হানিফ সংকেত বিজাতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এক নিরন্তর সংগ্রামী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:৫০ পিএম, ১২ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিশ্বায়নের দোহাই দিয়ে দেশের কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী-শিল্পী-সংস্কৃতিসেবিদের বড় অংশ পরদেশি সংস্কৃতিতে ডুবে গেছেন। ‘নগদ’ পাওয়ার আশায় সংস্কৃতি চর্চার নামে রাজনৈতিক ‘দলদাসে’ পরিণত হয়েছেন। দেশজ সংস্কৃতি চর্চার বদলে বিবেক বিক্রি করে হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতি চর্চার শ্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন। বিজাতীয় সংস্কৃতির শ্রোতের বিপরীতে যারা দেশের সংস্কৃতি চর্চা করছেন তাদের সংখ্যা খুবই কম। এদের মধ্যে ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানের নির্মাতা হানিফ সংকেত অন্যতম। তিনি অপসংস্কৃতির শ্রোতে গা না ভাসিয়ে দেশজ সংস্কৃতি চর্চায় নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপ্রিয় হলেও সত্য ‘শিল্প-সংস্কৃতির কোনো সীমানা নেই’ অজুহাতে বিশ্বায়নের দোহাই দিয়ে আমরা যেন কাজী নজরুল-লালন-হাছন-জয়নুল-পদ্মা-মেঘনা-যমুনার নিজস্বতা থেকে অনেক দূরে সরে গেছি। দেশজ সংস্কৃতি, লোকজ সংস্কৃতি কবি গান, পালা গান, জারি গান, মুর্শিদি, ভাটিয়ালী, হামদ-নাত, কাওয়ালীর বদলে হিন্দি লারেলাপ্পায় ঝুঁকে পড়েছি। ‘আকাশ সংস্কৃতির’ নামে বিজাতীয় সংস্কৃতির চর্চায় ‘মনপ্রাণ শপে’ দিয়েছি। এদেশের জাঁদরেল কবি-শিল্প-সাহিত্যিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মননে ঢুকে গেছে হিন্দি আর কোলকাতার সংস্কৃতি চর্চা ছাড়া প্রগতিশীল হওয়া যায় না। প্রগতিশীল না হলে জাতে উঠা অসম্ভব। সে কারণে দেশের সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব আর বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বিজাতীয় সংস্কৃতি চর্চার শ্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দলবাজি, দলদাস, তোষামোদী চেতনা। সংস্কৃতি চর্চার নামে কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘তোষামোদ’ কবিতাটির স্বার্থক ব্যবহার করছেন। এই শ্রোতের বিপরীতে অবস্থান নেয়া ব্যাতিক্রম একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের নাম হানিফ সংকেত। বিজ্ঞানের বদৌলতে আকাশ সংস্কৃতির নামে বিজাতীয় সংস্কৃতির উলঙ্গ নৃত্যের ডামাডোলের মধ্যেও ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি দেশক সংস্কৃতি ‘ফেরি করে’ প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে নিজেকে শক্ত ভীতের ওপর দাঁড় করিয়েছেন।
হিন্দুয়ানী সংস্কৃতির ভিড়ে হানিফ সংকেত দেশজ সংস্কৃতির চর্চায় শিল্প সংস্কৃতি অঙ্গনে কার্যত ‘নজীর’ সৃষ্টি করেছেন। একজন শিল্পীর সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তিনি নিজস্ব কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তুলে ধরছেন। ক্ষমতাধরদের চামচামি না করেও বিজাতীয় সংস্কৃতির শ্রোতের বিপরীতে প্রায় তিন যুগ ধরে সংগ্রাম করছেন। সেই সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে মানুষকে পরিশুদ্ধ করার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিল্পের কাছে দায়বদ্ধতা থেকে নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টি করছেন এবং মা-মাটি-মানুষের সংস্কৃতির ফেরিওয়ালা হয়ে গেছেন। আসুন আমরাও হানিফ সংকেতের পথ ধরে অবিরাম এগিয়ে চলি। দেশপ্রেমি কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী-সংস্কৃতিসেবী হিসেবে দেশের ঐহিত্যকে এগিয়ে নেই।
