avertisements 2
Text

জালাল উদ্দিন আহমেদ

গণতন্ত্রও রসাতলে যাবে

প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ মে,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:০৩ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

আমরা অনেকেই অনেক কথা বলি। অনেক গাল গল্প করে নিজেদের পান্ডিত্য জাহির করে ছন্দবদ্ধ কবিতা রচনা করি। শাসক শ্রেণীর রাজনীতির পুজা অর্চনা করে চলমান ক্ষমতাসীনদের মনতুষ্ট করি। বিজ্ঞ বুদ্ধিজীরির তকমা লাগিয়ে ক্ষমতার অভয়ারন্যে চানক্য বীরবল বা ক্ষেত্রবিশেষে গোপালভাঁড় হতেও আমাদের অসুবিধা হয়না। দেশ যখন রাম রহিম চ্যাং ও জনদের  চতুর্মুখী আলোছায়ার অম্ল-মধুর ছোবলের নাভিশ্বাসে, তখন আমরা একমুখী কীর্তন গেয়ে নিজেদেরকে চাঙ্গা রাখার চেষ্টায় প্রাণাতিপাত করছি। রাজা নেই কিন্তু রাজ কর্মচারী হওয়ার খায়েসে আমরা অতলান্তের গভীরে সাঁতার কাটতেও কুন্ঠিত হই না। এটা আমাদের অস্থি মজ্জায় মিশে থাকা জন্মগত অধিকার চর্চায় মিশে আছে। যতই অক্সফোর্ড হাভার্ড কেম্ব্রিজ করি না কেন মোসাহেবীর রক্ত পরম্পরায় নির্মিত আমাদের বুনিয়াদ গোলাম হোসেন হয়েই চলতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে। 

রাজনীতি ও গনতান্ত্রিক আচরনের হাল খাতা নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ক'রে এক প্রথিতযশা রাজনৈতিক মনস্তত্ববিদ আশীষ নন্দী খোলামেলাভাবেই ক্ষমতাসীনদের ইতিহাস রচনার কথাগুলো বললেন। তার আলোচনায় দক্ষিন এশিয়ার শাসক শ্রেনী ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস তৈরীর বর্ননা দিতে গিয়ে তিনি উচ্চারন করলেন,'এসব ক্ষনস্থায়ী। ক্ষমতায় থেকে নিজেদের বীরত্ব ও মহত্ব বিনির্মানের ইতিহাস কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হয় না।' তার ভাষ্যে এ প্রবনতা দক্ষিন এশিয়ার ভারত ভূখন্ডের বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর মধ্যে দেখা যাচ্ছে। স্বাধীন ভূখন্ড বাংলাদেশেও এই প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়। তিনি বলছেন, ইতিহাস পড়ে ইতিহাসের খবরখবর কেউ রাখেনা। ইতিহাস চলমান, শ্রুতি এবং স্মৃতি নির্ভর। এটাকে স্মার্ত ইতিহাস বলা হয়। স্মার্ত কথাটির অভিধানিক অর্থ হচ্ছে ঐতিহ্য নির্ভর 'স্মৃতির অনুসারী'।  মানুষ ধরে নেয় ইতিহাস নিয়ে নানা মত ও পথের ইতিহাস নির্ভর লেখাজোখা হবে। কিন্তু কাল পরিক্রমায় স্মৃতি ও শ্রুতির উপর ভর করেই ইতিহাসের নির্যাস বেরিয়ে আসবে এবং সেটাই স্মার্ত ইতিহাস। 

