avertisements 2
Text

জালাল উদ্দিন আহমেদ

সাহেব কাঁটায় নীলপদ্ম

প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ অক্টোবর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩২ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

১। সব সময় ভাবি রাজনীতি নিয়ে কথা বলবো না। রাজনীতি নামের এসব হ্যাংলামী আর ভাল লাগে না। কিন্তু বাঙালী মানেই তো রাজনীতি। রাজনীতি না জানলেও, না বুঝলেও - এটা যে বাঙালীর রক্তে মিশে  আছে তা কিন্তু হলফ করেই বলা যায়। আর এজন্যই হয়তো এক'শ বছর আগে রবি ঠাকুর তার কোন এক প্রবন্ধ বা উপন্যাসে বলেছিলেন, 'বাঙালী হাসে না, খেলে না, গান গায় না, লাঠি খেলা শিখেনা, ঘোড়ায় চড়ে না। আত্ম সমালোচনা করে না, কিন্তু অন্যের সমালোচনায় গগন বিদীর্ণ করে ফেলে। তাদের একমাত্র প্যাসন হচ্ছে রাজনীতি আর ফ্যাশন হচ্ছে সন্তান উৎপাদন'। রাজনীতির আদর্শ পাঠ এখন উঠে গেছে। রাজনীতির নামে চারিদিকে চলছে এক অসুরীয় আস্ফালন। শুধুই তঞ্চকতা আর বাণিজ্যের হাট। মাসলম্যান দাদাগিরির মহোৎসবে রাজনীতি আজ সাধারন মানুষকে এই উঠান থেকে ছিটকে ফেলে দিয়েছে। রাজনীতি আজকের দিনে শুধুই ক্ষমতার গদি কুক্ষিগত করার ফন্দি ফিকির। রাজনীতি এখন আদর্শের কথা বলে না। আদর্শকে গুলে খাইয়ে সন্ত্রাসী, মস্তান ও মহাজন বানায়। ক্ষমতা ছিনিয়ে আনার অপকৌশল নিয়েই রাজনীতি এখন সময় অতিবাহিত করে। রাজনীতির ধারক হয়ে যারা সামনে আসে তাদের মুখে এক কথা অন্তরে অন্য কথা। সরকারী গদিতে বসলে এক চেহারা আবার ওই একই ব্যক্তি বা সংগঠন বিরোধী পক্ষে গেলে আরেক চেহারা। কথাবার্তা বলার ঢংই আলাদা। 

২। ছোট বেলার কথা। আমার ছোটবেলা মানে সেই ষাটের দশকের কথা। তখন রাজনীতিতে ন্যুনতম মূল্যবোধ বোধ হয় ছিল। রাষ্ট্রনীতি একটা নির্দ্দিষ্ট গতিপথে জনমানুষের সম্পৃক্ততায় বলীয়ান ছিল। সমাজনীতির ঔজ্বল্যে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা স্বস্তির নিঃশ্বাসে বেঁচে থাকার আনন্দ উপভোগ করতো। রাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রশাসনিক উঠান, আইন শৃংখলার গলিপথ, এবং শিক্ষা জগতের আঙ্গিনায় স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতার একটা আবহ বিরাজ করতো। অনুন্নত ও নিম্ন আয়ের দেশ হলেও মানবিক মূল্যবোধের আবেদন সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান ছিল। মানুষের মধ্যে পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ, সহমর্মিতা ও নৈতিকতার আবহ শর্তহীনভাবে বহমান ছিল। সুনির্দিষ্ট নীতির অনুশীলনের মাধ্যমে কৈশরের প্রথম পাঠে রাজনীতি তার ভিত তৈরী করতো। জনপদ রাজনীতির শুদ্ধ উচ্চারনে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্নচারী হোত। এখন নেই কিছু শুন্য হাহাকার। চারিদিকে আবর্জনার স্তুপ। রাজনীতি নামের তঞ্চকতা, কপটতা আর মাসলম্যান দাদাগিরির ছড়াছড়ি। নীতি নৈতিকতা নিয়ে আগের দিনে রাজনীতির অনুশীলন হোত। এখন অর্থ বিত্তের জোরে অনৈতিক অনুশীলনে রাজনীতির লম্বা হাত তৈরী হয়। সে হাত নিয়েই রাজনীতি দৌর্দন্ড প্রতাপশালী হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামোর মাথা হয়। ফলে লক্ষ্যহীন গতিপথে রাষ্ট্রযন্ত্রের অলিগলিতে উইপোকার অবাধ বিচরনের ক্ষেত্র তৈরী হয়। এক সময় রাজনীতি ও রাষ্ট্রাচারের এই সমস্ত উইপোকার অবাধ বিচরন পুরো রাষ্ট্র কাঠামোকে উইপোকার ঢিপিতে পরিণত করে। ফলশ্রুতিতে দেশ রাজনীতি ও জনপদ পরাধীনতার গ্লানিতে শেকলবদ্ধ হয়। 

