avertisements 2

সুস্থ হয়েই সেই অটোচালক ভজন সিং রানার দেখা সঙ্গে করলেন সাইফ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৫ | আপডেট: ০৬:৫৪ এএম, ২৩ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৫

Text


ভজন সিং রানা। উত্তরাখন্ডের মানুষ। পেশায় অটোচালক। বহুদিন ধরেই মুম্বাইয়ের রাস্তায় অটো চালাচ্ছেন ভজন। বাকি দিনগুলোর মতো গত ১৬ জানুয়ারি ভোররাতেও নিজের অটো নিয়ে বাড়ি ফিরলেন এই চালক। 
এমন অবস্থায় নিজ বাড়ির দরজার সামনে বলিউডের নবাব সাইফ আলি খান রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। একেবারে দেবদূতের মতো নায়কের সামনে হাজির হন তিনি। সাইফকে উদ্ধার করে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যান এই চালক। 

হাসপাতালে প্রায় পাঁচ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পরে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জীবন যুদ্ধে জিতে বাড়ি ফিরলেন সাইফ। মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, আপাতত ভাল আছেন অভিনেতা। তার অস্ত্রোপচার হয়েছে, কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার হাসপাতাল ছাড়ার আগে সাইফ দেখা করেন ভজনের সঙ্গে। জড়িয়ে ধরেন তার ত্রাতাকে। ছবি তোলেন ভজনের সঙ্গে। যেটাই এখন নতুন করে টক অফ দ্যা টাউন।সাইফের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ভজন ভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘তারা বিকেল ৩:৩০টা নাগাদ আসতে বলেছিল। আমি বলি, ঠিক আছে, পৌঁছে যাব। তবে হাসপাতালে পৌঁছাতে একটু দেরিই করে ফেলেছিলাম, প্রায় ৪-৫ মিনিট। তবুও সেখানে গিয়ে সাইফ আলি খানের সঙ্গে দেখা করলাম।’

ভজন বলেন, ‘যখন ভিতরে ঢুকলাম, দেখলাম তার পরিবারও সেখানে ছিল। সবাই চিন্তিত ছিল, কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। সাইফ আলি খানের মা এবং সন্তানেরাও উপস্থিত ছিল সেখানে। তাদের তরফ থেকে আমাকে অনেক সম্মান দেওয়া হয়েছে।’ 

এখানে থামেননি ভজন। বললেন, ‘এই যে আমাকে আজ আমন্ত্রণ জানানো হলো, খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ কিছুই না, শুধু দেখা করার জন্য এই আমন্ত্রণ। আমি সাইফ আলি খানকে বললাম, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন, আমি আগে আপনার জন্য প্রার্থনা করেছি, সবসময় সেই প্রার্থনা করে যাব।’


এর আগে ভজন সিং রানা এক সাক্ষাৎকারে জানান সেই রাতের অভিজ্ঞতার কথা। তিনি জানান, সে রাতে আচমকাই দেখতে পান বিপরীতের ফ্ল্যাট থেকে এক মহিলা তাকে ডাকছেন। ইউ-টার্ন করে গাড়ি নিয়ে গিয়েই দেখেন এ কী কাণ্ড! রক্তাক্ত অবস্থায় সাদা পাঞ্জাবি পরে সেখান থেকে বের হয়ে আসছেন এক ব্যক্তি। গোটা পোশাক লালে-লাল। কালবিলম্ব না করে সেই ব্যক্তিকে নিয়ে পাশেই লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। তার তৎপরতার কারণেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের হাত থেকে রক্ষা পান সাইফ।

ভজনের কথায়, ‘আমি জানতাম না উনি সাইফ আলি খান। শুধু এটাই মাথায় ঘুরছিল একজন অসুস্থ, তাকে নিয়ে যে করেই হোক হাসপাতালে যেতে হবে।’ 

​​

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2