জালাল উদ্দিন আহমেদ
এ দায় আমার নয়
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৬ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বুড়িটার বয়স তো আর কম হোল না। পৌনে এক'শ বছর পেরিয়েছে। চার কুড়ি হলো বলে। তারপরেও বুড়িটার জন্ম ঠিকুজি নিয়ে এখনো চলছে সেই পুরনো ক্যাইজা ফ্যাসাদ, মান অভিমান, দায় অনাদায়,ক্ষয়ক্ষতি আর দোষারপের বিস্তর আলোচনা সমালোচনা। কোন্ কুক্ষনে এশিয়া মাইনর ও আরব ভূখন্ড থেকে মুসলমান শাসক এবং ধর্ম প্রচারকরা সিন্ধু নদ বা মতান্তরে হিন্দু নদ পাড়ি দিয়ে এই হিন্দ দেশে এসেছিলেন জানা না থাকলেও অনুমান করতে অসুবিধার কথা নয় যে পৃথিবীর শস্য ভান্ডার তথা ধন সম্পদে তৎসময়ে ভারত বর্ষের বিশ্বজোড়া সুনাম ছিল। আর এরই মোহে রবি ঠাকুরের ভাষায় - "শক হুন দল মুঘল পাঠান এক দেহে হোল লীন" এর বাস্তবতায় ভারত এক বহুজাতিক শংকর জাতিগোষ্ঠীর রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সেই গ্রীক বীর আলেকজান্ডার থেকে শুরু করে ককেশীয় আর্য ও যাযাবরের দল, মঙ্গোলিয়ান তৈমুর লং, হালাকু খান ভাস্কোদাগামা, ইবনে বতুতা, হিয়েন সাং সহ ইংরেজ, গ্রীক, পর্তুগীজসহ হাজারো জাতি উপজাতির আগমনে ভারত যেমন জর্জরিত হয়েছে, পাশাপাশি ঐসকল বহিরাগতদের হাত ধরে ভারত একটি সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রপুঞ্জে রূপ নিয়েছে। ভারত ভূখন্ডের আদিবাসীসহ মূল অধিবাসী ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ধর্ম বর্নের সমন্বয় ঘটিয়ে ভারত প্রকৃত অর্থেই এক বহু বর্ন ও ধর্মের মহান রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে।
২। বার'শ শতক থেকে শুরু করে সতের শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ভারত মূলতঃ মুসলিম শাসনের দেশ হিসাবে পরিচালিত হয়েছে। মূলতঃ এই সাড়ে পাঁচ'শ বছরে ভারত শৌর্যবীর্যে ও উৎকর্ষতায় খ্যাতির শিখরে অবস্থান করেছে। পাশাপাশি সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জ হিসাবে ভারত পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। এর আগে এমন কি মুসলিম শাসনের সময়েও বিভিন্ন জাতি উপজাতির আঞ্চলিক রাজবংশ ছিল যারা ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর পরম্পরায় নিজ নিজ রাজ্যের শাসন কার্য চালাতো। নিজেদের স্বাধীন স্বত্ত্বা নিয়েও তারা অখন্ড ভারতের অংশীদার হিসাবে গর্ববোধ করতো। ধর্মীয় আচার আচরনে ভিন্নতা থাকলেও জাতিগত সম্পৃক্ততায় তারা সব সময় একাত্ম থেকেছে। এমনকি কিছু কট্টর জাতীয়তাবাদী শক্তির বিদ্রোহ ও উৎপাত থাকলেও ধর্মীয় জাতিস্বত্ত্বা তৈরীর প্রেক্ষিত সৃষ্টি করে জাতিগত বিভাজনের কোন উপলক্ষ্য পরিলক্ষিত হয় নি।
৩। বৃহত্তর ভারতের অখন্ড বাংলা শৌর্য বীর্যে কতই না হৃষ্টপুষ্ট এক সুঠাম দেহপল্লব নিয়ে তার অস্তিত্ত্বে বলীয়ান ছিল। যদিও কোলকাতা ও পাটনা কেন্দ্রিকতা নিয়ে অখন্ড বাংলার রোজনামচা সে সময় রচিত হয়েছিল, তথাপি বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা সমন্বয়ে সেই অখন্ড বাংলার শান্-শওকাতই আলাদা ছিল। তবে অখন্ড বাংলায় ঢাকার স্থান ছিল ঠিক যেন হিন্দু ধর্মের বর্ণ বৈষম্যের নমঃশুদ্রদের মত। তারপরেও নদী মার্তৃক মাটির গন্ধময় বাংলা বলতে ঢাকা