হাসিনা সরকারের ইউনূস অভিযান
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৪৯ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
অর্থ পাচার আর ব্যাপকবিস্তৃত দুর্নীতিতে জর্জরিত বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত আগস্ট মাসে এমন একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাকে দেশটির সবচেয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিসম্পন্ন ব্যক্তিদের একজন বলা যেতে পারে। তিনি আর কেউ নন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূস।
বর্তমান সরকারের বদৌলতে ইউনূস এখন বাংলাদেশের সর্বাধিক তদন্তকৃত ব্যক্তিদের একজন। এর আগে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বহুবার তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আর কর প্রদানের হিসাব খতিয়ে দেখেছে। তবে এই প্রথম দুদক এই তদন্তে জড়াল। ফলে বিষয়টি খুবই জটিল হয়ে পড়েছে।
গত ৩ আগস্ট ২০২২ গ্রামীণ টেলিকমের (জিটি) বোর্ড সভাপতি ইউনূস ও বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের কাছে একটা চিঠি পাঠায় দুদক। উল্লেখ্য, গ্রামীণ টেলিকম একটি বেসরকারি ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, দেশের বৃহত্তম মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের মালিকানায় যার বিশাল অংশীদারিত্ব রয়েছে। তো, প্রেরিত চিঠিতে জানানো হয়, দুদক গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে থাকা বেশ কিছু অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। অভিযোগগুলো হল: গ্রামীণ টেলিকম ২,৯৭৭ কোটি টাকা (৩১৪ মিলিয়ন ডলার) পাচার করেছে, ৪৫.৫ কোটি টাকা (৪.৮ মিলিয়ন ডলার) আত্মসাৎ করেছে, এবং দুদকের দেয়া হিসাব অনুসারে প্রায় ১৯.৬ কোটি টাকা (২ মিলিয়ন ডলারের বেশি) “ওকালতি ফি ও অন্যান্য ফির নামে” অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছে। ২৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠা হওয়ার সময় থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকমের সমস্ত হিসাবের কাগজ ও নথির বিস্তারিত দেখতে চেয়েছে দুদক। ইতোমধ্যে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অর্থ পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে দুদক।
অভিযোগগুলো অত্যন্ত গুরুতর এবং এর ফলে কয়েকটি প্রশ্ন অনিবার্যভাবেই উঠে আসে। এতকাল আমরা ইউনূসকে যেমনটা জেনে এসেছি, একজন দুর্নীতিমুক্ত ব্যক্তি বলে, সেই জানাটা কি ভুল ছিল? আমরা কি তাকে চিনতে ভুল করেছিলাম? নাকি এই তদন্ত তাকে হয়রাণি ও নাজেহাল করার উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছে? আর এই ছুতোয় তার প্রতিষ্ঠানটিকে দখল করাও এই তদন্তের আরেকটা উদ্দেশ্য?
হাসিনা আর ইউনূস
শুরুরও একটা শুরু আছে। মুহাম্মদ ইউনূস যে শেখ হাসিনার চক্ষুশূল, তা কেবল আজকের কথা নয়। ১৯৯৬ সালে হাসিনা সরকার প্রথমবারের মত ক্ষমতায় আসে। তারপর ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সই হয়। বাজারে এরকম একটা কথা চালু আছে যে, সেসময় হাসিনা আশা করেছিলেন এই চুক্তি বাস্তবায়নের পুরস্কার হিসেবে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়ে যাবেন। কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি। হাসিনার স্বপ্ন পূরণ না হলেও এর নয় বছর পর ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের জন্য নোবেল জিতেন ইউনূস। আর সেই থেকেই শেখ হাসিনার চক্ষুশূল হয়ে উঠেন গ্রামীণ ব্যাংকের বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠাতা।
এখানেই শেষ নয়। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তির পরের বছর ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়ে বসেন ইউনূস। তখনই ইউনূসের প্রতি হাসিনার আক্রোশের ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে ওঠে। এটি ইউনূসের নোবেল পুরস্কার পাবার এক বছর পরের ঘটনা, যার ঠিক এক মাস আগেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভোট জালিয়াতি রুখতে ক্ষমতা দখল করেছিল সেনাবাহিনী। সেসময় সেনাবাহিনীর এই ক্ষমতা দখলকে সমর্থন জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু সেই ভুল ভাঙতে বেশিদিন সময় লাগেনি। কেননা কিছুদিনের মধ্যেই দেখা গেল, সেনাবাহিনীর আসল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুই রাজনৈতিক দলের পরম্পরার অবসান ঘটিয়ে তৃতীয় শক্তির উত্থানকে উৎসাহিত করা। সেই নয়া রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে হয়তো গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতাকে বিবেচনা করছিলেন তারা।
