উত্তরায় ৩ পুলিশ সদস্যের নেতৃত্বে ২০০ ভরি স্বর্ণ ডাকাতি!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৬:৫৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে রাজধানীর উত্তরায় এক ব্যবসায়ীর ২০০ ভরি স্বর্ণ লুটের ঘটনায় পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
১৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা সময় সংবাদকে জানান, এক এসআই, এক এএসআই ও পুলিশ সোর্সের নেতৃত্বে স্বর্ণ লুটের ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ দত্ত জানান, টঙ্গী বাজারের সোনালী মার্কেটে তার শিল্পী জুয়েলার্স নামে একটি দোকান রয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর দোকানের ২০০ ভরি স্বর্ণ তিনি পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে নিয়ে গলিয়ে আনেন। শরীর ভালো না থাকায় স্বর্ণগুলো তিনি উত্তরা এলাকার বাসায় নিয়ে যান। পরদিন ভোরে ওই স্বর্ণ নিয়ে তার ভায়রার ছেলে অনিক ঘোষের দোকানের উদ্দেশে রওনা হন।
তিনি আরও জানান, উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউছুল আজম অ্যাভিনিউর ৫০ নম্বর বাড়ির সামনে পৌঁছলে একটি মাইক্রোবাস তার সামনে দাঁড়ায়। মাইক্রো থেকে চারজন নেমে ডিবি পরিচয়ে তাকে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তুলে নেয়। পরে তার কাছ থেকে ২০০ ভরি স্বর্ণ মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মেট্রোরেলের উত্তরা স্টেশনের কাছে ফেলে রেখে যায়।
ঘটনা তদন্তে নেমে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত একজনের মোবাইল ফোনের অবস্থান গাজীপুরের শ্রীপুর থানা এলাকায় শনাক্ত করে। ২৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় সহকারী উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত।
এএসআই গিয়াস উদ্দিন গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেন গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম। তিনি বলেন, গিয়াস উদ্দিন ফৌজদারি অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বর্ণ লুটের এ ঘটনায় গ্রেফতার অপর পাঁচজন হলেন: জাহাঙ্গীর হোসেন (লিটন), গোলাম সারোয়ার (৪৯), আনিস মোল্লা (৩০), সুজন চন্দ্র দাস (২৯) ও আমির। এদের মধ্যে আমির ছাড়া বাকি চারজন এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।