avertisements 2
Text

জালাল উদ্দিন আহমেদ

স্মৃতিদীপ-৬

প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ মে,শনিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৬:০৪ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

স্কুল জীবনে পড়াশুনার দিকটা খুব যে উজ্জ্বল ছিল তা কিন্তু বলা মুস্কিল। অবশ্য এই ব্যাপারটা এখনকার বয়সে এসে বেশ ভাল বুঝি। কারন প্রাইমারী জীবনে বাংলা ইংরেজী অংক বিজ্ঞান পড়েই হাইস্কুলের চৌকাঠে পা দিয়েছি। হাইস্কুলে এসেও সেই একই চক্র। তবে ইংরেজী বাংলার সাথে যোগ হোল সমাজ বিজ্ঞান বা সোশ্যাল স্টাডিজ। ক্লাস সেভেনে এসে জ্যামিতি বীজগনিত। আবার নাইনে উঠেই বিজ্ঞান কলা ও বাণিজ্যের বিভাজন। মফস্বল শহরের শহরতলীর গ্রাম্য পরিবেশে ওই ষাটের দশকের পড়াশুনার হালচাল যে কতখানি উন্নত হতে পারে সেটা তারাই ভাল বুঝবেন যারা এই পাটাতনে উঠে নিজেদেরকে গড়ে তোলার সংগ্রামে সামিল করেছেন। সামগ্রিক বিবেচনায় তা কখনোই এখনকার এই সুষম সামঞ্জস্যতার তুলনায় মিলানো যাবেনা। তবে বিচক্ষনতার আঙ্গিকে ব্যতিক্রমী কিছু কিছু রত্নতুল্য শিক্ষকের ছোঁয়া আমরা পেয়েছিলাম বলেই হয়তো যুগের হাওয়াকে সামলে নেয়ার সক্ষমতায় আমরা উৎরে গেছি। সেক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দিতার রেশ রক্ষার্থে চেষ্ট পেপার ইত্যাদির আনাগোনা থাকলেও নোটবুক কিংবা ব্যাচ কোচিংএর অভিশপ্ত চ্যাপ্টারের মধ্যে আমাদের বিচরন ছিল না বললেই চলে। তবে পড়া, শোনা এবং প্র‍্যাকটিসের তাগিদে আমাদেরকে প্রতিটি ক্লাসের গ্র‍্যাজুয়েট হয়েই পরবর্তী ক্লাসে যোগ্য হয়ে পা রাখতে হোত। এখনকার মত অর্ধবাৎসরিকের পড়াশুনা বাৎসরিকের পরীক্ষায় অপাংতেয় বলে বিবেচিত হোত না। অর্থাৎ একটি ছাত্র যখন এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসের যোগ্য হোত তখন তাকে বাৎসরিক পরীক্ষায় টেক্সটবুকের সমগ্র সিলেবাসের পরীক্ষা দিয়েই বৈতরনী পার হতে হোত। ফলে আমাদের সময়ে জানার ব্যপ্তিটা ক্ষনিকের সেমিস্টার বা হাফ ইয়ার্লীতে খন্ডিত হোত না। এবং এন্যুয়াল পরীক্ষাটা সামগ্রিক পাঠ্য পুস্তকের এসেসমেন্টেই করা হোত। আর পড়ার বাইরেও আরো কিছু সমাজ তাত্ত্বিক ও মানসিক শ্রীবৃদ্ধিতে শিক্ষকেরা আমাদেরকে সময় দিতেন। ফলে সমাজ কাঠামোতে থেকে সমাজ ব্যবস্থার টুকিটাকি জ্ঞানগুলি আমাদের মগজে ঢুকিয়ে দেয়া হোত। ওসব ছিল দেশীয় বা জাতীয় চেতনার রাজনীতি রাষ্ট্রনীতি ও সমাজনীতির দেশাত্মবোধক টুকিটাকি ফুটনোট। বলে রাখা ভাল, আমরা যে সময়টাই বড় হুওয়ার জন্য ধাপগুলি পার করেছি তখন সমাজে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি শিক্ষকরাই সমাজে গণ্য মান্য বলে বিবেচিত হতেন। 