ইতিহাস হলো অতীত কাহিনী ও কার্যাবলির পর্যায়ক্রমিক লিখন, বিশ্লেষণ ও অধ্যয়ন। ইতিহাস শব্দটি ‘ইতিহ’ শব্দ থেকে এসেছে।  ‘ইতিহ’ অর্থ ঐতিহ্য। অতীতের সমাজ-রাষ্ট্র, ভাষা, শিক্ষা, সাহিত্য, শিল্প-সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আচার আচরন যা ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষন করা হয় সেটাই ঐতিহ্য। এই সংরক্ষিত ঐতিহ্যকে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয় ইতিহাস। ইতিহাস কি ব্যক্তি পছন্দে তৈরী হয়! গোষ্ঠী বা রাষ্ট্র ক্ষমতার ইচ্ছায় ইতিহাস লেখা যায় কি? নাহ্, ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক, ঘটনার বাহক বিধায় ব্যক্তি পছন্দের বেড়াজালে ইতিহাস মাথা নত করেনা। চলমান পরম্পরায় ইতিহাসের পথচলা। হিটলার মুসেলিনি নিজেদের মত ক'রে ইতিহাস রচনা কর‍তে চেয়েছিলেন। তারা ইতিহাসের বইপত্র পুড়িয়ে দিয়ে নতুন ভাবে ইতিহাস রচনা করেছিলেন। কিন্তু তা টিকেনি। ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতাবলে ইতিহাস রচনা করলে ইতিহাসের আস্তাকুড়েই তা নিক্ষপ্ত হয়। 

ইদানীং ভারতীয় উপ-মহাদেশের দুটি দেশে ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতাসীনদের মধ্যে ইতিহাস রচনার বিষয়টি বেশ নজরকাড়া ঘটনাই বটে। তবে প্রেক্ষিত ভিন্ন। প্রতিবেশী দেশ ভারত এখন হিন্দুত্ববাদী ধর্মাচরনে দেশ চালাচ্ছে। বিগত আট'শ বছরের চড়াই উৎরাইয়ে তারা সাড়ে পাঁচ'শ বছর মুসলিম দ্বারা শাসিত হয়েছে। পরবর্তী এক'শ নব্বই বছর বৃটিশ কলোনী হিসাবে ভারতবর্ষ বৃটিশ শাসিত অঙ্গরাজ্য ছিল। সেই হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশ বৃটিশ শাসনামলেই পরাধীন ছিল। তবে বার'শ শতক হতে সতের'শ শতকের মাঝামাঝি সময়টাই ভারতবর্ষ মূলত: স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবেই পরিচালিত হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এশিয়া মাইনর থেকে মুসলিম ঘোরী, লোদি, পাঠান মোঘলরা এসে এদেশে ভারতীয় হয়েই ভারত শাসন করেছেন। মুসলিম শাসনের এই সময়টিতে ভারতবর্ষের বর্ণ প্রথার জমিনে অন্ত্যজ রূপান্তরের ঘটনাটি ঘটেছে। ফলে লক্ষ্মন সেনদের কৌলিন্যের অহমিকায় কিছুটা হলেও নাড়া দিয়েছিল বলে মনে করা হয়। কারন মুসলিম জাগরনের সেই সময়টিতে মুসসলমান সুফি আওলিয়া দরবেশ এবং বিখ্যাত সব আলেম ওলেমারা ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন। সে সময় ধর্মীয় আচার আচরনের ভিন্নতা, এবং ধর্মের নামে গোত্র বিভাজনের রূঢ়তায় ভারতীয় জাতিগোষ্ঠী এক নির্মম মানবেতর জীবনে দিনাতিপাত করছিলেন। ইসলামের সাম্য, শান্তি এবং একেশ্বরবাদের আহ্বানে অসম সমাজ বিন্যাসের ভারতের একটি উল্লেখযোগ্য মানুষ সেই সময়টায় ইসলামের পতাকাতলে সমবেত হন। ফলে আর্য অনার্য ও দ্রাবিড়ীয় ভারতে মুসলমান একটি  ধর্মীয় স্বত্বার জাতিগোষ্টী হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। শুধু তাই নয়, মুসলিম ভারত শাসনের এই সুদীর্ঘ সময়ে ভারত একটি সুগঠিত এবং শক্তিশালী জাতি হিসাবে পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়ায়। মুসলিম শাসনের এই সাম্য শান্তি ও শক্তিশালী আচরনের বহি:প্রকাশে হিন্দু পরিচয়ের সনাতন ধর্মীয় কুলীন এবং ধর্মীয় বর্ণ প্রথা সৃষ্টিকারী ব্রাহ্মন্য রাজা মহারাজা ও জমিদার শ্রেনীর লোকেরা ভাল চোখে দেখেনি। তাদের মধ্যে ক্ষমতার জৌলুশ না থাকলেও প্রাচীন ভারতবর্ষের রাজা জমিদারদের ভোগবিলাসী স্বপ্ন ও আকাংখা এবং ধর্মের নামে মনু সংহিতার আদলে ধর্মীয় সমাজ বিনির্মানের আশা তারা মনের মধ্যে পুষে রাখতো। কিন্তু ইসলামী শাসনের সাম্যতা ও সহমর্মিতার উজ্জ্বলতায় ওইসব ব্রাহ্মন্য উচ্চাকাংখার অপচেষ্টা সফল হয়নি। 

