avertisements 2

ফুলবাড়ী সীমান্তে ফেলানী হত্যার ১১ বছর, ন্যায় বিচার পায়নি পরিবার

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৩ এএম, ২৩ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার ১১ বছরেও ন্যায় বিচার পায়নি তার পরিবার। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাবা নুর ইসলামের সাথে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরছিলেন ফেলানী।

এসময় মই বেয়ে কাঁটাতার পেরোনোর সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত হয় ফেলানী। বাবা নুর ইসলাম প্রাণে বেঁচে গেলেও মেয়ে ফেলানীর মরদেহ দীর্ঘ সময় ঝুলে থাকে কাঁটাতারে।

পরে এ নিয়ে দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠলে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতে ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদর দফতরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যকে নির্দোষ ঘোষণা করে রায় দেয় নিজ বাহিনীর আদালত।

ফেলানীর বাবা-মা রায় প্রত্যাখ্যান করলে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনঃবিচার কার্যক্রম শুরু করে ভারত। পরের বছর ২ জুলাই অভিযুক্তকে আবারও নির্দোষ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়।

এরপর ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচারের আশায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টে যৌথভাবে রিট আবেদন করেন ফেলানীর বাবা ও মানবাধিকার সংগঠন সুরক্ষা মঞ্চ। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত পূর্ণাঙ্গ ব্রেঞ্চ রিট আবেদনটি গ্রহণ করলেও একাধিকবার শুনানীর তারিখ পরিবর্তন হওয়ায় এখনও ন্যায় বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার।

ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থাসহ অনেকের কাছে আমারা গিয়েছি। কিন্তু ১১ বছরেও ন্যায় বিচার পেলাম না।

বাবা নুর ইসলাম বলেন, দুই দুই বার কুচবিহারে গিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছি। বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের নৃশংসতার বর্ননা দিয়েছি। তারপরও ন্যায্য বিচার পাইনি। তবে ভারতের সুপ্রীম কোর্টে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা ছাড়িনি।

ফেলানী হত্যাকান্ডে পিতা নুর ইসলামের আইন সহায়তাকারী কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম আব্রাহাম লিংকন জানান, একাধিকবার তারিখ বদলের পর ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।

ভারতরে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি এনভি রামানা ও বিচারপতি মোহন এম সান্তনা গৌদ্ধারকে নিয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চে শুনানীর জন্য আইটেম নম্বর-৩ হিসেবে তালিকাভুক্ত থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

অথচ সুপ্রীম র্কোট থেকে বিবাদীকে শোকজ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা শোকজের জবাব দিয়েছেন। কিন্তু পরর্বতীতে আর শুনানী অনুষ্ঠিত হয়নি। বর্তমানে কার্য তালিকা থেকে বাদ পড়ে আছে রিটটি। করোনার কারণে রিটটির সর্বশেষ অবস্থা জানেন না তিনি।

এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন ন্যায্য বিচারের আশা ব্যক্ত করে বলেন, জেনারেল সিকিউিরিটি ফোর্স কোর্টে বাদী ছিল বিএসএফ, আসামি ছিল বিএসএফ এবং বিচারকও ছিল বিএসএফ। ফলে ন্যায্য বিচার পাওয়া যায়নি। সুপ্রীম কোর্টে ন্যায্য বিচার পাওয়া যাবে।

আর এই রিট নিস্পত্তি করতে সুপ্রীম কোর্ট যে পর্যবেক্ষণ দিবেন তাতে দু-দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলে প্রত্যাশা করছি।’

ফেলানী হত্যা ও তার বাবার ভারত যাওয়ার কারন: ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম জানান, বাবা হাফেজ আলীর মৃত্যুর পর তার বয়স যখন ৯/১০ বছর তখন অভাবের তাড়নায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর উপজেলার দক্ষিণ রামখানা কলোনীটারী থেকে বিধবা মা আলীজনের সাথে তিনি এবং তার ছোট ভাই আব্দুল খলিল ভারতের জলপাইগুড়িতে কাজের খোজে যায়।

ওই সময় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ছিল না। জলপাইগুড়িতে তারা বেশ কিছুদিন থাকে। এর মধ্যে মা আলীজন বিবির মৃত্যু হলে তাকে জলপাইগুড়িতে কবর দেয়া হয়। মায়ের মৃত্যুর পর অভাব তাদের মাঝে গ্রাস করলে দুই ভাই দুইদিকে কাজের সন্ধানে বের হয়। বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে গিয়ে ভারতের আলীপুরে ফেলানীর মা জাহানারা বেগমের সাথে পরিচয় ঘটে।

জাহানারা একই ভাবে অভাবের তাড়নায় তার দাদীর সঙ্গে আলীপুরে থাকত। নুর ইসলামের গ্রামের বাড়ির পার্শ্ববর্তী গ্রাম দক্ষিণ রামখানা বানারভিটার বাসিন্দা জাহানারা হওয়ায় প্রতিবেশী সম্পর্কে এক পর্যায় নুরইসলাম ও জাহানারা বেগমের বিয়ে হয়। দুই স্বামী স্ত্রীর সংসারে দুই মেয়ে সন্তান জন্ম নিলেও সন্তান দুটি জন্মের কিছুদিন পর মারা যায়।

