আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ছাড়লেন আইজিপির ভাই
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ নভেম্বর,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:১৫ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার লক্ষ্যে শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন) অব্যাহতি নিয়েছেন তার দায়িত্ব থেকে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের আপন ছোট ভাই। আবার তিনি শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যও।
রোববার (১৯ নভেম্বর) আল-আমিন চৌধুরী সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এরপরেই বিকেলে তার পক্ষে মনোনয়ন ফরম কেনেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।
এ বিষয়ে আল-আমিন চৌধুরীর মন্তব্য জানতে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শাল্লা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট দিপু রঞ্জন দাশ বলেন, আল-আমিন চৌধুরী ঢাকায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, কিন্তু কোনো পদে ছিলেন কিনা জানি না। পরবর্তীতে জাতীয় নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের হাত ধরে শাল্লায় রাজনীতিতে আসেন এবং উনার নিজ কর্মদক্ষতায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
তিনি বলেন, তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন পেতে পুলিশ প্রধানের ভাই হিসেবে 'গ্রিন সিগন্যাল' পেয়েছে- এটা বিশ্বাস করি না। মনোনয়নে আইজিপির কোনো হস্তক্ষেপ নেই। উনি আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক হিসেবে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অবদানেই মনোনয়ন পেতে পারেন।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, আল-আমিন চৌধুরী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন কিনা জানেন না কেউ। তারপরও তিনি শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হন। দলীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে ও সাংগঠনিকভাবে জনমনে রয়েছে প্রশ্ন!
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বলছেন, বর্তমানে আল-আমিন চৌধুরীর সাথে যারা আছেন অধিকাংশই হচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লোক। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এখন যে উনি এমপি প্রার্থী হতে যাচ্ছেন, একমাত্র সম্বল তার আপন বড় ভাই পুলিশের প্রধান। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, দিরাই-শাল্লার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ও উন্নয়নকে তরান্বিত করার লক্ষ্যে একজন যোগ্য ব্যক্তি প্রয়োজন।
এ বিষয়ে শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার মিয়া জানান, আল-আমিন চৌধুরীর বাবা মান্নান চৌধুরীর সাথে আমরা রাজনীতি করেছি। উনি আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক সত্যি, কিন্তু ছাত্রজীবনে রাজনীতি করেছে বলে আমার জানা নেই।
আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, আল-আমিন চৌধুরী শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর দলকে গোছানোর মতো সাংগঠনিক দক্ষতা নেই। প্রকৃত আওয়ামী লীগের ত্যাগী লোক তার সাথে নাই। যারা আছেন কয়েকজন আওয়ামী লীগের তরুণ, আর বাকি সব বিএনপি মতাদর্শের। আল-আমিন চৌধুরী মানুষের আশানুরূপ সফলতা এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।