‘এইসব নকল নকল খেলা খেলে কী লাভ?’
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ মে,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৫১ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
খুবই মজার একটা জিনিস নিয়মিত দেখি এবং হাসি। বয়স নিয়ে সমাজ থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির নারী-পুরুষের তামাশা। যখন আমাদের চল্লিশ পঞ্চাশ পেরোনো নায়কদের তরুণ বলা হয় আর তিরিশ পেরোনোর আগেই নায়িকাদের বুড়ি বলা হয়। আমাদের খুব জনপ্রিয় একজন পুরুষ মডেল বয়স যার বয়স ষাটের কাছাকাছি তাকে বলা হয় তরুণ।
অথচ মেয়েগুলো পঁচিশ পার হলেই শুরু হয়ে যায় বয়স হয়ে গেছে। যখন শীর্ষ নায়ককে দেখি হাতির মতো ওজন, অথচ তখন তার ফিটনেস নিয়ে বা বয়স নিয়ে কথা হয় না। দুনিয়াকে না জানিয়ে ক্যারিয়ারের দোহাই দিয়ে লুকিয়ে তিনটা চারটা বিয়ে বা বাচ্চা বানানো নায়কদের ভণ্ডামি নিয়ে কেউ কথা বলে না। কিন্তু যখন কোনো অভিনেত্রীর মা হওয়ার কারণে ওজন বাড়ে, তখন তাকে এক চুলও ছাড় দেওয়া হয় না। তখন তার বয়স কম হলেও তাকে জোর করে বয়সী বানানোর চেষ্টা চলে।
ব্যাপারটা কোন পর্যায়ের ভণ্ডামি, ভাবলে ঘেন্না লাগে। মেয়েদের বয়স বাড়া বা ওজন বাড়া যেন তাদের জন্য একটা অপরাধ। আর কিছু কিছু মেয়েদের তো দেখি সেই অপরাধ মোচনোর জন্য বদ্ধ উন্মাদের মতো যুদ্ধে নামে, যা তা করে বেড়ায়। কেউ কেউ ফিটনেস ছাড়া জীবনে আর কিছু চোখে দেখে না। আবার পঞ্চাশোর্ধ মহিলারা উন্মাদের মতো মেকআপ করে, পোশাক পরে নিজেকে টিকিয়ে রাখার নকল যুদ্ধে নামে। এখন তো শুরু হয়েছে ছুরি-কাঁচির প্লাস্টিক সার্জারির আর লিকুইড এর খেলা। তারা আসলে কিসের চাপে পড়ে নিজেকে প্রমাণ করতে চায়; আমি এটা বুঝি না।
এইসব নকল নকল খেলা খেলে কী লাভ? অন্যকে খুশি করানোর এই প্রক্রিয়া ধরে কি আর নিজেকে টিকিয়ে রাখা যায়? নিজের সাথে নিজের প্রতারণার ফলটা আসলে কি? অথচ যুদ্ধটা হওয়া উচিত নিজেকে খুশি রাখার জন্য বা নিজের মতো করে বাঁচাতে পারার জন্য। কাজ করে গেলেও নিজের জন্যই কাজটাকে সৎভাবে করা উচিত। দিনশেষে মানুষের কাজটাই থেকে যায়। কাজ দিয়েই তাকে মূল্যায়ন করা উচিত। সেখানে বয়সটা বা ওজন আসলে কোন অন্তরায় নয়। আর নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে মূল্যায়নটা কাজ বা অবস্থান এর ক্ষেত্রে একই হওয়া উচিত, এখানেও পার্থক্য থাকা উচিত না।