দুই সন্তানের মৃত্যুর পর স্বামী-স্ত্রী দুজনে আলীপুর ছেড়ে আসামের গোয়ালপাড়া জেলার নিউ বংগাইগাও ভাওলা গুড়িতে চলে যান। সেখানে জন্ম হয় ফেলানীর। দুই মেয়ে সন্তানের মৃত্যুর মত ফেলানীরও মৃত্যু হতে পারে এই আশংকায় তার নাম রাখা হয় ফেলানী।

পরে ফেলানীসহ আরও ৫ সন্তানের জন্ম হয়। এরা হলো- মালেকা খাতুন, জাহানউদ্দিন, আরফান আলী, আক্কাস আলী, কাজলী খাতুন। নিউ বংগাইগাও ভাওলা গুড়িতে একটি মুদির দোকান দিয়ে তাদের ৩ মেয়ে ৩ ছেলে ও দুই স্বামী স্ত্রী মিলে পরিবারের ৮ সদস্যের সুখের সংসার চলছিল।

অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা স্বচ্ছল হলে দেশে ফিরে আসবে এই আশায় তারা আসামের নাগরিকত্বের সুযোগ পেলেও তা গ্রহণ করেনি। নুর ইসলাম দেশে আসবে বলে বাংলাদেশের ভোটার হয়। জাতীয় পরিচয় পত্র গ্রহণ করে সে। ভোটের সময় এলে আসাম থেকে এসে এখানকার স্থানীয় সরকার নির্বাচন গুলোতে ভোট প্রয়োগ করতেন তিনি।

এর মধ্যে মেয়ে ফেলানী বড় হয়ে উঠলে তাকে বাংলাদেশে বিয়ে দিবে এই পরিকল্পনা নেয় তারা। শ্বাশুড়ি হাজেরা বিবির সম্মতিক্রমে ছোট্টবেলায় কথা দেয়া স্ত্রী জাহানারা বেগমের আপন বড় বোন লালমনিরহাট জেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চরকুলাঘাট গ্রামের ইদ্রিস আলী ও তার স্ত্রী আনজিনা বেগমের বড় পুত্র আমজাদ হোসেনের সঙ্গে বিয়ের ব্যাপার চূড়ান্ত করা হয়। নুর ইসলাম আসাম থেকে এসে আমজাদ হোসেনের মায়ের সঙ্গে ২০১১ ইং সালের ৯ জানুয়ারি বিয়ের দিন ধার্য অনুযায়ী মেয়ে ফেলানীকে নিয়ে ৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নুর ইসলাম আসাম থেকে রওনা দেয় বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে।

ফেলানীর মা জাহানারা বেগম মেয়েকে নিজ হাতে সাজিয়ে দেন। পড়িয়ে দেন হাত, গলা, কান, নাকে ও পায়ে স্বর্ণ ও রুপার অলংকার। হবু জামাই আমজাদ হোসেনের জন্য দুইটি আংটি, একটি চেইন সহ মেয়ের হাত খরচের নগদ ১৯০০/- (ভারতীয়) টাকা সাথে দেন। ফেলানীও তার হবু জীবন সঙ্গীর জন্য একটি রুমাল, কিছু গিফ্ট সামগ্রী নিয়ে বাবার সাথে আসে।

দীর্ঘ ৮ ঘন্টার পথ অতিক্রম করে তারা রাত ৮টার দিকে আসাম থেকে চৌধুরীহাট বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছিলে ভারতীয় চৌধুরীহাট খেতাবের কুটি সীমান্তবর্তী গ্রামের আবুল হোসেন এর ছেলে দালাল মোশারফ হোসেন দালালরা তাদেরকে কাটাতারের বেড়া পাড় করে দেয়ার জন্য ৩ হাজার টাকা চুক্তি করে।

দালাল মোশারফকে চুক্তির টাকা দেয়ার সময় ফেলানীর বাবা দালালের কাছে প্রতিশ্রতি নেয় তার মেয়ের যেন কোন ক্ষতি না হয়। তার কথা মতো দালাল মোশারফ ক্ষতি না হওয়ার প্রতিশ্রতি দিলে আশ্বস্ত হন ফেলানীর বাবা।

পরে রাত ৯টার দিকে দালাল মোশারফ হোসেন ফেলানী ও বাবাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে কাটাতার বেড়া পার করে দেয়ার অজুহাতে দালাল মোশারফ ফেলানী ও তার বাবাকে আরও ৩/৪টি বাড়িতে আনা নেওয়া করে।

রাত ৯টা থেকে গভীর রাত ৩/৪টা পর্যন্ত এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে টানা হেঁচড়া করায় ফেলানী একটু ঘুমাতে চেষ্টা করেও তা পায়নি। নির্ঘুম রাত কাটানো ও টানা হেঁচড়ায় ক্লান্ত ফেলানী ও তার বাবাকে ৭ জানুয়ারী ভোর রাতে ফজরের আযানের সময় ফুলবাড়ীর অনন্তপুর হাজীটারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ৯৪৭/৩ এস এর পাশে ভারতের অভ্যন্তরের চৌধুরীহাট খেতাবের কুটি এলাকায় নিয়ে আসে দালালরা।