শুরুর দিকে রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি নিয়ে ইউনূস নিজেও বেশ উৎসাহী ছিলেন। একটি খোলা চিঠিতে এব্যাপারে জনগণের রায় চেয়েছিলেন। তবে এর ঠিক দুই মাস পরই ইউনূস ঘোষণা করেন যে এই বিষয়টা নিয়ে তিনি আর এগোতে চান না। সেই থেকেই ইউনূসকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী আর শত্রু হিসেবে দেখতে শুরু করেন হাসিনা। সময়ের সাথে সাথে ইউনূসের প্রতি হাসিনার ব্যক্তিগত ঈর্ষা আওয়ামী লীগের দলগত ঘৃণায় রূপান্তরিত হয়।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করার পর হাসিনা সরকারের আক্রমণের অন্যতম প্রধান শিকারে পরিণত হন ইউনূস। প্রথমেই ২০১০ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হল। গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে মানহানিকর প্রচারণা চালানো হল। পরবর্তী কয়েক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেংকারির অভিযোগ এনে চালানো হল এমন সব তদন্ত আর অনুসন্ধান – যার কোনও ফলাফল আজও আমাদের চোখে পড়েনি।
সেই থেকে গত এক দশকে ইউনূসের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলার জন্য হেন কর্ম নেই যা হাসিনা সরকার করেনি। কখনও তার বিভিন্ন প্রকল্পে বাধা দেয়া হয়েছে, তার ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও অন্যান্য মামলা দায়ের করা হয়েছে, আবার কখনও তার বিরুদ্ধে মানিহানিকর বিভিন্ন কথা বলা হয়েছে। এসব দেখে আপাতদৃষ্টিতে অনেকের মনে হতে পারে, রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ করতে চাওয়ায় ইউনূসকে শাস্তি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু বিষয়টি সম্ভবত এখন আর সেখানেই সীমিত নেই। বরং এমনটা মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে হাসিনা সরকারের আসল উদ্দেশ্য হল দুর্নীতির অভিযোগের মাধ্যমে ইউনূসকে সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা। যেন তিনি বা অন্য কেউ রাজনীতিতে শেখ হাসিনার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে দাঁড়াতে না পারেন। যেন কেউই আর হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস না পান।
আবারও তদন্ত আর “৩১৪ মিলিয়ন ডলার অর্থ পাচারের” অভিযোগ
এবার সরাসরি তদন্ত কাহিনীতে চলে আসা যাক।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বলেই জানি আমরা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির স্বায়ত্তশাসনের ক্ষমতা আসলে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী, নির্বাচন কমিশন বা আদালতের মতোই। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকতার বাইরে এর স্বাধীনতা সামান্যই আছে।
সরকার বা এর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা যা বলে, দুদক ঠিক তা-ই করে। ইউনূসের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেংকারি অনুসন্ধানও শুরু হয় সংসদে হাসিনার ভাষণের পরই, যেখানে হাসিনা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি আর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন।
এবার তাদের আক্রমণের শিকার হল গ্রামীণ টেলিকম, একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, ১৯৯৫ সালে ইউনূসের হাত ধরে যার যাত্রা শুরু হয়েছিল। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অপসারণের পর এটিই সাবেক নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী ইউনূসের মূল কর্মক্ষেত্র। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের প্রথম এবং সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের ৩৫% শেয়ারের মালিক। আর এখান থেকে আসা বার্ষিক লভ্যাংশের টাকা দিয়েই বিশাল আকারের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন ইউনূস ও অন্যান্য বোর্ড সদস্যরা।
দুদক সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দিয়েছে, যেখানে তারা অভিযোগ করেছে যে, ইউনূস আর গ্রামীণ টেলিকমের অন্যান্য বোর্ড সদস্যরা প্রতিষ্ঠানটির ৩১৪ মিলিয়ন ডলারের অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত। এটি অত্যন্ত গুরুতর একটি অভিযোগ, আর এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়; তাহলে তাকে তার গুরুতর অপরাধের শাস্তি পেতে হবে।