মুসলিম শাসনের পতন পরবর্তী বৃটিশ কলোনীভুক্ত হওয়ার পর বৃটিশদের devide and rule শাসনের সুযোগ নিয়ে মনের মধ্যে পুষে রাখা সেই ব্রাহ্মন্য আচরনের সমাজ ব্যবস্থার পুন:প্রতিষ্ঠার হালখাতা খোলার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অংশ বেশ তৎপর হয়ে উঠে। কারন মুসলমানদের পরাজিত করেই ইংরেজরা ভারত দখল করে। ফলে মুসলমানেরা ইংরেজদের শত্রু বলে বিবেচিত হয়। আর এই সুযোগটি হিন্দু সমাজের ব্রাহ্মন্য উপরতলার মানুষেরা মোক্ষ হিসাবে লুফে নেয়। তাদের কাছে মুসলমান শাসনের ফলে সৃষ্ট মহান ভারত, শক্তিশালী ভারত এবং ঐতিহ্যের ধারক হিসাবে গড়ে উঠা ভারতের চেয়েও ধর্ম ভিত্তিক হিন্দু রাজা রাজন্যের সেই প্রাচীন যুগীয় যুদ্ধ বিগ্রহের ভারতই আপন বলে মনে হয়েছে। তাদের কাছে এশীয় মাইনর থেকে আগত ভিন জাতীয় মুসলমান এবং ধর্মান্তরিত ভারতীয় মুসলমানরা (যারা ভারতের মোট জনসংখ্যার ২০-২৫%) বহিরাগত বলে মনে হয়েছে। অথচ এশিয়া মাইনর হতে আগত আর্য ব্রাহ্মন যারা ভারতে এসে সনাতন ধর্মের প্রবর্তন করেন, আর্য অনার্য এবং ব্রাহ্মন ক্ষত্রিয় বৈশ্য শুদ্রের জাতপাত সৃষ্টি করে ভারতকে এক ছ্যুত-অচ্ছ্যুতের দেশে পরিনত করে, তাদেরই পরম্পরা এখন হিন্দু ভারতের নিয়ন্তা। অথচ মুসলিম শাসকরা ভারতবর্ষে সর্বধর্ম সমন্বয়ের যে মহান ভারত ভারতীয়দের উপহার দিয়ে গেছেন তার মগজে পেরেক ঠুকে হিন্দু ব্রাহ্মন্যবাদীদের উচ্ছৃংখলতায় তা এখন হিন্দুত্ববাদী জঙ্গী ভারতের পথে পা বাড়িয়েছে। 


বৃটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা প্রাপ্তির আগ মূহুর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারত হিসাবেই গন্য হয়েছে। কিন্তু সাতচল্লিশের আগষ্টে স্বাধীন ভারত দু'ভাগ হয়ে দুটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি করেছে। হিন্দুদের ভারত আর মুসলিমদের পাকিস্তান। যদিও হিন্দু ভারত সর্বধর্ম সমন্বয়ের ধর্মনিরপেক্ষ ভারত হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। অপরদিকে পাকিস্তান রাষ্টটি ইসলামিক রিপাবলিক হিসাবে জন্ম নেয়। কিন্তু ধর্মের নামে জাতিস্বত্ত্বা সৃষ্টি করে ভূখন্ডের নিজস্ব জাতীয়তার বিনাশ ঘটিয়ে কখনোই কোন কাঠামো দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ফলে বাঙালী অধ্যুষিত পাকিস্তানের পূর্বাংশ যা পুর্ব পাকিস্তান নামে সংগঠিত হয়, তার অস্তিত্ব বাঙালী জাতীয়তার কাছে ম্লান হয়ে যায়। অবশেষে বাঙালী তার আপন অস্তিত্বের ঠিকানা হিসাবে বাংলাদেশ নামের লাল সবুজের দেশের অভ্যুদ্যয় ঘটায়। বাঙালী জাতীয়তাবোধের এই দেশের বয়স অর্ধ শতাব্দী পেরিয়ে গেছে। সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের এই দেশে ভূখন্ডের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় পতাকা, জাতির প্রধান নেতা এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ নির্ধারিত হয়েছে বটে কিন্তু রাজনীতি, গনতন্ত্র ও গনতান্ত্রিক আচার আচরনের বহময়তা এখনও তার সঠিক পথ খুঁজে পায় নি। এখানে ধর্মের ভারিক্কি থাকলেও ধর্মীয় অহংবোধের জটিলতা নেই। তবে যেটা আছে সেটা এক জটিল সমীকরনে ছটপট করে। স্বাধীনতা অর্জনের নেতৃত্বের অহংবোধ এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান নেতাকে পুঁজি করে রাজনীতি ও গনতন্ত্রের সোল এজেন্সি নিয়ে একটি পক্ষের পথচলায় বাংলাদেশের রাজনীতি ও গনতন্ত্র এখন হুমকির মুখে। 

ভারতে ধর্ম প্রাধান্যের রাজনীতি সেদেশের বহু মত বহু পথের আদর্শিক চরিত্রের খোল নলচে পাল্টে দেয়ার যে অযৌক্তিক ও অনৈতিক কর্মধারা চলছে তা সাধারন ভারতীয়দের হৃদয়ে রক্তক্ষরন ঘটাচ্ছে। কারন বহুজাতিক ও বহুধা বিভক্ত সংস্কৃতির ভারতে ধর্ম প্রাধান্যের স্বপ্নের নীড় রচনা করার খায়েসে বর্তমান শাসকেরা যেভাবে হিন্দি প্রাধান্যে এগিয়ে যেতে চাচ্ছেন, আদতেই সেটা প্রাচীন যুগের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজ্যের জন্ম দেয় কিনা তা সময়ই বলে দিবে। তাছাড়া তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যেভাবে ধর্মীয় প্রাধান্যের শিক্ষা পদ্ধতির উপস্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে তার স্থায়িত্ব কোন পর্যায়ে গিয়ে থেমে যায় সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ আলোচনা। 

বাংলাদেশের প্রেক্ষিত ধর্মীয় ধান্ধায় চলাফেরা না করলেও ব্যক্তি কেন্দ্রিক উজ্জ্বলতা ও উচ্ছ্বলতা সৃষ্টি করে যে রাজনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার সূচনা করা হয়েছে বা হচ্ছে তাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গনতান্ত্রিক আচরনের কাঠগড়ায় ছটপট করবে বলে বিজ্ঞ জনেরা বলে থাকেন। রাজনীতি ও গনতান্ত্রিক চর্চা একপক্ষীয়করন ক'রে দেশ শাসনের যে  ইমারত বানানো হচ্ছে তার বুনিয়াদ কতটুকু মজবুত হবে সেটাও মানুষের মুখে মুখে ঘুরে ফিরছে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, যোদ্ধা, অবরুদ্ধ জনপদ এবং জীবন বাজি রেখে অপামর বাঙালী জনতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশ গ্রহনে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে, এটাই তো ইতিহাস। ব্যক্তি উজ্জ্বলতা অনস্বীকার্য কিন্তু জনতা জনার্দন। তাদেরকে পক্ষে বিপক্ষে ফেলে স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদে বিভাজনের আবহ তৈরী করলে আখেরে তারাই লাভবান হবে যাদেরকে পরাজিত করে লাল সবুজের পতাকাকে আমরা সমুন্নত করেছি। 