৩। বলা হয়ে থাকে রাজনীতির বিশুদ্ধ অনুশীলন এবং নিজস্ব স্বকীয়তা ও অস্মিতার আত্ম-বলিয়ানে বাঙালী তার আপন অস্তিত্ত্ব ছিনিয়ে এনেছে। কথা কিন্তু সত্য। কোন বাহুল্য নেই। তবে প্রেক্ষিত বিবেচনায় এনে যদি তার যথার্থতা তুলে ধরা যায় সেক্ষেত্রে রাজনীতির শুদ্ধ উচ্চারন ও অনুশীলনের বিষয়গুলিও সামনে আসবে। বাংলা তথা ভারতীয় উপমহাদেশের হাজার বছরের ঠিকুজি খুঁজলে আমরা যা দেখি তার সবটাই হচ্ছে শেকলবদ্ধ পরাধীনতার গ্লানি। জাত-পাত-ধর্ম-অধর্মের নোংরামী সৃষ্টির মাধ্যমেই বোধ হয় আমাদের মুক্তচিন্তার ভূতটা ঘাড়ে চেপেছিল। তবে অস্তিত্ব পুরুদ্ধারের অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়েই আমরা তখনকার দিনে জাতপাত ভুলে ভারত ভূমি উদ্ধারে একাট্টা হয়েছিলাম। কিন্তু রাজদন্ডের মোহাচ্ছন্নতা যখন আমাদের গ্রাস করলো তখন ধর্ম তত্ত্বের তুলাদন্ডে আমরা বানরের রুটি ভাগের গ্যাঁড়াকলে বলি হলাম। সেই যে বার'শ খৃষ্টাব্দের মুসলমান অনুপ্রবেশের মাধ্যমে ইসলামী প্রচার ও প্রসার শুরু হোল তার যবনিকাই তো হোল ভারত ভেঙ্গে ইসলামী রাষ্ট্র পত্তনের মাধ্যমে। 

৪। বৃটিশ আসার পর রাজনীতির উঠানে ধর্ম তত্ত্বের জাতীয়তাবোধ মাথাচাড়া দিল। আর এটা করিয়েই ভারত শাসনের দীর্ঘ স্থায়িত্বে বৃটিশরা যেন নতুন সালসার স্বাদ আস্বাদন করলো। রাজনীতিকে কলুষিত করা এবং ধর্মীয় প্রফাইলে ফেলে শুধু ভারত কেন বাঙালীকেও devide and rule এর লক্ষ্মন রেখায় দাঁড় করিয়ে তারা মূল জাতিস্বত্ত্বার অস্তিত্ত্বে কুঠারাঘাত করেছিল। এভাবেই রাজনীতি তার নিজস্ব উঠান থেকে বিচ্যুত হয়ে ক্ষমতার দন্ড আবিস্কার করে। জাতিগত, আঞ্চলিকতা, ধর্ম তত্ত্ব, উপজাতি তত্ত্ব, আদিবাসী, মূল নিবাসীসহ আরো কত সব মৌলিক চাহিদায় রাজনীতি এখন টাকা আনা পয়সার খুচরো বাজারে রূপ নিয়েছে। 