কেন্দ্রিক বাংলার কথাই উচ্চারনে আসে প্রথম। ১৭৫৭ সালের বাঙালীময় বাংলায় যখন বিদেশী শক্তির শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়ে স্বাধীন স্বত্ত্বার ভারতে বিদেশী বেনিয়াদের পত্তন ঘটেছিল ঠিক তার এক'শ বছর পর ভারত তথা বাংলায় বিদেশী প্রভূদের দাসত্বের শৃংখলে আমরা আবদ্ধ হয়ে পড়লাম। তখন আমরা বৃটিশদের স্বাদে গন্ধে তাদেরই দখলকৃত ভারত নামক কলোনীর নাগরিক হয়ে গেলাম। আর এখানেই ঘটলো আমাদের অর্থাৎ বাঙালীদের এক উচ্চাভিলাষী স্বপ্নযাত্রা। এখানে 'বাঙালী' বলতে তখনকার সেই ঊনিশ শতকের প্রথম দিকে একগুচ্ছ হিন্দু পন্ডিত ও লিখিয়েদের তৈরী করা হিন্দু বাঙালীকেই বুঝানো হয়। আমরা জানি দেশ শাসন আর জাতি গঠন, দুটি ভিন্ন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। সে কাজটির দ্বিতীয়টি খুব সুকৌশলে হিন্দু ব্রাহ্মন্য গোষ্ঠীর একটি গ্রুপ বেশ ভালভাবেই সামলে নিয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে ভারত আন্দোলনের পাশাপাশি শুধুমাত্র হিন্দু জাতিগোষ্ঠীকে বাঙালী অভিধায় চিত্রিত করার মহাযজ্ঞে তারা সামিল হয়েছিলেন। ক্ষেত্রবিশেষে নিজ উঠানকে চাঙ্গা রাখার তাগিদে সেইসব হিন্দু মহা-মনীষীরা তাদের কলমের খোঁচায় ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার ভিস্যুভিয়াস সৃষ্টিতেও পারঙ্গমতা দেখিয়েছেন। ফলে অখন্ড বাংলার বাঙালীত্বে জাতিগত অস্মিতার কোথাও যেন বিভাজনের লক্ষন রেখা তৈরীর এক অশুভ বার্তা শোনা গেল।
৪। 'সাম্প্রদায়িক' কথাটির প্রচলন ঊনিশ শতকের কালির আঁচড়ে যতটুকু রক্তাক্ত হয়েছে তার সিংহভাগ উদ্ভুত হয়েছে সেই সব ফোর্ট উইলিয়ামের টিঁকিওয়ালা পন্ডিত আর মুসলিম বিদ্বেষী পাদ্রী উইলিয়াম কেরীর নেতৃত্বে। তৎসময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও সাময়িকীর মাধ্যমে এই প্রচার ও প্রসারের কাজ হাতে নেয়া হয়। এই লেখালেখি বা সাহিত্য সংস্কৃতির ধারে কাছেও তখন বাঙালী মুসলমানদের হাঁটাচলা ছিল না। সিপাহী বিদ্রোহ করে তখন এমনিতেই মুসলমান বাঙালীরা রাজ শক্তি বৃটিশদের শত্রুর খাতায় নাম উঠিয়েছে। ফলে ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার মতই বৃটিশ সান্নিধ্যে এসে হিন্দু ব্রাহ্মন্য পন্ডিতেরা বাঙালী শিল্প ও সাহিত্যে সংস্কৃত ভাষার ধারা প্রবর্তন করেন। এভাবেই হিন্দু ধর্মের শিক্ষা ও মাহাত্ম প্রচারে তারা বাঙালীর ভাষা ও সাহিত্যে সংস্কৃত ভাষার অনুপ্রবেশ ঘটালেন এবং তা প্রতিষ্ঠা করলেন। সেই পাদ্রী কেরি সাহেবের নেতৃত্বে তারা ইসলামী শাসনামলে সৃষ্টি হওয়া বাংলা ভাষার রীতিও বদলে ফেললেন। যার প্রচার ও প্রসারের বাহুল্যে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এখন সে পাটাতনেই দাঁড়িয়ে আছে। মাছে ভাতের সাধারন বাঙালী ঊনিশ শতকের একগুচ্ছ গোঁড়া হিন্দু ব্রাহ্মনের সৃষ্ট সেই ভাবধারার বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উত্তর পুরুষ হিসাবে কাল পরম্পরায় বেড়ে উঠেছে। ফলস্বরূপ বঙ্কিম সৃষ্ট সেই 'কত্তাবাবু বা কত্তা মশাই' মার্কা ব্রাহ্মন্য বনেদীদের সাম্প্রদায়িক মনোভাবের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। তারা তো কর্তা! সুতরাং কর্তার কর্তৃত্বের যে অমিয় সুখ তা তারা ভুলবেন কেমন করে!