সময়ের চাহিদা বলে একটা কথা রয়েছে। রাজনীতির কাঁদা ছোড়াছুড়ি ও বিজ্ঞানের বদৌলতে এখন অনেককিছুই পাল্টে গেছে। দর্শকদের রুচিবোধে এসেছে পরিবতর্ন। গত কয়েক বছরে মানুষের চিন্তা, চেতনা, মননে পরিবর্তন ঘটেছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আকাশ সংস্কৃতির নামে বিজাতীয় সংস্কৃতি আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে গ্রাস করেছে। কিছু নগদ পাওয়া আশায় ঢাকার কবি-শিল্প-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে অনেকেই ‘মননে’ পরিবর্তন এনেছেন। বেশির ভাগই দুই ধরায় বিভক্ত হয়ে রাজনৈতিক দল ও নেতার নামে অনবরত ‘কেরাস’ গাইছেন। সংস্কৃতি চর্চা-সাহিত্যের নামে, লোভ ও ক্রোধে চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন এনে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। অথচ বদলাননি হানিফ সংকেত। এখানেই তিনি ব্যতিক্রম, অনন্য। ৩৩ বছর ধরে বিটিভিতে ‘ইত্যাদি’ নামের একটি অনুষ্ঠান করে চলেছেন। মানহীন অনুষ্ঠান ও ক্ষমতাসীনদের স্তুতির কারণে সাধারণত দর্শক এখন আর বিটিভি দেখেন না। মা-খালারা কলকাতার বাংলা চ্যানেলের সিরিয়াল দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন। অথচ হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’ দেখার জন্য এক মাস ধরে অপেক্ষা করেন। দেশপ্রেম, অনবদ্য প্রতিভা ও কর্ম নৈপুণ্যে তিনি এখন নিজেকে একটি সংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। প্রায় তিন যুগ ধরে একটি অনুষ্ঠানের দর্শকপ্রিয়তা ধরে রাখা চাট্টিখাটি কথা নয়। দল-মত নির্বিশেষে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে তিনি এখনো আদরণীয়। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনি অনুষ্ঠানে বিদেশীদের অংশ গ্রহণ বাড়িয়েছেন; কিন্তু দেশজ সংস্কৃতির প্রবেশ ঘটিয়েছেন বেশি। নিরলস প্রয়াস, সততা, নিষ্ঠা, আপসহীন, স্পষ্টবাদী ও সমাজ সচেতনতায় ‘ইত্যাদি’কে সব মানুষের করেছেন।
দেশের শিল্প সংস্কৃতি থেকে পশ্চাত্য আর হিন্দির আগ্রাসন দূর করা কঠিন। অথচ আমাদের রয়েছে হাজার বছরের সংস্কৃতি চেতনা। নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চায় নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করা শিল্পী সাহিত্যিকদের নৈতিক দায়িত্ব। অতপর রয়েছে সামাজিক দায়বদ্ধতা। ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সংস্কৃতিসেবীদের মধ্যে হিন্দির আগ্রাসন থেকে ‘নিজস্ব সংস্কৃতিক চেতনা রক্ষা’ প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের নাগরিকেরা রাষ্ট্রীয় ভাষা হিন্দির বদলে আঞ্চলিক ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করছেন সংস্কৃতি চর্চায়। দক্ষিণ ভারতের চার রাজ্য কানাড়া, তেলেগু, তামিল ও মালায়লম হিন্দির আগ্রাসন রুখে দিয়েছে। আসাম ও ত্রিপুরার মানুষ হিন্দিুকে পিছনে ফেলে নিজস্ব ভাষাকে এগিয়ে নেয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হিন্দি ভাষাকে প্রত্যাখ্যান করে ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সংস্কৃতিসেবীরা নিজ ভাষার প্রতি আনুগত্যের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হয়েও আমরা সেটা পারিনি। ভারতের অনেক রাজ্যের মানুষ হিন্দিকে এড়িয়ে চলেন। অথচ আমরা বাংলাদেশীরা প্রগতিশীলতার ধোয়া তুলে হিন্দি ও কোলকাতার বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনে ডুবে গেছি। বাংলাদেশের সামগ্রিক সাংস্কৃতিক বিনোদনের বাস্তব চিত্র যেন হিন্দি আর কোলকাতা কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। তবে আশার কথা হলো বিশ্বায়ন নামক দৈত্য সাংস্কৃতিক আধিপত্যকে থোরাইকেয়ার করেছেন হানিফ সংকেত। তিনি সামগ্রিক সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের মধ্যে (কাজী নজরুলের ‘আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুস্পের হাসি!’) দাঁড়িয়ে দেশজ সংস্কৃতির বিকাশ লাভে বিনোদনে নিজস্ব শ্রোতধারা সৃষ্টি করেছেন। হিন্দুত্ববাদী অপসংস্কৃতির শ্রোতে গা না ভাসিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘বল বীর-বল উন্নত মম শির! শির নেহারি’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!’ মতোই মাথা উঁচু করে দেশজ সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন খুবই শক্তিশালী। এছাড়াও দেশে প্রচুর চিন্তাশীল মানুষ রয়েছেন। আছেন বিশাল তরুণ-তরুণী জনগোষ্ঠী। এদের বড় অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডুবে গেছেন। শিক্ষিত এই সমাজের বড় অংশ গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি পাঠে বিনোদনের পাশাপাশি নাটক-সিনেমার মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করেন। অনেকে পাঠ্য বইয়ের বাইরে সাহিত্য পাঠ অনাবশ্যক মনে করেন। এ ছাড়াও সময়ের বিবর্তনে মানুষের রুচির পরিবর্তন যেমন ঘটেছে; বিনোদনের উপকরণও পাল্টে গেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আগমনে বিনোদনের রুচিতেও এসেছে পরিবর্তন। এই সুযোগে চলচ্চিত্র ও ক্যাবল টিভির নাটকে বিজাতীয় ভাষা-সংস্কৃতি চর্চা প্রভাবভাবে বেড়ে গেছে। এতে তরুণেরা বিপথগামী হচ্ছেন। মদ-গাজা-হিরোইনে ঝুকে পড়ছেন। বিনোদন সুস্থতা হারিয়ে হয়ে গেছে অশালীন-বিকৃত স্থূলতায়। ক্যাবল টিভির কল্যাণে এখন ঘরে ঘরে এটি অনায়াসে ঢুকে পড়েছে। এটাকে ঠেকানো সচেতন সৃষ্টির যে অপরিহার্যতা দায়বদ্ধতা সংস্কৃতিসেবীদের। তারা কি সে দায়িত্ব পালন না করে অপসংস্কৃতি ফেরি করছেন। বলা যায় বেশিরভাগ সংস্কৃতিসেবী অপসংস্কৃতির শ্রোতে গা ভাসিয়ে দেশেজ সংস্কৃতিকে ধ্বংসের দ্বাঁরপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