৫। রাজনীতির আদর্শ নীতি নৈতিকতা কতটা নিম্নগামী হলে রাষ্ট্রের প্রশাসন ও আইন শৃংখলায় উমেদারীর দৃশ্যমানতা প্রকাশ্য হয় তার জলজ্যান্ত নাটকীয় মঞ্চায়ন কি আমরা দেখছি না? ষোল কোটি জনপদের ছোট্ট ভূখন্ডে তিন-চার'শ জন শপথ নেয়া রাজনীতিবিদ বাদে রাষ্ট্র যন্ত্রের বাদবাকী দশ-বার লক্ষ কর্মী বাহিনী আছেন যারা শপথনামার দাসখত দিয়েই তো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হন। সেক্ষেত্রে শপথের ভিন্নতা থাকলেও মূল বক্তব্য কিন্তু এক। আর এই  দশ-বার লাখ রাষ্ট্রীয় মেকানিজমের কর্মী বাহিনী কোন ক্ষেত্রেই রাজনীতির অংশ নন। তারা একটি স্বাধীন সার্বভৌম গনপ্রজাতন্ত্রী দেশের গন কর্মচারী। দেশের সর্বময় আইন শৃংখলা থেকে শুরু করে জনপদের সাংবিধানিক সমস্ত কিছুর অধিকার সংরক্ষনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী তারা। অথচ রাজনীতির বেনিয়াবৃত্তি ও তঞ্চকতা এবং পেশী শক্তির যাঁতাকলে পড়ে আজকের দিনে স্বাধীন সার্বভৌম বাঙালীর রাষ্ট্রীয় মেকানিজম রাজনীতির সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। অতি সাম্প্রতিক শপথ নেয়ার পর পরই যেসব নাটকীয়তা মঞ্চস্থ হচ্ছে ওই নির্বাচন কমিশন নামক সাংবিধানিক টেবিল থেকে সেটার মোজেজা তো আজকাল সাধারন খেটে খাওয়া মানুষজনও বুঝে। জেলা প্রশাসক ও শৃংখলা বাহিনীর জেলা আধিকারিকদের নিয়ে যে শৃংখলা ভঙ্গের ইতিহাস তৈরী হোল তার উত্তর কে দেবে? এত মারা মারামারি কাটাকাটি সন্ত্রাস হোল স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচনে, না হলেও শ'দেড়েক জীবনের অকাল প্রয়ান হোল - সেখানে তো নির্বাচন বন্ধ হয়নি। কি এমন হ্যাবল টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে উনারা নির্বাচন বন্ধের আলামত দেখলেন যে গাইবান্ধার উপ নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করা হোল! এসবের এন্তেজাম করে নিজেদের শক্তি ও নিরপেক্ষতা দেখাতে চাইলেন কি তারা? নাকি ইভিএম ও নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার চলমান গন চাহিদার দাবিতে জল ঢালতে চাইলেন!

৬। এটাই কি চেয়েছিলেন আমাদের প্রবাদ প্রতীম মহান নেতা তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলায়! তাঁর চাওয়া ও আজকের চাওয়ার মধ্যে যোজন যোজন ফারাক আমরা খুঁজে পায়। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যুদ্ধ বিদ্ধস্ত সোনার বাংলা গড়তে হলে সমস্ত বাঙালীকে একমুখী হয়ে, এক আদর্শ নিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। ফলশ্রুতিতে রাজনীতির শুদ্ধ উচ্চারনেই তিনি তার অন্তরে পুষে রাখা সোশ্যালিজমের খুঁটি গেঁড়ে এদেশকে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। আজকে রাজনীতি নামের কুজ্ঝটিকা তৈরী করে যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হওয়ার নাটক মঞ্চস্থ করে হালুয়া রুটির ভাগ বাটোয়ারায় নিজেদের পেট মোটা করছেন, তারা কি আদৌও সেই মহা পুরুষের স্বপ্নের পথে হাঁটাচলা করছেন? রাজনীতির সেই সেরা মানুষটিকে সের দরে বিক্রি করে তারা সোয়া সের হওয়ার প্রতিযোগিতায় মত্ত নয় কি? বঙ্গবন্ধু সমস্ত বাঙালীকে এক পাটাতনে রেখে এক সুষম বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলেন। আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক সেজে, বাঙালীয়ানার অনুশীলনের ভড়ং দেখিয়ে যারা রাজনীতিকে কলংকিত করছেন তারা কারা? কোন্ আদর্শের কথা ব'লে, কোন্ বাঙালীয়ানার অনুশীলন ক'রে আজকের দিনে গুটিকয় দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী, শেয়ার লুটকারী, ব্যাংক লুটকারীর দল বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক সেজেছেন তা বলা যাবে কি? রাজনীতির কোন্ আদর্শে বলিয়ান হয়ে দেশটাকে অস্থি-চর্ম-হাড্ডিসার আদমের দেশ তৈরীর মচ্ছ্ববে একাট্টা হয়েছেন তারা! 

