সংবাদ সম্মেলনে একটু বসার জায়গা হলো না কোচ এবং অধিনায়কের!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:২৬ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ইতিহাস গড়ে দেশে ফেরা নারী ফুটবল দলকে নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। তাদের বরণ করতে দুপুর থেকে বিমানবন্দর এলাকা ছিল মুখরিত। ছাদ খোলা বাসে বিমানবন্দর থেকে মতিঝিলের বাফুফে ভবন পর্যন্ত রাজসিক অভ্যর্থনা জানানো হয় নারী ফুটবল দলকে। কিন্তু বাফুফে ভবনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।
হিমালয় জয় করে আনা শিরোপা যে ভবনে থাকবে, সে ভবনে ছিল না কোনো আলোকসজ্জা। ব্ড্ড বেরঙিন ভবনে আয়োজন করা হয় এক বিশাল সংবাদ সম্মেলন। কিন্তু ওই সংবাদ সম্মেলনে একটু বসার জায়গা হয়নি চ্যাম্পিয়ন টিমের সেনাপতি সাবিনা খাতুন ও চ্যাম্পিয়ন টিমের গুরু গোলাম রব্বানী ছোটনের।
সংবাদ সম্মেলনে বসেছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ফুফের সহসভাপতি ও ফিনান্স কমিটির চেয়ারম্যা আবদুস সালাম মুর্শেদী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এদের পেছনে অন্যান্যদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন সাবিনা ও ছোটন। দাঁড়িয়েই সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের বক্তব্য রাখেন তারা।
এ ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনা। নেটিজেনরা বলছেন, যাদের জন্য আজকের এই উৎসবের আয়োজন, যাদের জন্য এই আনন্দের উপলক্ষ্য, তারাই একটু বসতে পারলো না? এ কেমন আয়োজন বাফুফের।
কেউ কেউ আবার বলছেন, দীর্ঘদিনের দায়িত্বে যাদের সফলতার নজির নেই, তারা কেন আজ বসে? ওই চেয়ারে থাকবে শুধু ইতিহাস গড়ার কারিগররা। কেউ আবার বলছেন, বিরল সংবাদ সম্মেলন, যেখানে বসার চেয়ার হয়নি বিজয়ী অধিনায়ক ও কোচের।
যদিও এসব নিয়ে দায়সারা উত্তরই দিলেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী। ছোট জায়গায় সংবাদ সম্মেলন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আরও বড় জায়গায় সংবাদ সম্মেলন করব, সংবর্ধনা দেব। এখন তাদের বরণের সময়।’
অন্ধকরাচ্ছন্ন বাফুফে ভবন নিয়ে তার উত্তর, ‘আজকের দিনটি হলো আমাদের গর্বের দিন, আনন্দের দিন। এই আনন্দের মধ্যে আলো আছে। তারা যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এটাইতো আলো।’
সংবাদ সম্মেলনে সাবিনা বলেন, ‘অবশেষে আমরা স্বপ্নটা পূরণ করতে পেরেছি। আপনারা সব সময় পাশে ছিলেন, সমর্থন দিয়েছেন। সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আশা করি সামনেও সমর্থন দেবেন এবং আমরা দেশকে আরও ভালো ভালো শিরোপা উপহার দেবো।’
আজ দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা পৌঁছায় ফুটবল দল। সেখানে তাদের অভ্যার্থনা জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। এরপর ছাদ খোলা বাসে করে প্রায় ৫ ঘণ্টার যাত্রা শেষে আসেন বাফুফেতে। এখানে তাদের বরণ করে নেন সভাপতি সালাউদ্দিন। এরপর শুরু হয় সংবাদ সম্মেলন!
সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন এই ফুটবল দলকে পরবর্তী পর্যায়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। দক্ষিণ এশিয়াতো জয় হলো, এবার তার আশা সাবিনারা লড়বে এশিয়ার বিপক্ষে। এশিয়া জয় করে এলে ফুটবলার-কোচদের মঞ্চে জায়গা হবেতো? কারণ, যাদের কারণে এই সংবাদ সম্মেলন তারাই ছিলেন আড়ালে। সালাউদ্দিন নেপাল যাননি, যাননি বিমানবন্দর কারণ যাতে মেয়েরা ঠিক লাইম লাইট যেন পায়। কিন্তু নিজেদের ডেরায়-ইতো মেয়েরা ছিল আড়ালে।