এখানেই অন্যদের চেয়ে ব্যাতিক্রম হানিফ সংকেত। তিনি সমাজকে দেখেন নিবিড়ভাবে; শিল্প নির্মাণে শিল্পীর দায়বদ্ধতায় থাকেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, ৪০ বছর ধরে নিরলস পরিশ্রম ও নিষ্ঠা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। একাধারে পরিচালক, উপস্থাপক, নাট্যকার, নির্মাতা, লেখক ও নির্দেশক। দেশপ্রেমের উদ্বুদ্ধ হয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ, ক্ষুরধার বুদ্ধিবৃত্তি দিয়ে ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠান সাজান। মিডিয়া ম্যাজেশিয়ান হিসেবে তিনি শুধু রুচিশীল ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান নির্মাণ করেন না; নির্মাণে শিক্ষা, তথ্য, বিনোদনের সমন্বয় ঘটানোর চেষ্টা করেন। তিনি শেকড় সন্ধানী সংস্কৃতির ব্যাক্তিত্ব। শিল্পীর দায়বদ্ধতা থেকে ‘ইত্যাদি’কে নিয়ে গেছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, তুলে ধরছেন স্থানের অজানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
তিনি আউল-বাউল-ওলী-আউলিয়াসহ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি তুলে ধরেন। প্রাচীন প্রত্মতাত্তি¡ক নিদর্শন, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্থান, আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র এবং সৌন্দর্যকে মহিমাম্বিত করে তুলে ধরেন। টেননাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রুপসা থেকে পাথুরিয়া তার পদচারণা। ঢাকার লালবাগের কেল্লা, সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে শুরু করে টেকেরঘাট থেকে কুয়াকাটা, খাগড়াছড়ি, সুন্দরবন, চা বাগান, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, চট্টগ্রাম বন্দর, ঢাকা ইপিজেড, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার সবকিছুই তুলে ধরছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত গঠন, অপসংস্কৃতি চর্চার বিরুদ্ধে স্লোগান, অপসাংবাদিকতা এবং টক-শোর নামে তোষামোদী স্তুতির অপকান্ডকে দর্শকদের সামনে অবলীলায় তুলে ধরেছেন। তিনি সামাজিক দায়বদ্ধতা, মানবিয় অঙ্গীকার ও মূল্যবোধের চেতনা থেকেই গ্রামগঞ্জ থেকে তুলে এনেছেন অসংখ্য অসহায় সুপ্ত প্রতিভা। প্রচারের সুযোগ না পাওয়া অনেক সৎ সাহসী, জনকল্যাণকামী, নিভৃতচারী আলোকিত মানুষকে দেশবাসীর সামনে তুলে এনেছেন। পরবর্তীতে তাদের অনেকেই অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মান। নঁওগার বৃক্ষপ্রেমী গহের আলী, শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখা রাজশাহীর পলান সরকার তারই আবিষ্কার।
শুধু বিনোদন, সংস্কৃতি চর্চার মধ্যেই সমাজ বির্নিমানে অধিকারবঞ্ছিত প্রতিবন্ধী মানুষের জীবন কর্মমূখর করে তুলতে প্রতিবন্ধীদের নিয়েও ‘ইত্যাদি’তে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রচারিত করেন। অথচ প্রতিবন্ধীরা এক সময় ছিল নিগৃহিত-অচ্ছুত। বিবেকের প্রেরণা ও দায়বোধ থেকে তিনি নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাসন, নগর-মহানগরে পানির অপচয় রোধ, গ্যাসের অপব্যবহার রোধ, বৃক্ষরোপণ, শিক্ষা, পরিবেশদূষণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, অগ্নিকান্ড প্রতিরোধ, শিশুশ্রম, শিশুদের খেলার মাঠ, অসুস্থ শিল্পী ও মানুষকে নিয়ে মানবিক প্রতিবেদন, ভেজাল নিরোধকল্পে মানুষকে সচেতন করেছেন। তার সৃষ্টি ‘ফসলে ডাক্তার’ (টেলি ক্লিনিক), ছাদ কৃষি এবং পরিবহনের পেছনে কুরুচিপূর্ণ-অশোভন স্লোগানের পরিবর্তে শিক্ষামূলক স্লোগান লেখাতে সংশ্লিষ্টতের উৎসাহিত করতে অসামান্য অবদান রেখেই চলছেন।
উৎসঃ ইনকিলাব