১২৪ বছরে জাপানে সবচেয়ে কম শিশু জন্মের রেকর্ড
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:০৮ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে ১৮৯৯ সাল থেকে বাৎসরিক জন্মহার ও মৃত্যুহার নথিভুক্ত করা শুরু হয়। মানে ১২৪ বছর ধরে জাপানে বছরে কত শিশু জন্মেছে এবং কতজন মানুষ মারা গেছেন সেটির হিসাব রাখা হয়। আর সেই হিসাব রাখা শুরুর পর থেকে, গত বছর ২০২২ সালে সূর্যোদয়ের দেশ জাপানে সবচেয়ে কম শিশু জন্ম হওয়ার রেকর্ড হয়েছে।
জাপানি সংবাদমাধ্যম জাপান টাইমস গত মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে জাপানে জন্ম নিয়েছে ৭ লাখ ৯৯ হাজার ২৩৮ শিশু।
২০২১ সালের তুলনায় যা ৫ দশমিক ১ শতাংশ কম। তবে জন্মহার হ্রাস পেলেও মৃত্যুহার ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর দেশটিতে ১০ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ মারা গেছেন।
জন্মহার কম মানে, ভবিষ্যতে জাপানে কর্মক্ষম মানুষ এবং করদাতার সংখ্যা কমবে। এরমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটিকে সামনে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে।
বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষ রয়েছেন জাপানে। আর কর্মঅক্ষম এসব বয়স্ক মানুষদের সেবায় এখন দেশটিকে আরও বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। যা জাপানকে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ঋণী দেশে পরিণত করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে জাপান টাইমস।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিসিদা এক সপ্তাহ আগে বলেছেন, জন্মহার এখন এতই উদ্বেগজনক যে, আগামী কয়েক বছর পর হয়ত জাপান জনবলের অভাবে নিজেদের স্বাভাবিক কার্যক্রমই চালাতে পারবে না।
জাপানি তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বিয়ে নিয়ে অনাগ্রহ ও নারীদের সন্তান জন্মদানে অনিচ্ছার কারণে জনসংখ্যা শুধু কমেই চলছে।
মাত্র ৪০ বছরের মধ্যে দেশটিতে জন্মহার প্রায় অর্ধেক হয়েছে। ১৯৮২ সালেও দেশটিতে প্রায় ১৫ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সালে এসে তা ৮ লাখেরও নিচে নেমেছে।
জাপান ছাড়াও এশিয়ার সর্ববৃহৎ দেশ চীনও একই সমস্যায় আছে। দেশটির ইতিহাসে গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবার জনসংখ্যা কমে গেছে বলে জানিয়েছিল সরকারি সূত্র।