avertisements 2

অস্ট্রেলিয়ার সড়কে রহস্যময় বস্তুর আঘাতে বাংলাদেশি অধ্যাপক নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:২১ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মাজহারুল তালুকদার (৪৯) গত রবিবার অস্ট্রেলিয়ায় এক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। ছবি : ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়

অস্ট্রেলিয়ায় একজন বাংলাদেশি অধ্যাপক তার স্ত্রী ও সন্তানদের সামনে মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়েছেন। একটি রহস্যময় বস্তু গাড়ির সামনের কাচ ভেদ করে তার মাথায় আঘাত হেনেছিল।

৪৯ বছর বয়সী ড. মাজহারুল তালুকদার ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। স্থানীয় সময় রবিবার রাতে নিউ সাউথ ওয়েলসের হিলটপস অঞ্চলে চেরি সংগ্রহ করে পরিবারের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।
তখন বিপরীত দিক থেকে আসা ক্যারাভ্যান থেকে ছিটকে আসা বস্তুটি তার গাড়ির সামনের কাচ ভেদ করে তাকে আঘাত হানে। দুর্ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তার স্ত্রী (৪৮) ও দুই মেয়ে (১৬ ও ১৩) আহত না হলেও তারা মানসিক আঘাত নিয়ে ক্যানবেরা হাসপাতালে ভর্তি হয়।  

ক্যানবেরার বাংলাদেশি কমিউনিটি অনলাইন পোস্টে ড. তালুকদারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছে, তিনি সেদিন হারডেন এলাকায় একটি দাতব্য সংস্থার আয়োজনে চেরি সংগ্রহ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।
পোস্টে আরো বলা হয়েছে, ‘ড. তালুকদার ছিলেন ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সম্মানিত সহকারী অধ্যাপক এবং ইসলামিক স্কুল অব ক্যানবেরা ও বেলকনেন মসজিদের একজন নিবেদিতপ্রাণ সমর্থক। তার পরিবার এখন পর্যন্ত অক্ষত আছে। আমরা পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানাই এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যেন তিনি তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রদান করেন এবং পরিবারকে এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দেন।’

অন্যদিকে ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, ড. তালুকদার ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটির একজন ‘শ্রদ্ধাভাজন’ সদস্য।
তিনি আরো বলেন, ‘১৬ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষা ও গবেষণায় অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং তাকে একজন সদয় ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষাবিদ হিসেবে স্মরণ করা হবে।’

ড. তালুকদারের প্রতি অনলাইনে অনেকেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শোকাহত বন্ধুরা তাকে ‘প্রতিশ্রুতিশীল’, ‘পরিশ্রমী’ ও ‘ধর্মপ্রাণ’ বলে অভিহিত করেছেন। বন্ধু ও সাবেক সহকর্মী মো. সাইদুল ইসলাম তাকে ‘সফলতার প্রতীক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আরেক বন্ধু আবদুল জলিল জানান, মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে কাজ করার সময় তিনি ড. তালুকদারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন।
জলিল লিখেছেন, ‘তিনি জীবনের লক্ষ্যে দৃঢ় ও নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন এবং আল্লাহর প্রতি অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন। মালয়েশিয়া থেকে জার্মানি, এরপর আবার মালয়েশিয়া, তারপর যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আবার মালয়েশিয়ায় ফিরে যান। পরে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় আসেন এবং ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিবেদিত শিক্ষাবিদ হিসেবে স্থায়ী হন।’

এদিকে ৩২ বছর বয়সী ক্যারাভ্যানচালক অক্ষত থাকলেও তাকে বাধ্যতামূলক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি কারো কাছে এই দুর্ঘটনার তথ্য, ড্যাশক্যাম বা মোবাইল ফোনের ফুটেজ থাকলে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সূত্র : ডেইলি মেইল
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2