বরিশালে মেয়রের বাসায় অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে ফিরে এলো পুলিশ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ আগস্ট,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪২ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার ঘটনায় মহানগর আওয়ামী লীগের ও ছাত্রলীগের ১৩ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাস ভবনে অভিযানের উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গেলেও পরে ফিরে এসেছে। ইউএনওর বাস ভবনে হামলা ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দানের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি গ্রেফতারে মেয়রের বাসায় অভিযান চালাতে যায় বলে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি নুরুল ইসলাম।
ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ১৩ জনকে আটক করেছি।’ তিনি জানান, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল মেয়রের বাসায় আসামিরা আত্মগোপনে ছিল। এজন্য পুলিশ সেখানে জড়ো হয়েছিল। তবে পরক্ষণে নিশ্চিত হয় সেখানে আসামি নেই। সেখানে গিয়ে সেরকম কাউকে পাওয়া যায়নি এবং কাউকে সেখান থেকে আটকও করা হয়নি।
ওসি জানান, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবু ও রুপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ শাহারিয়ার বাবুসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউএনওর বাসায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে বুধবার রাতে শোক দিবসের ব্যানার খুলতে যান বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা। এ সময় ব্যানার খোলার কারণ জানা নিয়ে ইউএনও মুনিবুর রহমানের সঙ্গে সিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের কথা-কাটাকাটি হয়। প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ওই সময় ইউএনওর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরে সেখানে উপস্থিত আনসার সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হলে উপস্থিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ইউএনওর বাসায় হামলার চেষ্টা চালান। এ সময় আনসার সদস্যরা গুলি ছুড়লে প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসসহ চারজন আহত হন।