৫। কর্তাবাবুদের কর্তৃত্ত্বের অশুভ ছায়া বাংলা জুড়ে সকল বাঙালীর হেঁসেলেই কমবেশী প্রভাব ফেলেছিল। নিজ ধর্মের সম্প্রদায় সৃষ্টির যাঁতাকল তো ছিলই পাশাপাশি বিধর্মীদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেই তারা তাদের জীবন নির্বাহের নির্ঘন্ট বানিয়েছিল। সময়ের পরিক্রমায় বাঙালী মুসলমান নিজেদের আপন উঠানে একাত্ম হতে চাইলো। ভারত বর্ষের সামগ্রিকতায় তারা নিজের ধর্মীয় স্বত্ত্বার স্বকীয়তা প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হোল। ফলে বৃটিশ মুক্ত ভারতে জাতি স্বত্ত্বার নতুন সমীকরনে ধর্মীয় স্বকীয়তার মেরুকরন হোল। ভারত ভাগ হোল। মুসলমানরা আলাদা পাকিস্তান রাষ্ট্রের মালিক হোল। পুর্ব বাংলা মুসলিম সংখ্যাধিক্যে অটো চয়েস হিসাবে পাকিস্তান নামে চিহ্নিত হোল। কিন্তু প্রগতিশীল বাঙালী নেতৃত্ব তার নিজ অস্তিত্বের অস্মিতায় অখন্ড বাংলার দাবীদার হয়ে সামনে আসতে চাইলো। সেক্ষেত্রে বাংলার সামগ্রিকতায় মুসলিম সংখ্যাধিক্যের জুজু সেইসব ব্রাহ্মন্য বড়বাবুদের দেশের কর্তা হওয়ার স্বপ্নে শংকা সৃষ্টি করলো। ফলে আবারও সেই হিন্দু ব্রাহ্মন্য কত্তা বাবুদের বাবুগিরির চমক সামনে এসে গেল। যদিও সারা বাংলার ৪০% হিন্দুর ৮০%ই তাদের সৃষ্ট তথাকথিত হিন্দু নামের বৈশ্য, শুদ্র, মতুয়া, আদিবাসীর বসবাস। কিন্তু নিজেদের কর্তৃত্ব ও কারিশমায় তারা সব সময়ই ওই নীচ সম্প্রদায়ের কত্তাবাবু হিসাবেই নমস্য। এ যেন বিধির খেলা। ভারত ভাগের সময় বাঙালী নেতৃত্বের সিংহভাগ নেতা ও আম বাঙালী অখন্ড বাংলার দাবিদার থাকলেও ক্ষমতা প্রাপ্তির শংকা ও জ্বালায় সেইসব ব্রাহ্মন্য উপরতলার মানুষজনের প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের দাবার চালে বাংলা হিন্দু-মুসলমানের আলাদা রাষ্ট্র হিসাবে ভূমিষ্ট হলো। ফলে আজন্ম বাঙালী হয়ে বেড়ে উঠা পুর্ব বাংলার বাঙালী সাতচল্লিশের চৌদ্দই আগষ্টের ভোরের আযান ধ্বনিতে পাকিস্তানের ঘোষনায় হতচকিত হলো। শুনেছি হিন্দু বাঙালীর বনেদী বাবুরা সেদিনের চৌদ্দই আগষ্টের কোলকাতায় সন্ধ্যা-আরতি বেশ সময় নিয়ে জাকজমক ভাবেই করেছিলেন। আতশবাজিও ফুটেছিল কোলকাতার রাজপথে। যেন গলা থেকে কাঁটা নেমে যাওয়ার এক স্বস্তির নিঃশ্বাস। পরের দিন পনেরই আগষ্ট কপালে আবীর টেনে রুহিতপুরী ধুতির কোঁচ পেঁচিয়ে সফেদ চুড়িদার পাঞ্জাবির ব্যঞ্জনায় সেইসব বনেদি বড় বাবুরা কোলকাতার রাজপথ 'বন্দে মাতরম এবং ভারত মাতা কি জয়' শ্লোগানে মুখরিত করে রেখেছিলেন। তবে পুর্ব বাংলায় ঢাকার রাজপথে 'লিল্লাহে তাকবির' কিংবা 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' ধ্বনির জুলুশও বের হয়েছিল বলে জানা যায়। এহেন পরম্পরায় অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী এবং রাজধানী কোলকাতার