বোট ক্লাবের সভাপতি পদে আইজিপি থাকতে পারেন কি না, প্রশ্ন বিএনপির হারুনের
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১২ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে বোট ক্লাবসহ তিনটি বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বক্তব্য জানতে চান চাপাইনবাবগঞ্জ তিন আসনের সাংসদ হারুন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান অবশ্য এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য দেননি। এদিকে পরীমনির ঘটনায় ও মুনিয়া হত্যার ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের সরকার আড়াল করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশন শুরু হয়। দিনের কার্যসূচি শেষে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ থেকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইন অনুসারে দেশে মাদক চোরাচালান নিষিদ্ধ। চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া অ্যালকোহল পান করা যাবে না। এরপরও বাংলাদেশে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার ঘটছে।
তিনি বলেন, মাদক অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে মাদক বলেন, গণিকাবৃত্তি বলেন, জুয়া বলেন, কিছুই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। বিএনপির এই সাংসদ বলেন, সম্প্রতি বোট ক্লাবের ঘটনায় অবাধে মাদক ব্যবহারের বিষয়টি আবারো জনসম্মুখে এসেছে। বোট ক্লাবটি নদী তীরবর্তী স্থান দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে। সেখানে মদপান, জুয়াখেলা চলে অবাধে।
বর্তমান আইজিপি এই বোট ক্লাবের সভাপতি জানিয়ে তিনি বলেন, একজন পুলিশের মহাপরিদর্শক এমন একটি ক্লাবে সভাপতি হিসেবে থাকতে পারেন কিনা, তিনি সরকারের অনুমতি নিয়ে সভাপতি হয়েছেন কিনা, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলাম। এসময় তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে কোনো আইজিপি এমন ক্লাবের সভাপতি ছিলেন কিনা, চাঁদাবাজি করেছেন কিনা, আমার জানা নাই।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার শিরোনাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার ঘটছে। মাদক, ইয়াবা, পাচার ব্যাপক আকার ধারণ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এসময় তিনি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, একজন আইজিপিকে বোট ক্লাবের সভাপতি হতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিনা। এসময় তিনি পরীমনিকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, তার বাসায় মদের মিনি বার ছিল। অথচ তাকে রিমান্ডে কেন নেওয়া হলো সেটি নিয়ে বিচারককেও তলব করা হয়। পরীমনির ঘটনায় র্যাব অভিযান চালিয়েছিল। র্যাব তদন্তের দাবি জানিয়েছিল। কারণ এর পেছনে বড় শক্তি জড়িত। এ অপরাধীদের যারা ব্যবহার করছে তাদের চিহ্নিত করা দরকার।
তিনি বলেন, র্যাব যে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে, তার বাসায় যে মিনি বার তৈরি করেছিল, সেটি কি অসত্য? এসময় তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, সম্প্রতি বনানীতে মুনিয়া হত্যা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নাম জড়িয়ে তথ্য এসেছে। এ ঘটনার তদন্ত র্যাবকে দেওয়া হবে কিনা জানতে চান তিনি।
যদি র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া না হয়, আমরা মনে করবো এসব ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের সরকার চিহ্নিত করতে চায় না, তাদের আড়াল করতে চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।