তবে আফসোসটা সারাজীবনের জন্যই গেঁথে গেল এই কারনে যে মহাকুমা শহর সংলগ্ন শহরতলীর গ্রামে বেড়ে উঠা একজন কিশোর তার কৈশরে বেড়ে উঠার প্রতিটি ক্লাসে প্রথম হয়েই সিঁড়ি টপকালো ঠিকই কিন্তু মাধ্যমিক পর্যায়ের পাবলিক পরীক্ষায় গড়পড়তা হয়ে গেল। শিক্ষা পরিচর্যার উন্নতমানের দিকগুলি থেকে বঞ্চিত হওয়ার ফসল ছাড়া এটাকে আর কিই বা বলা যায়। কথাটি আফসোস নিয়েই বলছি। ক্লাস নাইনে উঠার পর যেন মনে হোল নৌকায় চড়ে ভাসমান সাগরে আমি খাবি খাচ্ছি। বিজ্ঞানের জটিল সব সমীকরন ইত্যাদি পড়াচ্ছেন ঐ গ্র‍্যাজুয়েট শিক্ষকেরা। কেমিস্ট্রী বাইলজির জটিল সব বিষয়াদির আলোচনা শুনছি ঐ সিম্পল বিএসসি টিচারের কাছে। ক্ষমা করবেন। আমার স্কুলের বর্তমান অবস্থানের কেউ যদি এটা পড়েন তবে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে নিবেন আমার এই অসহায়ত্ত্বের কথাগুলিকে। যাহোক, এরকম পরিবেশ ও পরিচর্যায় চেষ্ট পরীক্ষাকে সামনে রেখে বড় ভাইয়া তার বন্ধু রামপুরহাট হাইস্কুলের অংকের শিক্ষক শ্রী শরদিন্দু স্যারকে(নামটা সঠিক মনে আসছেনা। তবে ওই রকমই হবে হয়তো) আমাকে জেনারেল ম্যাথ ও এডিশ্যানাল ম্যাথটা পড়ানোর জন্য অনুরোধ করে একটি চিঠি পাঠালেন। কারন বড় ভাইয়া তখন পাটনা ইউনিভার্সিটিতে এমএ এর পরীক্ষার্থী। তিনি তখন পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থেকে এমএ করেছিলেন। হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের চাকুরী ছেড়ে তিনি রেগুলার ছাত্র হিসাবে এমএ পরীক্ষা দেন। আমার জীবনে ওটাই প্রথম এবং শেষ টিউশানি পড়া। তাও মাত্র দু'মাসের জন্য। এখন ভাবি, সে  সময় যদি মাস দুই তিনেকের জন্য একজন বিজ্ঞান টিউশান টিচার পেতাম তাহলে আমার জীবনের এই ছোট্ট খেদটি থাকতো না। 


ঐ যে বলেছিলাম গড়পড়তা। হাঁ, গড়পড়তাই তো। মাত্র কয়েকটি নম্বরের জন্য প্রথম বিভাগ পাই নি। কেমিস্ট্রিতে ভাল করি নি। আর অংক! যে অংকে গ্রেস মার্ক নিয়ে ক্লাস এইট থেকে নাইনে উঠে বিজ্ঞান বিভাগ নিলাম, সেই অংকের দুটোতেই ডিস্টিংকশন নিয়ে এসএসসি উত্তীর্ণ হলাম। আমার সেন্টারে থানা পর্যায়ের ছয় সাতটি স্কুল সমন্বয়ে পাঁচ'শ এর মত পরীক্ষার্থী ছিল। সে বছর আমার সেন্টার থেকে মাত্র একজন ছাত্র প্রথম বিভাগ পেয়েছিল। মনে পড়ে রেজাল্টের দিন হেড মাস্টার স্যার স্কুলের দুজন শিক্ষককে সেদিন শহরে পাঠিয়েছিলেন রেজাল্ট আনার জন্য। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস ঐ প্রথম বিভাগ পাওয়া একমাত্র ছাত্রটি আমি ছাড়া আর কেউ হতে পারে না। যাহোক সেটা হয়নি। তবে আস্থার প্রতিদান সেদিন না দিতে পারলেও আমি যে দুটো বিষয়ে ডিস্টিংশন পেয়েছি এটাও একটা মফস্বলের স্কুলে আনন্দ এনে দিয়েছিল। আর তখনকার সময়ে বোর্ড পরীক্ষায় ফার্স্ট ডিভিশন ছেলেকে তো দূর দূরান্ত গ্রাম থেকে মানুষে দেখতে আসতো। আমার মনে পড়ে আমার বড় ভাইয়া যখন পাটনা ইউনিভার্সিটি থেকে এমএ পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট গোল্ড মেডেলিষ্ট হয়ে উত্তীর্ণ হলেন তখন দেখেছি গ্রাম গ্রামান্তর থেকে আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশী গ্রামের মানুষজনকে আমাদের বাড়িতে ভিড় জমাতে। বিভিন্ন আড্ডায় এসব নিয়ে আলাপ আলোচনা করতেও দেখেছি। তাছাড়া আমার সেজ ভাই এইচএস পাশ করে যখন ইন্ডিয়ান মিলিটারীতে কমিশন্ড ক্যাডেট হিসাবে মনোনয়ন পেয়ে জব্বলপুর ক্যান্টনমেন্টে চলে গেলেন, সে সময়েও এই চঞ্চলতা দেখা গেছে। মোটকথা হিন্দু আধিক্যের পশ্চিম বঙ্গে মুসলমানদের এসব এক্সট্রা অডিনারী কর্মধারা মুসলিম বাঙালীদের উজ্জীবিত করতো বলেই এসব দৃশ্যের অবতারনা ঘটতো। 


