যুক্তরাষ্ট্র আমাকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে : মশিউর রহমান রাঙ্গা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:০৯ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়ার কারণে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, আমলা, বিচার বিভাগের সদস্যসহ বিভিন্ন ব্যক্তির উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে কারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন তা নিয়ম অনুযায়ী প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন, গুজব বাতাসে ভাসছে। নানা জনের নাম আসছে আলোচনায়। যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকায় কর্মরত রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত ২৪ সেপ্টেম্বর একটি বেসরকারি টিভিতে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যাদের ওপর ভিসানীতি দেয়া হবে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না। তবে তাদের পৃথক ভাবে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানানো হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বলা হয়েছে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলের রাজনীতিবিদরাও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছেন। জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপি ও দলটির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছেন, এমন তথ্য পেয়েছেন বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি এখনো নিষেধাজ্ঞার কাগজপত্র পাইনি। তবে শুনেছি যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি আমার ওপর দিয়েছে।
মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আমি শুনেছি আমাকেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিষয়টি (ভিসানীতি) আমার ওপর দেয়ায় আমি অখুশি না। আমার আমেরিকার দশ বছরের ভিসা আছে। আমার এখন আমেরিকা যাওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই, সুযোগও নাই। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গত পাঁচ বছরেও আমেরিকা যাইনি। আমার ছেলেমেয়ে আমেরিকায় পাড়শোনা করে না। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি আমেরিকা যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তবে কেন তারা আমার ওপর ভিসানীতি দিয়েছে তা বোধগম্য নয়। তবে ভিসানীতি দিয়েছে সেটা তাদের ব্যাপার।
যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ভিসানীতির বিষয়ে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, এটা (ভিসানীতি) আমেরিকার নিজস্ব বিষয়। আমার দেশে যদি কাউকে আসতে না দেই, যদি মনে করি এই লোকগুলো আমাদের জন্য ক্ষতিকর তাহলে বলার কিছু নাই। আমি মনে করি এটা দেশের জন্য ভালো। আমি এটাকে ভালোই বলছি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভিসানীতির প্রভাব পড়ার কোন সুযোগ নেই, কারণ নেই।