তবে, এটা উপলব্ধি করতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয় যে, অভিযোগটা আসলে ভিত্তিহীন।
টেলিকম প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে এবং এর বৃহত্তর অংশের মালিক নরওয়েজীয় প্রতিষ্ঠান টেলিনর। ১৯৯৯ সালে সোরোস আর্থিক উন্নয়ন তহবিল থেকে ১০.৬ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে গ্রামীণফোনের অংশীদার হয় গ্রামীণ টেলিকম। সোরোস আর্থিক উন্নয়ন তহবিল বিলিয়নিয়ার জনহিতৈষী জর্জ সোরোস কর্তৃক পরিচালিত ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের একটি অংশ।
গ্রামীণফোন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরবর্তী বেশ কিছু বছর, যখন বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে মোবাইল ফোন ছিল রীতিমতো বিরল, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকল্প ছিল “গ্রামীণ ফোন প্রকল্প”। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য অর্থোপার্জনের সুযোগ তৈরি করা, যেখানে এই নারীরা তাদের আশেপাশে টেলিফোন পরিষেবা বিক্রি করে উপার্জন করার সুযোগ পেলেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত এই প্রকল্প সমাজের সকল পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিশ্চিত করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রেখেছিল; তাও আবার সেই সময়, যখন মোবাইল ফোন বাংলাদেশের বাজারে একেবারেই নতুন।
২০০৩ সালে গ্রামীণফোন তার অংশীদারদেরকে লভ্যাংশ দেয়া শুরু করে এবং তখন থেকে গ্রামীণ টেলিকম গ্রামীণফোনের বাৎসরিক আয়ের এক-তৃতীয়াংশ পেতে শুরু করে। বলা বাহুল্য, এতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যালেন্স শিট বিশাল আকার ধারন করে। গ্রামীণফোনের বাৎসরিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১১ সাল থেকে গত ১১ বছরে এই আয় ১ বিলিয়ন ডলার এর চেয়ে কিছুটা বেশি (প্রায় ৯,৫১৭ কোটি টাকা), বছরে যা গড়ে প্রায় ৯০ মিলিয়ন ডলারের মতো (প্রদেয় কর সহ)। গ্রামীণ টেলিকমের নিজস্ব হিসাবপত্র অনুযায়ী, সমস্ত কর প্রদানের পর, ২০০৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির লাভের পরিমাণ ৯১৯ মিলিয়ন ডলার (৮,৭৩৫ কোটি টাকা)।
যখন থেকে লভ্যাংশের টাকা আসতে শুরু করল, তখন থেকেই এই টাকা বিভিন্ন সামাজিক ব্যবসা বা প্রকল্পে ব্যয় করতে আরম্ভ করে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকম — কখনও ঋণ দিয়ে, কখনও বা সমান অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে, আবার কখনও বা অনুদানের মাধ্যমে। এই বিনিয়োগগুলো থেকে তৈরি হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি নার্সিং প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ক্যালেডোনিয়ান কলেজ অব নার্সিং। সারা দেশ জুড়ে ৪টি চক্ষু হাসপাতাল এবং ১৫০টি প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র। একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠান যা দেশের মোট গৃহ-সৌরবিদ্যুতের ৪০% স্থাপন করেছে। আরও অনেক কিছু। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো স্থাপন করা হয়েছে সেগুলো অলাভজনক, এদের নীতিমালা অনুযায়ী অংশীদাররা এখান থেকে লাভের টাকা উঠিয়ে নিতে পারবেন না। শুধুমাত্র সর্বপ্রথম বিনিয়োগকৃত মূলধন তারা ফিরিয়ে নিতে পারবেন, কিন্তু তা অবশ্যই পূনরায় ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে ফিরিয়ে দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশের সভাপতি ইউনূস।
এতকিছু বলার উদ্দেশ্য হল এটি বোঝানো যে, গ্রামীণ টেলিকম ও এর অনুদানে পরিচালিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সবই অলাভজনক। ইউনূস ও অন্যান্য পরিচালকগণ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর লভ্যাংশের অংশীদার নন। এই প্রকল্পগুলো থেকে যা আয় হয়, তার কিছুই তারা নেন না। আয়ের সমস্ত টাকা প্রকল্পগুলোতে পুনঃবিনিয়োগ বা নতুন কোনও সামাজিক প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা থাকে। গ্রামীণ টেলিকমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের বোর্ড মিটিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য ইউনূস বা অন্যান্য সদস্যরা কোনোপ্রকার সম্মানীও পান না।