জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বললেন
২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ‘দ্বিতীয় চাঁদ’ পাচ্ছে পৃথিবী!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ১০:৫৩ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
স্বল্প সময়ের জন্য দ্বিতীয় একটি “চাঁদ” পেতে যাচ্ছে পৃথিবী। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, একটি গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। তবে পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে না এটি। এর বদলে নিজের যাত্রায় দুই মাসের জন্য পৃথিবীকে সঙ্গ দেবে ছোট্ট এই গ্রহাণুটি।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাইরে থেকে উড়ে আসা একটি গ্রহাণু পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে। “২০২৪ পিটি৫” নামের এই গ্রহাণুকে “মিনি মুন” হিসেবে আখ্যায়িত করছেন বিজ্ঞানীরা।
আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির একটি গবেষণায় এই গ্রহাণুর গঠন, ভ্রমণপথ ও অন্যান্য বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, পৃথিবী প্রদক্ষিণ শেষে গ্রহাণুটি সূর্যকেন্দ্রিক একটি কক্ষপথে (হেলিওসেন্ট্রিক অরবিট) ফিরে যাবে।
গ্রহাণুটি ১১মিটার চওড়া। গত ৭ আগস্ট গ্রহাণুটির সন্ধান মেলে দক্ষিণ আফ্রিকার “অ্যাস্টেরয়েড টেরেস্ট্রিয়াল-ইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম (অ্যাটলাস)” টেলিস্কোপের মাধ্যমে।
তবে পৃথিবীর মহাকর্ষে আকৃষ্ট হয়ে কোনো গ্রহাণুর কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করার ঘটনা এটিই প্রথম না। এরকম অস্থায়ী চাঁদের দেখা আগেও পেয়েছে পৃথিবী। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পৃথিবীর কক্ষপথে “২০২০ সিডি ৩” নামের একটি গ্রহাণুর দেখা পান বিজ্ঞানীরা। এরপর গবেষণা থেকে জানা যায়, শনাক্ত হওয়ার আগে কয়েক বছর ধরে আমাদের গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছিল গ্রহাণুটি।
পৃথিবীর দিকে দ্রুত গতিতে আসা গ্রহাণুগুলো সাধারণত আমাদের বায়ুমণ্ডলে আছড়ে পড়ে, বা ভস্মীভূত হয়ে যায়। উপগ্রহ বা চাঁদের মতো পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে হলে একটি গ্রহাণুকে সঠিক গতি এবং দিক মেনে পৃথিবীর দিকে আসতে হবে।
মাদ্রিদের কমপ্লুটেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক বিজ্ঞান অনুষদের গবেষক কার্লোস দে লা ফুয়েন্তে মার্কোস বলেন, “মিনি মুনে পরিণত হতে হলে আগত একটি বস্তুকে ধীরে ধীরে পৃথিবীর কাছে আসতে হবে।”
মিনি মুনে পরিণত হতে যাওয়া কোনো গ্রহাণুকে ঘণ্টায় ২,২৩৭ মাইল গতিতে পৃথিবীর ২৮ লাখ মাইলের মধ্যে আসতে হবে বলে জানান তিনি।
পৃথিবী থেকে খোলা চোখে, অপেশাদার টেলিস্কোপ বা দূরবীন দিয়ে দেখা যাবে “২০২৪ পিটি৫” নামের এই গ্রহাণুকে।