুমে উঠতে আসে। এ ঘটনায় আমরা প্রতিবাদ করলে সেলিম আমাদের ওপরে চড়াও হয়। আমার বন্ধু আগেই মেসের ভাড়া পরিশোধ করেছে। ফলে মাস শেষ না হতেই মেস মালিক অন্যজনকে রুমটি ভাড়া দিতে পারে না।’
এ বিষয়ে সেলিম বলেন, ‘মেস মালিকের সম্মতি নিয়ে আমি মামুনকে ওই রুমে উঠতে বলি। আমি তাকে সেখানে ওঠাতে গেলে হাফিজ ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত হয়েছি। মেস মালিক ও ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া শৈলকুপা থানায় যোগাযোগ করেছি। তারা বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বন্ধ গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি বিভাগে সশরীরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আরও কিছু বিভাগ পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে একাধিক বিভাগে একই সঙ্গে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী এলাকায় শিক্ষার্থীদের চাপ বেড়েছে। ফলে মেসে সিট সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মেস মালিকেরা বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।