পরীমণির বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ তার প্রথম স্বামী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ আগস্ট,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৪৩ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বর্তমান সময়ে আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন তার প্রথম স্বামী মো: ইসমাঈল হোসেন। জানা যায়, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ভগিরথপুর গ্রামের মো: ইসমাঈল হোসেনের সাথে তার প্রথম বিয়ে হয়। তখন তিনি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। পরীমণির প্রথম স্বামী ইসমাইল তার মেজ খালু মো: কবির হোসেন জমাদ্দারের বড় ভাইয়ের ছেলে। তাদের বিয়ে দু’বছর স্থায়ী ছিলো।
পরীমণির বাবার বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার সালাবাদ ইউনিয়নের বাকা গ্রামে। তার আসল নাম শামসুননাহার স্মৃতি। নয়া দিগন্তের পক্ষ থেকে সেল ফোনে পরীমণির বিষয়ে জানতে চাইলে তার সাবেক স্বামী ইসমাঈল হোসেন বলেন, ‘আমি তার (পরীমণির) বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
পরীমণির বাবা মনিরুল ইসলাম ছিলেন পুলিশ কনেস্টেবল (সিপাহী)। তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলার ভগিরথপুর বাজারের পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। ভগিরথপুর পুলিশ ক্যাম্পের কাছাকাছি ভান্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ সীমানার সিংহখালী গ্রামের গাজী বাড়ির শামছুল হক গাজীর বড় মেয়ে সালমা সুলতানাকে বিয়ে করেন মনিরুল ইসলাম। মনিরুল ও সালমা দম্পতির ঘরে ১৯৯২ সালে মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করলে নাম রাখা হয় শামসুননাহার স্মৃতি। তিন বছর বয়সে মাকে হারান। বাবা ২০১২ সালে সিলেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তার লালন পালনের দায়িত্ব নেন নানা ও নানি। ১০৩ নম্বর দক্ষিণ সিংহখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। তার নানী ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। পঞ্চম শ্রেণী পাশের পর ভর্তি হন ভগিরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। তার নানা মো: শামসুল হক গাজী ছিলেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ২০১০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করেন পরীমণি। পরে ২০১১ সালে উত্তীর্ণ হন তিনি। পরীর নানা বাড়িতে তার ছোট খালা ও খালু বসবাস করেন। নানি জীবীত নেই। নানা পরীমণির সাথে ঢাকার বাসায় বসবাস করেন।