১ টাকায় তাল কিনে ১০ টাকায় বিক্রি!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ জুন,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৪৫ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
দিনদিন নাটোরে তালশাঁসের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নাটোর শহরের বিভিন্ন জায়গায় তালশাঁস বিক্রি করতে দেখা যায়। জ্যৈষ্ঠ মাসে ভ্যাপসা গরম আর তীব্র তাপদাহে থেকে একটু প্রশান্তি পেতে তালশাঁস কিনে খাচ্ছে। যার ফলে ব্যবসায়ীরা গ্রামাঞ্চল থেকে অল্প দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছে।
সরেজমিনে নাটোর শহর ঘুরে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চল থেকে বিক্রেতারা কচি তাল সংগ্রহ করে রাস্তার ধারে ভ্যানে করে বিক্রি করছেন। কম দামে কিনে তারা বেশি দামে বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। বাজারে রসালো লিচুর দাম বেশি হওয়ায় এ তালশাঁসের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা।
তালশাঁস বিক্রেতা আহম্মদপুর এলাকার আবু রায়হান বরেন, আমি প্রতি বছর সিজন এলে প্রমে ১০ থেকে ১২টা তাল গাছ কিনি। পরে গাছ থেকে তাল সংগ্রহ করে শহরে নিয়ে বিক্রি করি। তাছাড়া প্রতি তাল গাছ কিনতে আমর খরচ হয় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। গাছ থেকে কম দামে কিনে শহরে বেশি দামে বিক্রি করি।
নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশিলা গ্রামের জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর তালশাঁস বিক্রি করে আমার ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় হয়। গাছ থেকে কাঁচা অবস্থায় চুক্তির মাধ্যমে গাছ কিনে থাকি। প্রতি পিস তালশাঁস কিনতে খরচ হয় ১ থেকে ২ টাকা। আর বিক্রি করি ১০ টাকা। সব কিছু বাদ দিয়ে আমারে লাভ হয় ৭ থেকে ৮ টাকা।
নাটোর সদর হাসপাতালের সাবেক আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, তালশাঁস মানুষের জন্য খুব উপযোগি। তালশাঁস মানুষের শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে এবং প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন ‘এ’ থাকায় দৃষ্টি শক্তি প্রখর করে ও হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। এছাড়া তালশাঁসে ভিটামিন ‘সি’ ও ‘বি কমপ্লেক্স’ রয়েছে, যা শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। ত্বককে সুন্দর, উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় করে তুলতে তালের শাঁসের জুড়ি নেই।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. ইয়াছিন আলী বলেন, তাল উৎপাদন ও বিপণনের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। তাল এখন অনেকটা ফলের জায়গায় স্থান করে নিয়েছে। এ সময়ে আম, লিচুর পাশাপাশি সমান তালে তালশাঁস কেনা বেচা হচ্ছে। বলা চলে তালের শাঁস এখন ফলে পরিণত হয়েছে। তালশাঁস মানুষের দেহের জন্য অনেকটাই কার্যকরী ও উপকারী।