চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:৩৩ এএম, ৩ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
সংসদ সদস্যদের বেতন ও সরকারি বরাদ্দের তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করায় হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে নালিশ দিয়েছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। এর জবাবে তাকে উদ্দেশ করে আইনজীবী ও এমপি সুমন বলেন, যে চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর ছিলেন তার কথায় এখন আমাকে চলতে হবে? চুন্নু সাহেব বিরোধীদলীয় হয়েও সরকারি দলের বিরোধিতা না করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরোধিতা শুরু করেছেন। তাকে আমি বলব, নিজের দায়িত্ব পালন করুন। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার ইচ্ছা ছিল এমপি হলে যেসব জিনিস প্রকাশ করলে জাতির ভালো হয়, তা আমি প্রকাশ করব। এমপি হওয়ার পর জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যা যা দিয়েছেন, আমি সেগুলো প্রকাশ করেছি। আমি আগে জানতাম না এমপিরা কত সম্মানী পান, এটা লুকানোর কিছু নেই। আমি মনে করি, এটা বললে স্বচ্ছতা পাওয়া যায়।
ফেসবুকে বেতনের কথা উল্লেখ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কত টাকা বরাদ্দ পেয়েছি সেটাও জনগণকে জানিয়েছি। বরাদ্দ মানে তো নগদ টাকা না, আমরা ট্রাস্টিমাত্র। আমাকে সরকার বিশ্বাস করে সাধারণ মানুষের উপকারের জন্য দিয়েছে, আমি তাদের কাছে সেটি পৌঁছে দেবো। স্বচ্ছতার জন্য আমি বলেছি আমি কত কত টাকা পেয়েছি। তবে এটা চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু আমাদের স্পিকারের কাছে নালিশ দিলেন।
ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, আমি সংসদে উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাইনি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে, চুন্নু সাহেব বিরোধিতা করবেন সরকারি দলের; কিন্তু সেখানে তিনি বিরোধিতা শুরু করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর। তার তো খুশি হওয়ার কথা যে, আমরা আমাদের হিসাব দেওয়া শুরু করেছি।
দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার খারাপ লাগছে তার এলাকার মানুষের জন্য। তাদের কি জানার অধিকার নেই চুন্নু সাহেব এমপি হিসেবে কত টাকা পাচ্ছেন? তিনি বলতে চান, আমরা যেন বরাদ্দের টাকা প্রকাশ না করি। আমি বুঝলাম না, আমরা যদি স্বচ্ছ থাকতে চাই, টাকার পরিমাণ বলি জনগণকে, তাহলে আমি অপরাধটা কী করলাম।
এমপি তার পেশা না উল্লেখ করে এ আইনজীবী বলেন, আমার পেশা ব্যারিস্টার, জনগণের স্বার্থে আমি তাদের জন্য কাজ করতে চাই বলে তাদের ভোটে এমপি হয়েছি। আমি কথা দিয়েছি এমপি হিসেবে আমি একটা টাকাও হারাম খাবো না। সুতরাং সরকার থেকে যে টাকা আসবে সেটি আমি সবার সামনে তুলে ধরব। তবে চুন্নু সাহেবের মনে হয় রাজনীতি করাটাই পেশা। তার আলাদা কোনো পেশা থাকলে এটা নিয়ে তিনি চিন্তা করতেন না।