গুলির হিসাব নেই আনসারের কাছে!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৪ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪২ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
গত বুধবার ১৮ আগস্ট বরিশাল সদর উপজেলা নির্বার্হী অফিসার মুনিবুর রহমানের বাসা ভবনের হামলার অভিযোগে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা হামলাকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়েছিলে। তাদের ছোড়া গুলিতে আনসার, পুলিশসহ বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম ওরেফে মামা খোকনসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার ৫দিন অতিবাহিত হলেও সরকারি কতগুলো গুলি খরচ হয়েছে তার হিসাবে মিলাতে পারেনি কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা।
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ওসি মো. ফারুকুল ইসলাম বলেন, যদি পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোন বাহিনীর কোন কারণে গুলি ছোড়ার প্রয়োজন হয় ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতগুলো গুলি খরচ করা হয়েছে তার হিসাবে ২৪ঘণ্টার মধ্যে স্ব-স্ব দপ্তরে জমা দিতে হবে, কিংবা দপ্তর প্রধানকে অবহিত করতে হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করার নিয়ম রয়েছে।
ডায়েরিতে কতটি গুলি মজুদ ছিলো, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে কী পরিমানের গুলি খরচ করা (ছোড়া) হয়েছে। বর্তমানে কয়টি গুলি মজুদ রয়েছে, তার সম্পূর্ন বিবরনীতে থাকা আবশ্যক। কিন্তু বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসায় হামলার ঘটনায় দায়িত্বরত অস্ত্রধারী আনসার সদস্যদের ছোড়া সরকারি বন্দুকের খরচ হওয়া গুলির সংখ্যার কোন হিসাবে নেই কতৃপক্ষের কাছে। এমনকি তারা এ বিষয়ে থানায় কোন রিপোর্টও করেনি।
বরিশাল আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যাান্ট আমমার হোসেন জানান, 'বুধবার রাতের ঘটনাটি ছোটখাটো কোন ঘটনা নয়। এটি অনেক বড় ঘটনা। ফলে ওই ঘটনা নিয়ে এই মূহূর্তে কিছুই বলা যাবে না। ওই ঘটনার পরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী বুধবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলেই বলতে পারবো ওই রাতে কত রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল, কার নির্দেশে গুলি ছুড়েছে বিষয়গুলো স্পষ্ট হওয়ায় যাবে।'
তিনি আরো বলেন, ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুজনের মধ্যে আনসার সদস্য ফারুক গাজীর পায়ে গুলি লেগেছে। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং অপর সদস্য মাহতাব বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতের উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ সদস্যরা এক রাউন্ড গুলিও করেনি। তারা লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গুলি ব্যবহার করেছে আনসার সদ্যসরা। তারা কী পরিমানে গুলি ব্যবহার করেছে সে বিষয়ে থানায় কোন ধরনের সাধারণ ডায়েরিও করেনি।