avertisements 2

ভিক্ষুক পরিবারের ৪ সদস্যকে টেনেহিঁচড়ে হাজতে, ৪ এসআই বহিষ্কার

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ মে, বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২২ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত এক ভিক্ষুক পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসাধীন অবস্থায় টেনেহিঁচড়ে হাজতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত চার পুলিশ উপ-পরিদর্শককে সাময়িক বহিষ্কার ও দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ মে) রাতে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বরখাস্ত চার এসআই হলেন, আলতাফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, ওয়াজেদ আলী ও মুনতাজ। প্রত্যাহার হওয়া দুই কনস্টেবল হলেন- মোজাম্মেল হক ও সাথী আক্তার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসি বাজার এলাকার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে ভিক্ষুক আব্দুল জলিল (৬৪) তার ২০ শতক জমিতে ঘর করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি মুজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি ওই জমিটি তার নিজের বলে দাবি করায় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় আদালতে মামলা হলে আদালত আব্দুল জলিলের পক্ষে রায় দেন।

তবে আদেশ অমান্য করে সোমবার (৯ মে) সকালে মুজিবুর রহমান দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আব্দুল জলিলের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন ভিক্ষুক আব্দুল জলিল (৬৪), তার স্ত্রী লাইলী বেগম (৫০) ও তার তিন ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩০), ওয়ায়েজ করোনি (২৫) ও হামদাদুল হক(১৬)। পরে
তাদেরকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, হামলার পর অভিযুক্ত মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে চিকিৎসাধীন চার জনসহ ১৫ জনকে আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর মঙ্গলবার পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এজাহারভুক্ত আহত ওই চার জনকে গ্রেফতার করেন। এ সময় চিকিৎসাধীন ওই চার আসামি পুলিশের সঙ্গে যেতে রাজি না হওয়ায় হাসপাতালের শয্যা থেকে তাদেরকে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে আসে। পরে কিছু সময় তাদের কারাগারে রেখে বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

সরিষাবাড়ী থানার ওসি মীর রকিবুল হক বলেন, মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে সোমবার রাতে আব্দুল জলিলসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। এরপর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পরই তাদেরকে আটক করা হয়।

জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই চার এসআই বরখাস্ত ও দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2