সাড়ে ৩ কোটি টাকার সেতুতে উঠতে লাগে কাঠের সিঁড়ি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ মে,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৪১ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার পৌর শহরে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের আজও শুরু হয়নি। এ কারণে ১৬ ফুট উচু বাঁশ ও কাঠের সিঁড়ি বেয়ে উঠে সেতু দিয়ে পার হচ্ছেন এলাকাবাসী। এতে যেকোনও সময় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এলজিইডি থেকে ‘সিপিইউ হানড্রেট মিটার প্রকল্পের’ আওতায় পৌর শহরের মহিষাপোতা ও সলিয়াকপুর ইউনিয়নের খেজুরবাড়ি আবাসন সড়কে ৪৫ মিটার লম্বা সেতুটি নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়। বরিশাল নগরীর মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স লিমিটেড ও মেসার্স মিম অ্যান্ড কোম্পানি জেবি সেতুটি নির্মাণ করে। ২০২১ সালের মে মাসে কাজ শুরু হয়। এক বছর মেয়াদে ওই সেতু নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করলেও দুই পাশের সংযোগ সড়ক করেনি।
সেতুর উত্তর প্রান্তের সংযোগ সড়কের আংশিক কাজ শেষ কয়েছে। তবে দক্ষিণ প্রান্তের শ্মশান ঘাট এলাকার সংযোগ সড়ক এখনও নির্মাণ হয়নি। ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে পৗর শহরের মহিষাপোতা ও সলিয়াকপুর ইউনিয়নের খেজুরবাড়ি আবাসনের বাসিন্দারা ১৬ ফুট উঁচু বাঁশ-কাঠের সিঁড়ি বেয়ে সেতু পার হচ্ছেন। বেশিরভাগ সময় বন্দর বাজারে আসা বৃদ্ধ ও স্কুলগামী শিশুরাই এভাবে পারাপার হয়। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিম অ্যান্ড কোম্পানির পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের আগেই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করেছি। তবে সংযোগ সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়নি। প্রশাসনিক অনুমতি পেলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন করা হবে।’
বানারীপাড়া এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘শ্মশান ঘাটের সম্পত্তি ও বাউন্ডারি ওয়াল এড়িয়ে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে এখনও ৩-৪ মাস সময় লাগবে। এরপর ওই সেতু জনগণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’