৭। ভাগ্যের জোর ও মহান সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় বেঁচে যাওয়া রক্ত পরম্পরার দুই উত্তরসুরীকে সামনে রেখে যারা বাংলায় রাজনীতির নামে লুটপাট, সন্ত্রাস আর দুর্নীতি ও সম্পদের পাহাড় তৈরী করছে, তাদের অস্তিত্ত্ব কি আদৌও চেতনা ও আদর্শের সম্পুরক? কম তো দেখা হোল না। বঙ্গবন্ধু নেই তো তাঁর আওয়ামী লীগও ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ছোট ছোট সমিতিতে রূপ নিল। টুকরো টুকরো শাখা উপ শাখায় ব্র‍্যাকেটীয় সেই ব্যক্তি স্বার্থের আওয়ামী লীগ আমরা দেখেছি। সুতরাং এসব রাজনীতির প্রয়োজনটা কোথায়? স্বার্থ শেষ তো আদর্শও শেষ। রাজনীতি করতে গিয়ে আমরা কয়জন মুজিব জিয়া পেয়েছি? মুজিবের পাশে জিয়ার নামটি দেখে অনেকেরই গাত্রদাহ হবে। কিন্তু অঙ্গুল তুলে দেখান তো ওই দুজনের বাদে বাংলার মাটিতে আর কোন রাজনীতি আছে কিনা? ওদেরকেই বেচা-বিক্রি করেই তো আমাদের রাজনীতির ডংকা বাজছে বাংলার গ্রামে গঞ্জে অলিগলিতে। আমরা তো সেই মুজিব জিয়াকে নিয়েই আমাদের ভাগ্যান্বেষনের হালখাতায় শান দিয়ে চলেছি প্রতি নিয়ত। বাংলাদেশের রাজনীতি মানেই তো এই দুই সম্মানিত ব্যক্তির নাম। তাদের ছবি সম্বলিত কোটপিন বুকে লাগিয়ে, তাদের আদর্শের বিককিনি করে কানাডা মালেশিয়ায় নিজেদের সেকেন্ড হোম বানাচ্ছি আমরা। এই যদি রাজনীতির ফালনামা হয় তবে সে রাজনীতির হাল খাতা বন্ধ হওয়া উচিত নয় কি?

