গাইবান্ধা-৫ আসনে নৌকার টিকিট পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি রিপন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
জাতীয় সংসদের সদ্য সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার আসনে (গাইবান্ধা-৫) নৌকার টিকেট পেয়েছেন মাহমুদ হাসান রিপন। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সভাপতি ও গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকাল চারটায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে রিপনকে চুড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ।
গত ২৩ জুলাই মারা যান সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া। তার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়। আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচনটি সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আসনটিতে প্রার্থী দিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নের আবেদনপত্র বিক্রি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রথম দিনে মনোনয়ন কিনেছেন চারজন। দ্বিতীয় দিনে দুইজন এবং মঙ্গলবার তৃতীয় দিনে আরও চারজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন সংগ্রহ করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সভাপতি ও গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন, প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ও ফুলছড়ি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রাব্বী বুবলী, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পারভেজ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছাঃ লুদা মিলা পারভীন, সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম শামসুল আরেফিন, সাঘাটা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
এছাড়া যুবলীগ নেত্রী পরিচয় দেওয়া উন্মে জান্নাতুল ফেরদৌস ও যুবলীগ নেতা পরিচয় দেওয়া সুশীল চন্দ্র সরকারও ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। সংসদের ৩৩ নং আসনটির জন্য অন্যদের পেছনে ফেলে নৌকার কান্ডারি হলেন এই সাবেক ছাত্র নেতা।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার ১০ টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন। দুই উপজেলা মিলে এ আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখের বেশি। উপ-নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়ন বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ তারিখ ১৬-১৮ সেপ্টেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ সেপ্টেম্বর ও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ অক্টোবর।