avertisements 2

রিমান্ড নামঞ্জুর, কারাগারে মাহিয়া মাহি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ মার্চ,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:০৬ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মা/মলায় গ্রে/প্তার হওয়া চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

সৌদি আরবে ওমরাহ পালন শেষে শনিবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। অবতরণের পর পরই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মা/মলায় গ্রে/প্তার হন তিনি। মাহি দেশে আসলেও তার স্বামী রকিব সরকার এখনও দেশে ফেরেননি।

শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদস্যরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে মাহিকে গ্রে/প্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।

এর আগে স্বামীর সঙ্গে ওমরাহ পালন করতে যাওয়া মাহি সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভোরে ফেসবুক লাইভে আসেন। লাইভে মাহিয়া মাহি অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী ব্যবসায়ী-আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের গাড়ির শোরুমে হাম/লা ও ভা/ঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ওই ফেসবুক লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ নিয়ে প্রতিপক্ষকে জমি দখল দেওয়ার চেষ্টা’রও অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে ফেসবুক লাইভে মানহা/নিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে মাম/লা করে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানায় মা/মলাটি করা হয়। মাম/লায় প্রধান আসা/মি রকিব সরকার এবং দ্বিতীয় আসামি মাহিয়া মাহি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে মানহা/নিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মাম/লায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রে/প্তার করা হলেও তার স্বামী রকিব সরকার এখনও দেশে ফেরেননি। ধারণা করা হচ্ছে গ্রে/প্তার এড়াতে মাহির স্বামী দেশে আসেননি। তবে তিনি কোথায় আছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।

এর আগে ফেসবুক লাইভে মাহিকে নিয়ে রকিব সরকার বলেন, গাজীপুর মহানগরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার গাড়ির একটি শোরুম রয়েছে। স্থানীয় ইসমাইল হোসেন ও মামুন সরকার লোকজন নিয়ে শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে হাম/লা চালিয়ে ওই শোরুমে ব্যাপক ভাঙ/চুর করেন। হাম/লাকারীরা শোরুমের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন আসবাব, দরজা–জানালার কাচ, টেবিল–চেয়ার ভাঙচুর এবং শোরুমের সাইনবোর্ড খুলে নেয়। অফিস কক্ষ তছনছ করে এবং টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রকিব সরকারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে দু/র্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

লাইভে রকিব সরকার অভিযোগ করেন, জিএমপি পুলিশ দেড় কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে ইসমাইলের পক্ষে জমি দখল করে দিতে চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘জমি ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে রকিব সরকার আমার কাছে এক কোটি টাকা দাবি করেছিলেন। যেখানে এক কোটি টাকা দিলে সমস্যা সমাধান হয়, সেখানে কেনো আমি পুলিশকে দেড় কোটি টাকা দেবো? পুলিশ আমার পক্ষে থাকলে আজ আমি কেনো মার খেলাম, কেনো আমি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়ে অভিযোগ দিলাম।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2