৮। বঙ্গবন্ধু তো অনেক কথাই বলে গেছেন। উনি পেরেছেন বলতে। কারন রাজনীতির প্রকৃত উঠানেই উনার বিচরন ছিল। উনি দ্ব্যার্থহীন ভাষায় তাঁর সহচরদের বলেছেন 'যেদিকে তাকাই শুধু চোরের খনি'। আমরা কি ভুলে গেছি, সিভিল ও আইন শৃংখলার কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে উনি কি বলেছিলেন। উনি কি বলেন নি 'তোমরা জনগনের কর্মচারী। নিজেদেরকে রাজ কর্মচারী ভেবো না'। জানি, রক্ত পরম্পরার দুই উত্তরাধিকারীর সাথে এখন হাজারো উত্তরাধিকারীর জোড় লেগেছে। কিন্তু ধারন করা এবং বুক চিতিয়ে সেই মহা পুরুষের মত হুংকার দেয়ার অবশিষ্ট সবেধন নীলমনি বলতে তো ওই দুজনই। রক্ত পরম্পরার বিচ্ছুরন তো ওখানেই লক্ষ্মন রেখা টেনে দিয়েছে বলে মনে হয়। কথাগুলি অযাচিত হলেও অবাঞ্চিত বলে কি উড়িয়ে দেয়া যাবে? রক্ত পরম্পরার ক্ষীন সলতেটি ছিল বলে মুক্ত জমিনের শক্ত উঠানে এখনো বুক টান হয়ে আছে আমাদের। 

পরম্পরা রাজনীতির দ্বিতীয় চিন্তার দিকে তাকালে, সেখানেও সুখকর কিছু পাওয়া যাবে কি? আইন-কানুন ও জেল জুলুমের অজুহাতে (স্বেচ্ছা) নির্বাসনে থেকে আমজনতার মধ্যমনি হওয়া যায় কি? জেনারেলের সততা ও দেশপ্রেম এবং জন সম্পৃক্ততা বাংলার সাধারন মানুষকে কাছে টেনেছিল বলেই হয়তো এদেশের সিংহভাগ জনগোষ্ঠী একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল তাঁর রাজনৈতিক উঠানে। কিন্তু রক্ত পরম্পরার জোশে একদিন দু'দিন, খুব জোর তিন দিন। পরের দিন যখন অবজেক্টকে কাছে পাওয়া যাবে না তখন দূরে সরে যাওয়ার খেসারত গুনতে হবে বলেই তো মনে হয়। এটা বাস্তবতা নয় কি? অভিজ্ঞতা তো তাইই বলে। পঁচাত্তর থেকে একাশি পর্যন্ত আমরা দেখেছি। কি নাকাল অবস্থাই না গেছে রাজনীতির ঐতিহ্যবাহী প্ল্যাটফরমটির। নামে নামে দল, নামে নামে চেতনা ও ঐতিহ্যের সাইন বোর্ড। এমনকি একাশি-বিরাশির সময়েও পরম্পরাহীন উঠানে রাজনীতির কি আকালেই না পড়েছিল দেশ। সুতরাং রাজনীতির এসব উত্তরাধিকারীয় পরম্পরার আঁচলেই চলমান আমাদের তথাকথিত গনতান্ত্রিক (!) রাজনীতির পঠন পাঠন। আশীর্বাদ না অভিশাপ, জানিনা। তবে এটাই বাস্তবতা।

৯। গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে ঝোঁপ ঝাড়ে এক ধরনের নিরীহ কাঁটা গাছ দেখা যায়। সবুজ খাঁজকাটা পাতা সমৃদ্ধ গাছগুলি পুকুর পাড়, রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় এমনকি বাড়ি ঘরের আশে পাশেও জংলা আকারে বেড়ে উঠে। ইদানীং তো ওসব শক্ত ডালের গাছ সৌখিন বাগানেও ডেকোরেশন সমৃদ্ধ করে পরিচর্যা হতে দেখি আধুনিক নগর ও শহর ব্যবস্থার অভিজাত এলাকায়। গাছটির বৈশিষ্ঠ হলো ওর ফুল। ছোট ছোট লাল হলুদ ফুল গাছটির সৌন্দর্য্যে এক অপরূপ আকর্ষন সৃষ্টি করে। গ্রাম বাংলায় অযত্ন অবহেলায় বেড়ে উঠা এই গাছগুলিকে সাহেব কাঁটা বলে চিনে সবাই। অর্থাৎ প্রকৃতির খেয়ালে গজিয়ে উঠা জংলা গাছ হলেও তার আকৃতি ও গঠন প্রকৃতি বেশ ছিমছাম। তাছাড়া ওইসব গাছের ছোট ছোট বাহারী রঙের ফুলগুলি এক অপরূপ সৌন্দর্য্যের প্রতীক বলেই মনে হয়। আমাদের বর্তমান সময়ের রাজনীতির উঠান ঐসব সাহেব কাঁটা সদৃশ্য এক অসম উঠানের বাগান নয় কি? কি সুন্দর সাজানো পরিপাটি গাছ আর তারই ডালে ফুটে উঠা বাহারী আকর্ষনীয় ফুল। বাংলার জনপদও গোছানো পরিপাটি এবং আপন অস্মিতায় উজ্জ্বল। তারই মাঝে ফুটে আছে রক্ত পরম্পরার ফুল সদৃশ্য রাজনৈতিক চাহিদার নীলপদ্ম। তারাই আমাদের আশা ভরসার উৎস। আসুন না রাজনীতির কটকাকীর্ণ ভূমি থেকে এসব কাঁটা নির্জীব করে ফুটে উঠা ফুলগুলিকে সমৃদ্ধ করে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির উঠান তৈরী করি। মহান পুরুষদের অনুসরন করে বাংলার রাজনীতি তাদেরই দেখানো নীতি, নৈতিকতা, সহমর্মিতা এবং পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধের আলোয়  সমৃদ্ধ হোক। শুদ্ধতা ও স্বচ্ছ্বতায় রাজনীতি তার আপন মহিমায় উচ্চকিত হোক।

