দেশীয় প্রকৌশলীরাই সচল করলো নষ্ট ডেমু ট্রেন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৩৮ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
দেশের প্রকৌশলীরাই সচল করলেন অচল একটি ডেমু ট্রেন। পার্বতীপুর লোকো ইয়ার্ডে পড়ে থাকা ডেমু ট্রেনটিকে পরীক্ষামূলকভাবে ঘন্টায় ৭২ ঘন্টা গতিতে চালানোও হয়েছে। এতে সাশ্রয় হয়েছে খরচ। সব ঠিকঠাক থাকলে বাকি ১৯টি ট্রেনও সচল করবেন দেশি প্রকৌশলীরা।
স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের জন্য চীন থেকে ২০১৩ সালে ৬৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি ডেমু ট্রেন আনে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ট্রেনগুলো চলতো বিশেষ সফটওয়্যারে। হস্তান্তরের পর এর প্রযুক্তি সম্পর্কে রেলওয়ের দেশি প্রকৌশলীদের কোনো ধারণাই দেয়া হয়নি।
ট্রেনের কোন মডিউল বিকল হলে কিনতে খরচ হতো ৭ লাখ টাকা। সফটওয়্যারে মডিউল সেটআপ দিতে দ্বারস্ত হতে হতো চীনা প্রকৌশলীদের। গুণতে হতো বাড়তি টাকা। ট্রেনগুলোর মেয়াদ ২০ বছর ধরা হলেও মাত্র ৪-৫ বছরের মধ্যেই বিকল হতে থাকে। ৯ বছরের মধ্যে ২০টি ট্রেনই বিকল হয়ে পড়ে।
রেলের অনুরোধে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও আনবিক শক্তি কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে চার প্রকৌশলীর দেড় বছরের চেষ্টায় দেশীয় প্রযুক্তিতে একটি ট্রেনকে সচল করা হয়।
প্রধান পরামর্শক প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, “প্রায় দেড় বছর ধরে একটানা এই কাজটি করেছি। তাতে সাফল্য পেয়েছি। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল লোকাল যন্ত্রপাতি দিয়ে ট্রেনটি চালু করবো।”
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সবগুলো ট্রেন সচল করা হবে।
পার্বতীপুর লোকো ইয়ার্ডের প্রকৌশলী রফিুকুল ইসলাম বলেন, “ডেমুগুলো চলার সময়ে এর কট্রোল সিসটেম মূলত মডিউলের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। মডিউলগুলো অনেক জটিল বিষয়, আমরা এটাকে সহজ প্রক্রিয়ার মধ্যে আনার চেষ্টা করছি।”
দীর্ঘদিন পর ডেমু ট্রেন সচল হওয়ায় খুশি যাত্রীরা।
তারা জানান, ডেমু ট্রেন না থাকায় আমাদের খুবই কষ্ট হয়েছে। ঠাকুরগাঁও বা পঞ্চগড়ে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এই ট্রেনে যাতায়াত আরামদায়ক, এর সিট ব্যবস্থাও ভালো। এখন এর সার্ভিস পাচ্ছি, অনেক ভালো লাগছে।”
দেশি প্রকৌশলীদের দিয়ে বাকি ১৯টি ট্রেন সচল করতে খরচ পড়বে ১০০ কোটি টাকা। চীনের দ্বারস্ত হলে খরচ পড়তো ৬০০ কোটি টাকা।