সবে দশম শ্রেণীতে উঠাছি। সুতরাং স্কুল সম্পর্কিত ছোটখাঠ ব্যবস্থাপনার অংশীদার হিসাবেও আমাদের দায়িত্বে কিছু পড়ে। স্কুলের স্বরস্বতী পুজার দায় দায়িত্ব আমাদের কাঁধে এসে পড়লো। আমাদের ক্লাসে পান্ডা বা দাদাগিরি টাইপের জনা’কয়েক ছাত্র ছিল। তারা হাতে গোনা ছয় সাতজন ছিল। তবে তাদের বেপরোয়াপনা আমাদের নিজেদের মধ্যে সীমিত ছিল। কখনো সখনো গন্ডি ছাড়িয়ে গেলে শিক্ষকদের কঠোর শাসনে তা স্তিমিত হয়ে যেত। ক্লাস সেভেনে থাকতে এপ্রিল ফুল করতে গিয়ে  ক্লাসে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র পেটানোর যে বিভিষীকা হয়েছিল, সেকথা না বললেই নয়। সবে ক্লাস সেভেনে উঠেছি। কতইবা বয়স হবে। তবুও এপ্রিল ফুলের বিষয় কেমন করে যে ওই বয়সে আমাদের মজ্জাগত হোল তা এই বয়সে ভাবলে হাসি পায়। তাছাড়া ঐ দাদাগিরির ক্লাস মেটদের একটা আলাদা তাগিদ তো ছিলই। ক্লাসের ব্লাক বোর্ডে চক পেন্সিল দিয়ে বড় বড় হরফে ‘'এপ্রিল ফুল’ লিখে তার নীচে কিছু বাংলা কিছু হিন্দি গানের কলি এবং কার্টুন টাইপের কিছু অদ্ভুতুড়ে আঁকাবুকি। স্যারের চেয়ারটা টেবিলে উঠিয়ে রেখে তার মধ্য একটা কলমি ফুলের মালা সাজিয়ে রাখা - এ হেন উল্টাসিধা কাজ করাটাই আমাদের এপ্রিল ফুল আয়োজনের এন্তেজাম। ঐদিন প্রথম ক্লাসটি ছিল পাটিগনিতের। আর শিক্ষক ছিলেন ভবতারন দাস। স্কুলের একমাত্র দারোগা টিচার। পাঞ্জাবী আর ধুতি পরে সাইকেলে চড়ে তিনি স্কুলে আসতেন। ছ'ফুট লম্বা মানুষটি অত্যন্ত ছিমছাম এবং ডিসিপ্লিন্ড ছিলেন বলে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের কাছে বেশ সম্মান্নিত ছিলেন। তিনি ক্লাসে এলেন। সবকিছু দেখলেন। আমাদের দিকে ঘুরে তাকালেন। পিন ড্রপ সাইলেন্ট। ক্লাসের গেটে উঁকি দিয়ে স্কুলের একমাত্র বিশ্বস্ত পিয়ন দুখু মিয়াকে ডেকে কানে কানে কি যেন বললেন। স্কুলঘেঁষা ডোম গড়্যার কিনারে প্রচুর ঢোল কলমীর গাছ। সেই গাছের ডাল ছাত্র পেটানোর অস্ত্র হিসাবে শিক্ষকদের বেশ প্রিয়। হোলও তাই। পাঁচ সাত মিনিটের মধ্যে পাঁচ ছয়টা কচি কলমীর ডাল চলে এল। যথারীতি টেবিল থেকে চেয়ার নামানো হোল। এবার শিক্ষকের হুংকার। যথারীতি দাদাগিরির ওই গোটা পাঁচেক ছাত্রদের জিগ্যেস করলেন। তারপর গনহারে তিরিশ চল্লিশ জন ছাত্রের পিঠে ছড়ির বাড়ি। ক্লাসমেট মেয়েরাও ওই কচি কলমি ডালের বাড়ি খেয়েছিল। তবে শরীরে নয় হাতে।


