রুমমেটকে ছুরিকাঘাত, ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালাল বহিষ্কৃত ও গ্রেফতার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ আগস্ট,
বুধবার,২০২৫ | আপডেট: ১২:০৪ এএম, ২৮ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলে রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে ডাকসু ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ জালালকে হল থেকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ঘটনার পর জালাল নিজ কক্ষে নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে রাত ১টার দিকে হলের শিক্ষার্থীরা তার কক্ষের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। অবরুদ্ধ অবস্থায় দীর্ঘ সময় কাটানোর পর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জালালকে বের করে এনে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ঘটনার পরপরই হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে জালাল আহমদকে হল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীর ওপর এ ধরনের নৃশংস হামলার অভিযোগে তাকে অবিলম্বে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার ছাত্রত্ব বাতিলের সুপারিশ করা হবে। তিনি আরও জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য রমনা থানায় জানানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদ তার রুমমেট রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রবিউল হককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এতে রবিউল গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল থেকে রবিউল জানান, তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় জালাল হঠাৎ তার ঘরে প্রবেশ করে লাইট জ্বালিয়ে শব্দ শুরু করেন। তিনি এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে জালাল ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর হামলা চালান। রবিউল বলেন, আমি আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছুরিকাঘাতে আমি রক্তাক্ত হয়ে যাই।
তবে জালাল আহমদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি দাবি করেন, তিনিই আক্রান্ত হয়েছেন। পোস্টে তিনি লিখেন, আমি রুমে বসে ঢাবির সব হল থেকে অবৈধ ও বহিরাগতদের বের করে দেওয়ার দাবিতে উকিল নোটিশ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় আমার রুমমেট রবিউল ইসলাম আমাকে মারধর করে।
জালাল আরও দাবি করেন, তার রুমমেট রবিউল দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে হলে অবস্থান করছিলেন। তার ফেসবুক পোস্টে তিনি একাধিক ছবি সংযুক্ত করেন, যেখানে তিনি আহত বলে দাবি করেন।
ঘটনার তদন্ত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে প্রার্থীদের অংশগ্রহণে ঘনিয়ে ওঠা ডাকসু নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে এমন একটি সহিংস ঘটনা নির্বাচনী পরিবেশে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, এ ঘটনায় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

প্রপাগান্ডা ছড়ানোর আগে পরামর্শ নিতে বললেন শিবির প্রার্থী : সর্ব মিত্র

নারী শিক্ষার্থীদের পর্দা নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য জবি ছাত্রদল সদস্য সচিবের, ফেসবুকে সমালোচনার ঝড়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা

ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ
