মৃত্যুর ৪০ দিন পর গিনেস রেকর্ডের স্বীকৃতি পেল সাভারের ‘রানী’
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪৮ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
গিনেস বুক রেকর্ডের অপেক্ষায় থাকা সাভারের আশুলিয়ায় খর্বাকৃতির গরু রানীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর ৪০ দিন পর বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে সেই রানী।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সাভারে চারিগ্রাম এলাকার শেকড় অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মো. আবু সুফিয়ান।
এর আগে, সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ তাকে একটি ই-মেইলের মাধ্যমে গিনেস বুকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে৷
শেকড় অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান বলেন, গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা রানির পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পাঠিয়েছিলাম।
ওরা মূলত দেখেছে, আমরা হরমন জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে রানিকে বামন করেছিলাম কি না? কিন্তু এ ধরনের কোনো কিছু তারা রিপোর্টে পায়নি। তিনদিন আগে ওরা রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে।
কিন্তু ওদের প্রসেসের কারণে বিলম্বে কাল আমাদের ই-মেইল করেছে। তিনি আরও বলেন, রানি আমাদের সবার অনেক আদরের ছিল।
প্রাণী হলেও রানিকে আমরা পরিবারের একজন করে নিয়েছিলাম। কিন্তু গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে যখন রানির নাম উঠতে আর কিছু দিন বাকি, তখন আমরা রানিকে হারিয়েছি। রানির মৃত্যু কোনোভাবেই ওই সময় মেনে নিতে পারিনি আমরা। তবে অবশেষে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ তাদের প্রসিডিউর অনুযায়ীই রানিকে বিশ্বের সবচাইতে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা সত্যিই অনেক বেশি আনন্দিত। তবে রানি বেঁচে থাকলে এ আনেন্দর মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যেত।
ভুট্টি জাতের এ গরুর উচ্চতা ২৪.৭ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ২৬ ইঞ্চি এবং ওজন ২৬ কেজি ছিল। ১১ মাস আগে নওগাঁর প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে রানিকে আনা হয়েছিল আশুলিয়ার খামারে।