avertisements 2

প্রধান শিক্ষিকা তমা রায় থাকেন ভারতে, চাকরি করেন বাংলাদেশে!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৫৮ এএম, ৪ মে,শনিবার,২০২৪

Text

মাদারীপুরের ডাসারে এক স্কুল শিক্ষিকা ভারতে থাকলেও বাংলাদেশে চাকরি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই স্কুল শিক্ষিকা ছুটি না নিয়ে মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম এমনটাই দাবি করছেন ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ১৪৫নং পশ্চিম শশিকর ওয়াপদারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তমা রায় গত ২৩ মার্চ থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে একদিকে শিক্ষক সংকট সৃষ্টি হয়েছে অন্যদিকে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এই স্কুলে মোট পাঁচজন শিক্ষকের পদ রয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা তমা রায় অনুপস্থিত, এক সহকারী শিক্ষিকা চিকিৎসা জনিত কারণে ছুটিতে রয়েছেন। শতাধিক শিক্ষার্থীর এই স্কুলে বর্তমানে তিনজন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।

প্রধান শিক্ষিকা তমা রায়ের সন্ধানে তার গ্রামের বাড়ি গেলে তাকে ও তার পরিবারের কোনো লোকজন পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, তিনি পরিবারসহ বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও ডাসার প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ রাকিবুল হাসান জানান, আমরা খবর নিয়ে জেনেছি শিক্ষিকা তমা রায় ভারতে পরিবারসহ চলে গেছেন। কিন্তু চাকরি ছেড়ে যাননি। এতে করে স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় সরকার বলেন, গত ২৩মার্চ চিকিৎসার কথা বলে চলে যাওয়ার পর থেকে আমাদের প্রধান শিক্ষক আর স্কুলে আসেননি। তিনি কোনো ছুটির দরখাস্তও করেননি। আমরা তার সাথে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু তার কোনো খোঁজ পাইনি। তাকে অনেক বার ফোন করাও হয়েছে কিন্তু তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনিও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে আমরা শিক্ষা অফিসকে জানিয়েছি। তিনি আরো বলেন, এমনিভাবে আমাদের প্রধান শিক্ষকের নিরুদ্দেশ হওয়াটা আমরা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমাদের বিদ্যালয় শিক্ষক সংকটে রয়েছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীর পাঠদান ও অফিসিয়াল কার্যক্রম আমরা যথাযথ ভাবে পালন করতে পারছি না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বিদ্যালয়টিতে বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করেছি এবং এ পর্যন্ত তিনটি শোকজ পাঠিয়েছি। এখন আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। যা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন ইয়াছমীন বলেন, প্রধান শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2