জালাল উদ্দিন আহমেদ
চাই স্বপ্নের স্বচ্ছ্বতা ও পরিশুদ্ধ উঠান
প্রকাশ: ১০:৪৬ পিএম, ৮ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০২:২৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ইদানীং সময়টা ভাল যাচ্ছে না আমাদের। সব কিছুতেই কিছু না কিছুর ক্ষত বের হচ্ছে আমাদের চলার প্রতিটি পদক্ষেপে। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের চলার পথে প্রতিটি স্টেপে মানুষ হোঁচট খাচ্ছে। মানুষের নৈতিকতা এমন এক পর্যায়ে নেমে গেছে যে চারিদিকে মানুষ নামের “মন্হুশ”দেরই শুধু দেখা যাচ্ছে। কোথায় যাব আমরা! কত স্বপ্ন নিয়ে, গায়ের রক্ত ঝরিয়ে, তিরিশ লক্ষ বাঙালীর জীবন কুরবানী দিয়ে এবং দু লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হানির বিনিময়ে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতাকে অর্জন করেছি। এক নেতা এক দেশ স্বপ্ন নিয়ে আমরা লাল সবুজের পতাকাকে বুকে ধারন করেছি। জমিতে ফসল ফলানোর শুভারম্ভে দুর্বৃত্তের পৈশাচিক হটকারিতায় আমরা আমাদের মহান নেতাকে পরিবার পরিজনসহ হারিয়েছি। টাল মাটাল ওইসব সময়গুলিতে আমাদের শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও অকালে এবং বিয়োগান্তক কায়দায় হারাতে হয়েছে। যে বাঙালী এক চেতনা, এক নেতা ও এক শ্লোগানে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশ গড়ার মানসিকতায় বাংলাদেশের স্বপ্নে টইটম্বুর ছিল সেই বাঙালী স্বাধীনতার এক দশকের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন স্রোতধারায় তাদের হাঁটার পথ তৈরী করে ফেললো।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান থেকে মহান নেতার ছায়াতলে যখন বাঙালী তাদের সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ঠিক তখনই বাংলাদেশ বিরোধী প্রেতাত্মাদের অশুভ কষাঘাতে সব লন্ডভন্ড হয়ে গেল। হাল ধরার পাদপ্রদীপে যারা ছিলেন তাদেরকেও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হোল। অবশিষ্টের শেষ সম্বল অর্থাৎ অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করার সেই অমিত তেজের মুক্তিযোদ্ধাদের সেরা দলটি তখন সামনের সারিতে অবধারিতভাবেই চলে এলেন। তারা ছিলেন নেতার আদর্শে বলীয়ান হওয়া দেশসেরা মুক্তিযোদ্ধাদের সেইসব সৈনিক যারা বাঙালী ও বাংলাদেশকে তাদের মত করে ভালবাসতেন। ঘটেছিলও তাই। তারা মাটি ও মানুষের জাতিগত, সামাজিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে দেশ পরিচালনার দিকে মনোযোগী হলেন। ফলে মহান নেতার আদর্শে পরিচালিত এক দেশ এক নেতা এবং সর্বশেষ সংযুক্ত এক দল সমন্বয়ের এই মহাপরিকল্পনার ভষ্মে ঘি পড়ে গেল। বাংলার মানুষের একটা বৃহৎ অংশ তখন তার জাতিগত জন্মের পুরনো ঐতিহ্যে ফিরে যাওয়ার সুখস্বপ্নে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লো। এবং এভাবেই ক্ষমতার বলয়ে সৃষ্টি হোল মুক্তিযোদ্ধা ও জাতি তত্বের সমন্বয়ে এক খন্ডিত চেতনার আবহ। অর্থাৎ রাজনৈতিক অপরিপক্কতা ও প্রশাসনিক অদক্ষতার কারনে মাত্র এক দশকে একটি সদ্য স্বাধীন দেশের চেতনা ও ঐক্য দ্বিখন্ডিত হোল। কারন হিসাবে পন্ডিতেরা বলে থাকেন, সে সময় অর্থাৎ পাকিস্থান