শিক্ষিকার ছাগল চুরি করলেন যুবলীগ নেতা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:৫১ পিএম, ৭ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩৫ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বরগুনার বামনা উপজেলায় এক স্কুলশিক্ষিকার ছাগল চুরির অভিযোগ উঠেছে মো. সাজ্জাদ হোসেন মর্তুজা নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারী) দুপুর ৩টার দিকে ছাগলটি চুরি করে নিয়ে উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের নিজ বাসার ছাদে ছাগলটি জবাই করে ভাগবাটোয়ারা করে নেন বলে অভিযোগ করেন ছাগলের মালিক স্কুলশিক্ষিকা কাজী শাহানা ফেরদৌসী শিবলী।
এ ঘটনায় স্কুলশিক্ষিকা বাদী হয়ে বামনা থানায় ৩ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বামনা থানা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে মাসুম হাওলাদার (২০) নামে একজনকে আটক করে।
অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন মর্তুজা বামনা উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি। এছাড়া অপর ২ আসামি কলাগাছিয়া গ্রামের স্বপন হাওলাদারের ছেলে মাসুম হাওলাদার (২০) ও নুরুল ইসলামের ছেলে সুমন (২০)।
এদিকে অভিযোগটি তুলে নিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা ওই শিক্ষিকাকে পারিবারিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। পরে তাদের চাপে বুধবার সকালে স্কুলশিক্ষিকা অভিযোগটি থানা থেকে তুলে নিতে বাধ্য হন বলে দাবি তার। পরে বামনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু মৃধা ঘটনাটি সালিশ-মীমাংসার জন্য আশ্বাস দেন। তার আশ্বাসে বামনা থানা পুলিশ আটককৃত মো. মাসুম হাওলাদারকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়।
স্কুলশিক্ষিকা বলেন, আমার ছোট ছোট দুই শিশুসন্তানের প্রিয় ছাগলটি আসামিরা নিয়ে জবাই করেছে। আমার সন্তানরা ছাগলটির জন্য কান্নায় ভেঙে পড়েছে। আমি থানায় অভিযোগ দেয়ার পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
তবে আমি থানার ওসিকে অনুরোধ করি মামলা তুলে নিলেও জনতার মাঝে এ ঘটনার বিচার চাই। পরে স্থানীয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিলে আমি সেটা মেনে নেই। তবে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বামনা থানার ওসি (তদন্ত) মো. আ. মান্নান ফরাজী বলেন, স্কুলশিক্ষিকা কাজী শাহানা ফেরদৌসী ছাগল চুরির একটি অভিযোগ বামনা থানায় দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক এক আসামিকে আটক করি। পরে বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু মৃধাসহ স্থানীয় নেতার আশ্বাসে অভিযোগটি প্রত্যাহার করেন ওই স্কুলশিক্ষিকা।
উল্লেখ্য, বামনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সালিশ ব্যবস্থায় বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দেন। পরে মুচলেকা রেখে ওই আটককৃতকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।