ধর্মের জিগির তুলে নব্য ভারতীয় শাসকেরা যেভাবে ভারতকে হিন্দুস্তান বানানোর দিবাস্বপ্নে অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছেন তা কখনোই ভাল কিছু বয়ে আনবে বলে মনে হয়না। গনতন্ত্রের ঝান্ডা উড়িয়ে যেভাবে একপেশে ধর্মান্ধতায় দেশকে খাদের কিনারে নামিয়ে আনা হচ্ছে তাতে ভারতের ঐতিহ্যগত সর্বধর্ম সমন্বয়ের মহান ভারত রাষ্ট্রটির গনতন্ত্র তো দূরের কথা, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিয়েই সংকট দেখা যায় কিনা তা সময়ই বলে দেবে। এদিকে ব্যক্তি ঔজ্জ্বল্যের ঢাক পিটানোর রাজনীতি ক'রে বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডে, দেশ শাসনের নামে যে একপেশে রাজনীতিক চর্চা ও ইতিহাস সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে, তা মোটেই শুভ লক্ষ্মন নয়। রাজনীতির একপক্ষীয় চাবুক চালিয়ে এভাবে গনতন্ত্রের দুর্বৃত্তায়ন করা হলে আখেরে গনতন্ত্র তার প্রকৃত রূপ হারাবে। রাজনৈতিক মনস্তত্ববিদ আশীষ নন্দীর ভাষায় 'গনতন্ত্রও রসাতলে যাবে'। 

বিষয়:
avertisements 2
পপ তারকা থেকে নীলছবির নায়িকা, আয় কোটি টাকা
পপ তারকা থেকে নীলছবির নায়িকা, আয় কোটি টাকা
৯/১১-র ধাঁচে রাশিয়ায় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের
৯/১১-র ধাঁচে রাশিয়ায় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের
দুই চীনা তরুণীর স্বপ্নে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটারিচালিত রিকশা
দুই চীনা তরুণীর স্বপ্নে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটারিচালিত রিকশা
‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য ডিটেনশন সেন্টার খুলবে ভারত
‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ জন্য ডিটেনশন সেন্টার খুলবে ভারত
একটি ডিমের দাম ৩০ হাজার টাকা!
একটি ডিমের দাম ৩০ হাজার টাকা!
ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘জোর করে’ হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বক্তব্য ভাইরাল!
ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘জোর করে’ হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বক্তব্য ভাইরাল!
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা কী বিশ্বাসযোগ্য?
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা কী বিশ্বাসযোগ্য?
ফেক আইডি, তছনছ জীবন
ফেক আইডি, তছনছ জীবন
চাঁদা না দেওয়ায় শাহবাগের দোকান বন্ধের হুমকি ছাত্রদল-যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের, সিসি ক্যামেরায় পড়ল ধরা
চাঁদা না দেওয়ায় শাহবাগের দোকান বন্ধের হুমকি ছাত্রদল-যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের, সিসি ক্যামেরায় পড়ল ধরা
বিশ্ব ইজতেমার ভবিষ্যৎ কী?
বিশ্ব ইজতেমার ভবিষ্যৎ কী?
বাংলাদেশ-ভারত : এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন বৈরী 
বাংলাদেশ-ভারত : এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন বৈরী 
ইসরায়েল হামলায় সাত শিশুসহ একই পরিবারের ১০ ফিলিস্তিনির  মৃত্যু
ইসরায়েল হামলায় সাত শিশুসহ একই পরিবারের ১০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
বিএনপির একঝাঁক তরুণের হাতে পূর্বসূরির ঝাণ্ডা
বিএনপির একঝাঁক তরুণের হাতে পূর্বসূরির ঝাণ্ডা
কিয়েভে ৬ বিদেশি দূতাবাসে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
কিয়েভে ৬ বিদেশি দূতাবাসে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
সারা দেশে ‘জয় বাংলা কিলিং মিশন’ গঠনের প্রস্তাব, ভিডিও ভাইরাল
সারা দেশে ‘জয় বাংলা কিলিং মিশন’ গঠনের প্রস্তাব, ভিডিও ভাইরাল
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর  আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির  দুই বাংলাদেশীর  মৃত্যু
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
‘পারসন অব দ্য ইয়ারে’ ভূ‌ষিত হলেন বসুন্ধরা এম‌ডি
avertisements 2
avertisements 2