স্থায়িত্বের শেষ সময় এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়টুকুতে বাঙালী এক দেশ, এক নেতা ও এক স্লোগানে ঐক্যবদ্ধ ছিল কিন্তু পরবর্তীতে মুক্ত দেশের আবহে রাজনৈতিক নেতৃত্বের নিরঙ্কুশ দলটি সেই ঐক্য টিকিয়ে রাখতে পারেনি। তারা পাকিস্থানী ঘরানায় দম বন্ধ করা বাঙালীর এক হয়ে উঠার সেই নিরংকুশতাকে সদ্য স্বাধীন দেশের মানদন্ড ভেবে প্রচন্ড বিক্রমে দেশ শাসনে ব্রতী হয়েছিল। পন্ডিতেরা এও বলেন, সে সময় সদ্য স্বাধীন দেশে যদি সর্বদলীয় ও সুধী সমন্বয়ে দেশ পরিচালনায় সেই দলটি অগ্রসর হোত এবং পরাধীন অবস্থানের দলীয় নিরংকুশতার ময়ুর পুচ্ছ ঝেড়ে ফেলতো তাহলে তাদের মধ্যে তৈরী হওয়া সেই “হামবড়া” অহমিকার জন্ম নিত না। বরং জন্ম লগ্নের শুরুতে মুক্ত স্বাধীন দেশে একটি রাজনৈতিক সহমর্মিতা ও সহবস্থানের মজবুত ভিত তৈরী হোত।
সুতরাং যা ঘটেছে তা তো ইতিহাস। ইতিহাসের পঠন পাঠনে যা ঘটে তাকে ছাই চাপা দিয়ে রাখা বড় মুস্কিল। ঘটলোও তাই। ফলে পূর্ব পুরুষীয় এসেন্স গায়ে মেখে খাকি পোষাকের সেরা মুক্তিযোদ্ধারা দেশে এক কৃত্রিম মেলবন্ধনের শাসন ব্যবস্থা চালু করলো। একসময় খন্ডিত চেতনায় লালিত শংকর প্রজাতির শাসক গোষ্টী মিত্র বানিয়ে সঙ্গে রাখা কৃত্রিম বাংলাদেশ প্রেমীদের সাথে আর কুলিয়ে উঠতে পারলো না। ফলে চেতনাবিহীন এক উদ্ভট প্রেতাত্মা এসে তাদের ঘাড় মট্কে ক্ষমতার মস্নদে বসলো। অক্ষ শক্তির প্ররোচনা ও মুসলিম দেশ সমূহের অকুন্ঠ সমর্থনে সেই উদ্ভট শাসনের প্রেতাত্মা এক দশক জুড়ে এক ভুতুড়ে ও উদ্ভট রাজত্বের ভিত্তি গড়ে তুললেন। মানুষ পেট্রোডলারের অবাধ প্রবাহ ও ইসলামী জোশের হুজুগে নিজের অস্তিত্ব ভুলে যেতে বসলো। কিন্তু রাজনৈতিক বিচক্ষণতা ও বাঙালীয়ানার শেকড়ের টান বাঙালীকে তার আপন অস্তিত্বে ঘরমুখী করলো। তারপর বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আমরা আমাদের পরম কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের পাদ প্রদীপে এলাম ঠিকই কিন্তু যে ভাঙ্গন ও অহমিকায় আমাদের উত্তরাধিকারীরা তাদের মতো করে দেশ শাসনে ব্রতী হলেন তাতে জাতি গঠন ও দেশ বিনির্মানে পয়স্তির জায়গায় সিকস্তির প্রাধান্যই প্রকট হয়ে উঠলো। সময়ের আবর্তে এখন আমরা সেই উত্তরাধিকারের “ডিম আগে না মুরগি আগে”র কাইজ্যা ফ্যাসাদের মধ্যেই দিন গুজরান করছি।
দেশে উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে। এটি একটি ধারাবাহিক কর্ম প্রক্রিয়া। আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের মুখপাত্ররা ইদানীং “টেকসই উন্নয়ন” নামের একটি কথা খুব জোরেশোরে উচ্চারণ করেন। এবং কেতাবী কায়দায় বইয়ের থিউরি গুলো তারা যেভাবে আওড়ান তাতে মনে হয় সব ঠিকঠাকই আছে এবং উন্নয়নের সিঁড়িগুলো আমাদের খুব সহজেই ধরা দিচ্ছে। কিন্তু উন্নয়ন যে কি তার সংজ্ঞাটাই বোধ হয় আমরা ভুলে গেছি। অলিগলিতে ঝাঁ চক্চকে বিল্ডিং অপরিকল্পিত ফ্লাই ওভার কিংবা উন্নয়ন নামক প্রকল্প গ্রহনের নামে জনগনের লক্ষ কোটি টাকা তছরূপের মহোৎসব করে আমরা আজ উন্নয়নের সিড়ির প্রতিটি ধাপে একগুচ্ছ দুষ্ট কীট জন্ম দিয়ে বাংলার আকাশ বাতাস ভারি করে তুলছি। বড় বড় যত সব মহাপরিকল্পনা গ্রহন করে দেশ ও