avertisements 2

ডিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ

স্যারের স্ত্রী বাসায় না থাকলে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করতেন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:০৩ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাবেক রুটিন উপাচার্য ও বর্তমানে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন গৃহকর্মী।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই গৃহকর্মী ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেনের কাছে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে তিনি ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেল’ এ লিখিত দিতে বলেন।

তবে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেলের প্রধান ও আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মানসুরা খানম অভিযোগটি গ্রহণ না করে গৃহকর্মীকে থানা বা আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ঘটেনি এবং অভিযোগকারী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ না। তাই তার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি।

অভিযোগ দায়েরকারী গৃহকর্মী অভিযোগপত্রে বলেন, ড. শাজাহানের স্ত্রী বাসায় না থাকলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে শারীরিকভাবে আমার ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করতেন। খারাপ উদ্দেশ্য প্রকাশ করে আমাকে আর্থিক প্রলোভন দেখাতেন।

একদিন বাসা ফাঁকা থাকলে তিনি শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় আমি দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু তিনি আমাকে এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
 
অভিযোগকারী অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করেন, ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকি। পরবর্তীতে আমি এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকের কাছে বিচার চাইলে তারা স্থায়ী ভিসি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন।
 
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে সাবেক রুটিন উপাচার্য ড. মো. শাহজাহানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আগের ভিসির (খন্দকার নাসিরুদ্দিন) বিরুদ্ধে যে ছাত্র আন্দোলন হয়েছিল তখন থেকে একটা গ্রুপ স্ট্রংলি আমার বিরুদ্ধে লেগে আছে। তারা সময়ে সময়ে সত্য মিথ্যা বিভিন্ন কথাবার্তা বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে বলে বা লিখে। এটা সে ষড়যন্ত্রের অংশ, সামাজিকভাবে আমাকে হেয় করার একটা প্রচেষ্টা। ইনশাল্লাহ সাহসের সাথে এটা মোকাবিলা করতে পারব। আমার মনে হয় যদি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত হয় তবে এর সত্যতা প্রকাশ হবে।

অভিযোগকারী বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কেউ না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেনি। এখন আদালতে বা থানায় যাবে কিনা এ বিষয়ে অভিযোগকারী গৃহকর্মীর সাথে আসা তার বোন বলেন, এখানে ভিসি স্যার আছে সুষ্ঠু বিচার পাব-এ আশায় আমরা আদালতে যায়নি। এখন বিচার না পেলে যেখানে বিচার পাব সেখানে তো যেতে হবে।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2