ওই এলাকায় কাটাতারের ৩ স্তরের বেড়া পার হতে বাশের তৈরি ৩টি মই কাটাতারের বেড়ায় লাগানো হয়। সেই মই বেয়ে প্রথমে নুর ইসলাম পরে মেয়ে ফেলানী পার হওয়ার সময় চৌধুরী হাট ক্যাম্পের বিএসএফ তাদের পিছু নেয়।

মই বেয়ে কাঁটাতার পার হওয়ার সময় ২/৩জন বিএসএফকে তিনি মইয়ের উপরে উঠতে দেখেন। একসময় একটি গুলির শব্দ হলে নুর ইসলাম ভয়ে পড়ে যান কাটাতারের বাহিরে। তখন মেয়ে ফেলানী ছিল কাটাতারের বেড়ার মাঝখানে মইয়ের উপর দাড়িয়ে।

কাটা তারের বেড়া পার হয়ে ভারত ভূখন্ডে পড়ে যাওয়া নুর ইসলাম তরিঘড়ি উঠে ফেলানীকে তারাতারি কাটা তারের বেড়া পার হয়ে আসার জন্য বলেন। কিন্তু কিভাবে ফেলানী মারা গেল তা তিনি ঝুঝতে পারেননি।

নুর ইসলাম বলেন, কাঁটাতারের মাঝখানে মইয়ের উপর দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় ফেলানীকে গুলি করলে সে কাটাতারের বেড়ার মাঝখানে পড়ে থাকতো কিন্তু কিভাবে কাটাতার বেড়ার শেষ প্রান্তে ফেলানীর লাশ ঝুলে থাকলো এটা তাকে প্রশ্নের সৃষ্টি করে।

নুর ইসলাম আরও বলেন, একটি গুলির শব্দ শুনলেও তিনি আরও একটি কম আওয়াজের গুলি হয়েছে বলে পরে মানুষের কাছে শুনেছেন। এতে ধারণা হয় ফেলানীর বাবাকে ভয় দেখানোর জন্য একটি ফাকা গুলি ছোড়া হয়েছিল।এতে ধারনা করা হয় ফেলানীকে পাশবিকভাবে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে তার লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে বিএসএফ।

৭ জানুয়ারি ভোর থেকে সকাল সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত কাটা তারের বেড়ায় ঝুলে ছিল ফেলানীর লাশ। ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম মেয়ের হত্যার কথা শুনে সঙ্গাহীন হন। সাড়ে ১০টার দিকে ফেলানীর মৃত্যুর খবর পায় তার পরিবার।

ওই দিন তৎকালীন কুড়িগ্রাম বিজিবির ২৭ ব্যাটালিয়নের কাশিপুর কোম্পানির পক্ষ থেকে লাশ ফেরত চেয়ে বিএসএফকে পত্র দেয়া হলে ফেলানীর লাশ পোষ্ট মর্টেম শেষে পরের দিন ৮ জানুয়ারী বেলা ১১টায় ওই সীমান্তে বিজিবি কাশিপুর কোম্পানি ও বিএসএফ চৌধুরীহাট কোম্পানির পর্যায় পতাকা বৈঠকে বিজিবিকে ফেলানীর লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।

পরে বাংলাদেশে ফেলানীর লাশের ময়না তদন্ত শেষে ৯ জানুয়ারি রাতে তার পরিবারের কাছে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ লাশ হস্তান্তর করলে ওই রাতেই কলোনীটারী গ্রামে ফেলানীকে দাফন করা হয়।

ফেলানী হত্যার এই নির্মম ঝুলন্ত ছবি ও খবর দেশী-বিদেশী মিডিয়ায় প্রকাশ হলে দেশে-বিদেশে শুরু হয় বিএসএফের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ। কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে না ফেলানী, ঝুলছে বাংলাদেশ র্শীষক প্রতিবাদী ¯েøাগান ও ফেলানীর ঝুলন্ত ছবি গোটা জাতির বিবেকে নাড়া দেয় ।

বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের পক্ষে সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হলে টনক নড়ে বাংলাদেশ সরকারের। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফেলানী হত্যার কড়া প্রতিবাদ জানানো হয় ভারতকে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তারা ছুটে আসে ফেলানীর নিভৃত পল্লীতে।

বিজিবির দাবির মুখে ২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কোচবিহারের বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়। ফেলানীর বাবা দু’দফা বিএসএফের আদালতে স্বাক্ষী দিয়ে আসলেও ওই বছর ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।

রায় পুর্নবিবেচনার বিজিবির আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার পুনর্বিচারে আবারও অমিয় ঘোষ খালাস দেয় বিশেষ আদালত। ন্যায় বিচারের আশায় সর্বশেষ ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে দুটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। এরপরও ফেলানী হত্যার বিচারটি হচ্ছেনা।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2