জাতির ভিত মজবুত করার পরিবর্তে আমরা আমাদের বুনিয়াদি কাঠামোর ভিতে উইপোকার চারা রোপন করছি। অবকাঠামোর পাঁচ হাজার টাকার ইট পাঁচ লাখ টাকায় কিনছি ক্ষতি নেই। পঞ্চাশ কোটি কিলোমিটারের রাস্তা পাঁচ’শ কোটি টাকা খরচ করছি তাতেও ক্ষতি নেই। আবার পাঁচ’শ টাকার বালিশ দু লাখ টাকায় কেনা হচ্ছে তাতেও ক্ষতি নেই। কিংবা ন’হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নব্বই হাজার কোটিতে রফা করছি সেখানেও আপত্তি নেই। আপত্তি নেই ষাট টাকার দুধের বিশুদ্ধতা মাপার যন্ত্র তিন লাখ টাকায় কিনলেও। অসহায়ের মত চেয়ে দেখি গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলির লঙ্কাকাণ্ডের চিত্র। টিআর কাবিখার চিত্রেও আমরা সহনীয়! গত এক দশকে ব্রীজ-কালভার্ট নির্মানের নামে যে তুঘলকি কান্ড হোল বা হয়েই যাচ্ছে সেটাও সহনীয়। কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নের নামে যা কিছু হচ্ছে বা দেশব্যাপী গ্যাস পাইপ লাইন বসানোর নামে যা হচ্ছে অথবা কক্সবাজার উন্নয়নের নামে সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প! গবাদি পশু উন্নয়ন - দুগ্ধ উন্নয়ন - ছাগল উন্নয়ন - ভেড়া উন্নয়ন – সবজি উন্নয়ন - মৎস উন্নয়ন - ঘাট উন্নয়ন - মাঠ উন্নয়ন - হাট উন্নয়ন - বিদ্যুৎ উন্নয়ন - গ্যাস উন্নয়ন – পদ উন্নয়ন- পদবী উন্নয়ন – এরকম হাজারো উন্নয়নে ভীড়ে আমরা আজ হারিয়ে গেছি। নিজেকে হারিয়ে আজ উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে বাড়াচ্ছি আমরা। একজন বলছেন অনুন্নত, অন্যজন বলছেন স্বল্পোন্নত,কেউ বলছেন মধ্যম আয়, আবার খাস খাজাঞ্চি সাহেব বলছেন – উন্নয়নশীলদের রোল মডেল। একটু দাঁড়ান, উন্নতদের কাতারে এলাম বলে! নব্বই হাজার কোটি টাকার বাৎসরিক বাজেট আজ পাঁচ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছে।
আমাদের উন্নয়নের বাহারী আয়োজনে আজ বাংলার ষোল কোটি জনগনের প্রত্যেকের দু’শ ছয়খানা হাড়ের পোষ্ট মর্টেম ইতিমধ্যে করে ফেলেছি। শিক্ষা উন্নয়নের কথা বলে আমরা জিপিএ গোল্ডেন এ প্লাসের মুলো ঝুলিয়ে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে তোতাপাখি বানাচ্ছি। ডিগ্রি দেয়ার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাট বসিয়েছি বাণিজ্যের হাটুরেদেরকে দিয়ে। স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে নগর-বন্দর গ্রাম-গঞ্জে যে “সূর্যের হাসি ও আধুনিক” নামের পোষ্টবক্সগুলো বসিয়েছি তার অসহায়ত্ব ও ফোঁকলা দাঁত আমরা এই কোভিড-১৯ এর ছোবলে টের পেলাম। শিল্প-সংস্কৃতির নামে যা কিছু উন্নয়ন তাতো “দাদাময়” আবহের ঘোলাটে আচ্ছন্নতা আর বিজেপি নিয়ন্ত্রিত অবাধ প্রবাহের “জি এর জোঁক’। যে জোঁকের ছোবলে আমার বাংলার শাশ্বত আবহের বাঙালীয়ানা আজ ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের জোয়ারে শুধু দেয়ার কথা শুন্ছি আর দেখছি। কিন্তু পেলাম শুধু সন্দেহ ও অবিশ্বাস। উন্নয়নের নামে যা কিছু হচ্ছে তার যোগফল কি? হাঁ, আছে! সেটাও বেশ মোটাতাজা। এক টাকার বিদ্যুতের ইউনিট চার্জ সাত টাকা। আড়াই’শ টাকার গ্যাস হাজার টাকা। ছ’শ টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স