জায়েদ খানের বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত আসছে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৮ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:১৩ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে চলছে একের পর এক নাটকীয়তা। সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।' টক অব দ্য কান্ট্রি'তে পরিণত হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে হবেন তা নির্ধারণ করতে এবার আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি।নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।
গেলো শনিবার বিকেলে বৈঠক ডাকে আপিল বোর্ড। এতে নিপুণ অংশ নিলেও জায়েদ ছিলেন অনুপস্থিত। তার অনুপস্থিতিতেই সোহানুর রহমান সোহান ঘোষণা করেন, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান থাকছেন না। নির্বাচনে অনিয়ম করার অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। তার পরিবর্তে অপর প্রার্থী নিপুণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) এফডিসির উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে শপথ গ্রহণ করেন নিপুণ। এরপর তিনি শিল্পী সমিতির প্রথম নারী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দুই বছর মেয়াদী চেয়ারে বসেন। তবে গতকাল সোমবার হাইকোর্ট আপিল বোর্ডের রায় স্থগিত করে জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল রেখে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আদেশ দিয়েছেন। তবে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। আগামীকাল বুধবার শুনানির দিন ধার্য করে আদালত।শুনানি শেষে আসবে রায়।
এদিকে জায়েদ খানকে নিয়ে চলছে চাপা উত্তেজনা। ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন এফডিসিতে চলচ্চিত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দকে প্রবেশ করতে না দেওয়াসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তার ওপর নাখোশ সংগঠনগুলো। আজ প্রযোজক সমিতির স্টাডি রুমে ১৮ সংগঠনের পক্ষে মুখপাত্র চিত্রনায়ক আলমগীরের নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছে।
জানা গেছে, বৈঠক থেকে কঠোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে জায়েদ খানের বিষয়ে। এমনকি তাকে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হতে পারে।
উল্লেখ্য,গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সেখানে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন জায়েদ খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ অভিযোগ তোলেন, নির্বাচনে দুর্নীতি করেছেন জায়েদ। টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন তিনি। এসব অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন নিপুণ। লিখিত অভিযোগ জানান নির্বাচনের আপিল বোর্ডের কাছেও। এরপরই বোর্ডকে বিষয়টির সুরাহা করার দায়িত্ব দেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।