স্বরস্বতী পুজার কথায় আসি। ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এমনিতেই বাঙালী তার বাঙালী জাতীয়তাবাদের সমগ্রতা বিসর্জন দিয়ে আজ মুসলিম বাঙালী বা হিন্দু বাঙালী হয়ে বগল বাজাতেই স্বাচ্ছ্বন্দ বোধ করছে। তার উপরে একদিকে বন্দে মাতরম আর অন্যদিকে নারায়ে তাকবির উচ্চারনে ধর্মীয় জুজুর যতসব বিশাল বিশাল বয়ান ও তার প্রতিষ্ঠা লাভে ঘটা করে আয়োজনের রাজনৈতিক তৎপরতা।  সুতরাং অকপটেই বলি। এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত হওয়ার ফলে আমাদের স্কুলে মুসলমান ছাত্রদের আধিক্য ছিল। আমাদের ক্লাসে পঞ্চান্ন জন ছাত্রের মধ্যে হিন্দু ছাত্রছাত্রী ছিল মোটে সতের জন। আটজন ছাত্রীর মধ্যে মাত্র তিনজন ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের। সুতরাং বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে স্কুলের সাংবাৎসরিক স্বরস্বতী পুজার আয়োজক কারা। বাঙালী সমাজের জাতীয়তাবোধের সৌন্দর্য এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে। আর এই বাঙালীত্ব ও তার সহমর্মিতার এসব কর্মধারাকে পুঁজি করে আজকাল রাজনীতির সুবিধা ভোগীরা ধর্মীয় সহানুভূতির আশায় তাদের নিজেদের মত শ্লোগান দিচ্ছেন “ধর্ম যার যার উৎসব সবার”,  যা মোটেই কাম্য নয়। এটা নিয়ে ব্যাখ্যা করতে গেলে আলাদা প্রবন্ধ হয়ে যাবে বিধায় আমার স্কুল জীবনের শেষ স্বরস্বতী পুজার গল্পটা বলেই ইতি টানতে চাই। 

স্কুলে পুজা কমিটি করা হোল। আমরা যারা শিক্ষকদের গুডবুকে ফ্রন্টলাইনে ছিলাম, খুব সন্তর্পনে ওই দাদাগিরির ক্লাসমেটদের বাদ দিয়ে কমিটি করলাম। যাদেরকে বাদ দিলাম তাদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ এবং ক্ষেত্রবিশেষে কিছুটা উত্তেজনাও খেয়াল করলাম। ওদের মধ্যে দু'জন হিন্দু এবং তিন চারজন মুসলমান। একজন তো বলেই ফেললো ‘'তোরা কেমন করে পুজা অনুষ্ঠিত করিস আমরা দেখে নেব’ ধরনের হুমকির কথা। ওসব ধর্তব্যে না নিয়ে আমরা পুজা আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। যথা সময়ে শহর থেকে প্রতিমা কিনে এনে তা স্কুল প্রাঙ্গনের নির্দিষ্টকৃত ক্লাস নাইনের কক্ষে প্রতিষ্ঠা করা হোল। উৎসবের আমেজ স্কুল প্রাঙ্গনে। পুজার আগের দিন কমিটির দুজনকে দায়িত্ব দিয়ে নৈবেদ্য বা প্রসাদের আনাজ কেনার জন্য শহরে পাঠানো হোল। নৈবেদ্যের আনাজ কিনে ফিরতে সন্ধ্যে গড়িয়ে যায় আর সর্বনাশটা হোল তখনই। সন্ধ্যের আলো আধারীতে ফেরার পথে শহর ও গ্রাম বিভাজক ক্যানেলের মোড়ে ওই দুষ্ট চক্রের দল আনাজ  নিয়ে ফেরত বন্ধুদের কাছ থেকে সব ছিনিয়ে নেয়। ফলে পরের দিন পুজার নৈবেদ্য তৈরীর মাল সামান ছাড়াই তারা শহর থেকে ফিরে আসে। সে যেন বিশাল সাম্প্রদায়িক অশান্তির ধোঁয়া সৃষ্টিকারী এক চাঞ্চল্যকর খবরই বটে। তবে আমাদের তাৎক্ষনিক তৎপরতায় তা আর বাতাসে আলো ছড়াতে পারেনি। বন্ধু আরেফ, ফজর এবং রেজাউলের তৎপরতায় পরের দিন সকাল নয়টার আগেই পুজার প্রসাদ বানানোর কাজ পুরন হয়ে যায়। স্বাভাবিক চঞ্চলতার আবেগ নিয়েই আমাদের স্বরস্বতী পূজার অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন হয়। আমাদের সকলের অর্থাৎ কমিটির সদস্যদের কঠোর গোপনীয়তা ও প্রত্যয়ের দৃঢ়তায় সেবছর অর্থাৎ ১৯৭০ সালে স্কুলের স্বরস্বতী পূজা অত্যন্ত ভাব গম্ভীর ও আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছিল। 