মেয়রসহ বঙালীর জাতীয়তাবাদী মূখ্য নেতারা ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ধর্মীয় স্বত্বার পরিচয়ে নিজ নিজ ভূখন্ডে থিতু হলেন। ইদানীং এসব সত্য গুলোও শোনা যায় যে অখন্ড চেতনার বাঙালী নেতৃবৃন্দ যখন বাপুজির কাছে বাংলা ভাগ না করার দাবিতে দেন দরবার করছিলেন, তৎসময়ে বাপুজি ভ্রু কুচকিয়ে রহস্যময় ভঙ্গিতে বলেছিলেন - এ ভাগ তোমরা ঠেকাতে পারবেনা।
৬। ইতিহাসের শিক্ষা বড় নির্মম। সত্যকে চাপা দিয়ে মিথ্যের প্রলেপ লাগিয়ে যতই ইতিহাস রচনা করা হোক না কেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা। সে জাতিগত হোক বা ধর্মীয় আঙ্গিকেই হোক, ইতিহাসের সত্য বচন সরল রেখার মতই চলে। ধর্মীয় প্রাধান্যে ভাগ হওয়া ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের ডংকা সব সময় নিজেদের মত করেই বাজিয়েছে। তবে ধার ও ভারের আধিক্যে হিন্দুস্তান বা ভারতের প্রকাশ ও প্রচার বেশী হওয়াতে তাদের লিখিত ইতিহাসের প্রতিটি পাতায় বাঙালী মুসলমানদের ঘাড়ে বন্ধুক রেখেই হিন্দু ব্রাহ্মন্য ইতিহাসবেত্তারা বাংলা ভাগের জন্য মুসলমান বাঙালীদের দোষারপ করেছেন সমস্বরে। ফলে সেটাই সত্য বলে কালি কলমে সায় দিয়েছে। বুদ্ধিবৃত্তির কুটিলতায় সায় না দিয়ে বাঙালীর মুসলিম বুদ্ধিজীবিরা সব সময় নিজের ইস্পিত লক্ষ্যের তাগিদে এগিয়ে গেছে। অবশেষে আপন উঠান তৈরীর মহারনে কামিয়াব হয়ে পুর্ব বাংলার বাঙালী-স্বত্বা (ধর্মভেদে সবাই) স্বাধীন গৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ইতিহাসের কি শিক্ষা দেখুন! যারা খাস বাঙালীর দাবিদার হয়ে মুসলমান বাঙালীদের বাঙালী বলতেই নারাজ ছিলেন তারা নিজেদেরকে ভারতীয় বানিয়ে মহান ভারতের জয় হিন্দ কিংবা ভারত মাতা কি জয় শ্লোগানে বিলিয়ে দিয়ে আজ পৌঁনে এক'শ বছর পর বাঙালীর জয় বাংলা শ্লোগান উচ্চারনে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে চাচ্ছেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রের ধর্মীয় লক্ষ্মন রেখা টানা সেই বাঙালী, যাদের উত্তর পুরুষেরা এখনও যখন বলেন 'শ্রদ্ধেয় শ্যামা প্রসাদ বাবু মশাইরা না থাকলে আজ পশ্চিম বঙ্গের হিন্দুদেরকে ঢাকার মুসলমানদের অধীনে থাকতে হোত', তখন সেই রমেশ বাবুদের মিথ্যা প্রবচনের ইতিহাস কোন গলিতে মুখ লুকাবে তার সদুত্তর আছে কি?
৭। তাইতো বলি - বাঙালী বাঙালীই। তার আবার হিন্দু মুসলমান কি? আমি বাঙালী, স্বাধীন বাংলাদেশী স্বত্বার গর্বিত বাঙালী। ধর্মীয় বিশ্বাসে মুসলমান হলেও অস্তিত্বের শিকড়ে আমি বাঙালী। সিনা টান্ করে বলতে ইচ্ছে করে - হিন্দু মুসলমানের লক্ষ্মন রেখা টেনে বাঙালী ভাগ করার দলে আমি নেই। এ দায় আমার নয়। এ দায় তাদের যারা নিজ ধর্মের মধ্যেই বিভাজনের রেখা টেনে মানব জাতিকে কলংকিত করে রেখেছে।