বিষয়:
avertisements 2
পপ তারকা থেকে নীলছবির নায়িকা, আয় কোটি টাকা
পপ তারকা থেকে নীলছবির নায়িকা, আয় কোটি টাকা
৯/১১-র ধাঁচে রাশিয়ায় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের
৯/১১-র ধাঁচে রাশিয়ায় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের
দুই চীনা তরুণীর স্বপ্নে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটারিচালিত রিকশা
দুই চীনা তরুণীর স্বপ্নে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটারিচালিত রিকশা
‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য ডিটেনশন সেন্টার খুলবে ভারত
‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য ডিটেনশন সেন্টার খুলবে ভারত
একটি ডিমের দাম ৩০ হাজার টাকা!
একটি ডিমের দাম ৩০ হাজার টাকা!
ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘জোর করে’ হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বক্তব্য ভাইরাল!
ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘জোর করে’ হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বক্তব্য ভাইরাল!
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা কী বিশ্বাসযোগ্য?
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা কী বিশ্বাসযোগ্য?
ফেক আইডি, তছনছ জীবন
ফেক আইডি, তছনছ জীবন
চাঁদা না দেওয়ায় শাহবাগের দোকান বন্ধের হুমকি ছাত্রদল-যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের, সিসি ক্যামেরায় পড়ল ধরা
চাঁদা না দেওয়ায় শাহবাগের দোকান বন্ধের হুমকি ছাত্রদল-যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের, সিসি ক্যামেরায় পড়ল ধরা
বিশ্ব ইজতেমার ভবিষ্যৎ কী?
বিশ্ব ইজতেমার ভবিষ্যৎ কী?
বাংলাদেশ-ভারত : এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন বৈরী 
বাংলাদেশ-ভারত : এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন বৈরী 
ইসরায়েল হামলায় সাত শিশুসহ একই পরিবারের ১০ ফিলিস্তিনির  মৃত্যু
ইসরায়েল হামলায় সাত শিশুসহ একই পরিবারের ১০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
বিএনপির একঝাঁক তরুণের হাতে পূর্বসূরির ঝাণ্ডা
বিএনপির একঝাঁক তরুণের হাতে পূর্বসূরির ঝাণ্ডা
কিয়েভে ৬ বিদেশি দূতাবাসে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
কিয়েভে ৬ বিদেশি দূতাবাসে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
সারা দেশে ‘জয় বাংলা কিলিং মিশন’ গঠনের প্রস্তাব, ভিডিও ভাইরাল
সারা দেশে ‘জয় বাংলা কিলিং মিশন’ গঠনের প্রস্তাব, ভিডিও ভাইরাল
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর  আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
avertisements 2
avertisements 2