চার হাজার টাকা। আট আনার চাল আঠান্ন টাকা যা কৃষক বেচে আঠাশ টাকায়। আট আনার লবন চল্লিশ টাকা। আট টাকার দুধ আশি টাকা। এক’শ পঁচিশ টাকার ড্যানো দুধ বার’শ টাকা। চার টাকার লুঙ্গি চার’শ টাকা। আট টাকার শাড়ী আট’শ টাকা। আড়াই টাকার স্কুল ফি আট’শ টাকা। দশ টাকার চটি এক’শ টাকা। কিন্তু মানুষের নৈতিকতা! সামাজিক মূল্যবোধ! সমাজ সচেতনেতা! সমাজ কাঠামোর ঐতিহ্য! আর মানব সম্পদের উন্নয়নে আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প কোথায়? হয়তো কাগজ কলমে সবই আছে।
আমরা চেতনার কথা বলি। পিতার আদর্শের কথা বলি। একজন সৈনিকের সততার কথা বলি। তার স্ত্রীর আপোসহীনতার কথা বলে আন্দোলিত হই। উত্তরাধীকারের স্বকীয়তায় কন্যার দৃঢ়চেতা রাজনীতির বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা আশার আলো দেখি। কিন্তু এইসব আলোক ছটার পাদদেশে বিচরন করা পরজীবিদের আমরা কি ছাঁকুনি দিয়ে ছেঁকেছি কখনো? নেতৃত্বের মোড়কে চাপিয়ে দেয়া এসব রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাংলার আবহমান শুদ্ধতার চিরায়িত কৃষ্টি কালচারে বাংলাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। উন্নয়নের ঝক্মকে জৌলুষে না থেকে গ্রাম বাংলার বুনিয়াদি উৎকর্ষতা বাড়ানোর মানসিকতায় এগিয়ে আসতে হবে। সমাজ সংসারের মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ মেরামতে হাত লাগাতে হবে। মানুষের মুখের অন্ন যোগানে কৃষি ক্ষেত্রে কথিত টেকসই উন্নয়ন এবং তার উৎপাদন পরবর্তী সরবরাহ ও মূল্য সংযোজনে রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোকে মজবুত করে সাজাতে হবে। ছাত্র সমাজে উপর থেকে চাপিয়ে দেয়া রাজনীতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। না হলে আজকের দিনে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া ধর্ষন হত্যা ও অসামাজিক কার্যক্রমের যে মহোৎসব চলছে তা বাড়বে বৈ কমবে না। সরকারী অফিস আদালতে রাজনীতির প্রকাশ্য মেরুকরন বন্ধ না করতে পারলে যেমন সাত খুনের আসামির জামিন বা সাধারন ক্ষমায় মুক্তি হবে তেমনি তিন’শ টাকার বালিশ তিন লাখের জায়গায় তিরিশ লক্ষও হতে বেশী সময় লাগবে না। পাশাপাশি লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশ কাঠের পরিবর্তে হয়তোবা খড় বিছিয়েও ব্রীজ কালভার্ট বা ছাদ ঢালায়ের চিত্র আমাদের হজম করতে হবে। রাজনীতির বখে যাওয়া দুর্বল,অস্বচ্ছ ও উলঙ্গ আচরন আজ সমাজ, প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের প্রতিটি আঙ্গিনায় দীপ্তমান। বহুমত ও পথের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার দেশে আজ আইনের শাসন, মুক্ত চিন্তার অনুশীলন, মনুষ্য বুনিয়াদ নির্মানের নৈতিক আবহ এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক স্বচ্ছতা, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ দূর আকাশের তারার মত টিমটিম করছে। ওকে কাছে টেনে আনতে হবে। ওর আলোয় ছোট্ট ভূখন্ডের এই সমাজবদ্ধতাকে পরিশুদ্ধ করার কাজে হাত লাগাতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে গড়ে তুলতে হলে চাই স্বপ্নের স্বচ্ছতা ও বাঙালীয়ানার পরিশুদ্ধ উঠান।