বর্ণিত ঘটনাটি আমার মানস নৈতিকতায় চিড় ধরিয়েছিল বটে তবে আমাদের তৎসময়ের সামাজিক সহবস্থান ও বাঙালী হয়ে বেঁচে থাকার আকুলতায় একটি মাইলস্টোন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছে। সত্যি কথা বলতে কি, ১৯৭২ সনে এইচ এস সি ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার আগ পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের কোন উগ্রতা আমার চোখে পড়েনি। বরঞ্চ শান্তিপুর্ণ সহবস্থান এমনকি রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক বলয়ে হিন্দু মুসলমানের ভাইচারা আমাদেরকে মানবিক ভাবে বেড়ে উঠার রসদ যুগিয়েছে। তবে এই বয়সে এসে যখন হঠাৎ কোন সম্প্রদায়গত ছিটেফোঁটা বিচ্ছিন্ন ঘটনার সোরগোল শুনি তখন মনে পড়ে ঐ সকল হুজুর পুরোহিত পরিবেষ্টিত এখনকার সময়ের দাদাগিরির অনুশীলন বর্জিত রাজনৈতিক হাটুরেদের কথা। যারা ধর্মবৃত্তের আড়ালে থেকে রাজনীতির মাধ্যমে বিত্ত ও প্রতিপত্তির মহামহিম হয়ে আজ সমাজ তথা রাষ্ট্রে রাজ করছেন। 

বিষয়:
avertisements 2
পপ তারকা থেকে নীলছবির নায়িকা, আয় কোটি টাকা
পপ তারকা থেকে নীলছবির নায়িকা, আয় কোটি টাকা
৯/১১-র ধাঁচে রাশিয়ায় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের
৯/১১-র ধাঁচে রাশিয়ায় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের
দুই চীনা তরুণীর স্বপ্নে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটারিচালিত রিকশা
দুই চীনা তরুণীর স্বপ্নে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটারিচালিত রিকশা
‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য ডিটেনশন সেন্টার খুলবে ভারত
‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য ডিটেনশন সেন্টার খুলবে ভারত
একটি ডিমের দাম ৩০ হাজার টাকা!
একটি ডিমের দাম ৩০ হাজার টাকা!
ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘জোর করে’ হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বক্তব্য ভাইরাল!
ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘জোর করে’ হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বক্তব্য ভাইরাল!
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা কী বিশ্বাসযোগ্য?
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা কী বিশ্বাসযোগ্য?
ফেক আইডি, তছনছ জীবন
ফেক আইডি, তছনছ জীবন
চাঁদা না দেওয়ায় শাহবাগের দোকান বন্ধের হুমকি ছাত্রদল-যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের, সিসি ক্যামেরায় পড়ল ধরা
চাঁদা না দেওয়ায় শাহবাগের দোকান বন্ধের হুমকি ছাত্রদল-যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের, সিসি ক্যামেরায় পড়ল ধরা
বিশ্ব ইজতেমার ভবিষ্যৎ কী?
বিশ্ব ইজতেমার ভবিষ্যৎ কী?
বাংলাদেশ-ভারত : এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন বৈরী 
বাংলাদেশ-ভারত : এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন বৈরী 
ইসরায়েল হামলায় সাত শিশুসহ একই পরিবারের ১০ ফিলিস্তিনির  মৃত্যু
ইসরায়েল হামলায় সাত শিশুসহ একই পরিবারের ১০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
বিএনপির একঝাঁক তরুণের হাতে পূর্বসূরির ঝাণ্ডা
বিএনপির একঝাঁক তরুণের হাতে পূর্বসূরির ঝাণ্ডা
কিয়েভে ৬ বিদেশি দূতাবাসে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
কিয়েভে ৬ বিদেশি দূতাবাসে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
সারা দেশে ‘জয় বাংলা কিলিং মিশন’ গঠনের প্রস্তাব, ভিডিও ভাইরাল
সারা দেশে ‘জয় বাংলা কিলিং মিশন’ গঠনের প্রস্তাব, ভিডিও ভাইরাল
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর  আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
avertisements 2
avertisements 2