আল্লামা শফির পদত্যাগ, থমথমে হাটহাজারী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:০২ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ১১:৩৫ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
একদল শিক্ষার্থীর আন্দোলনের মুখে হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক (মুহতামিম) পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি। বৈঠক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা সদস্যদের বৈঠকে আল্লামা শফি এই ঘোষণা দেন। তবে বৈঠকে তাকে হাটহাজারী মাদ্রাসার উপদেষ্টা হিসেবে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিনভর হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফিকে ‘সম্মানজনকভাবে’ অব্যাহতি দিয়ে নতুন একজনকে নিয়োগ, শফীর ছেলে আনাস মাদানিকে মাদ্রাসা থেকে অপসারণসহ ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন মাদ্রাসার একদল শিক্ষার্থী।
এক পর্যায়ে মাদ্রাসার সামনে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিয়ে মাদ্রাসার ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় মাদ্রাসার ভেতর ভাংচুরের অভিযোগও উঠে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুধবার রাতেই আনাস মাদানিকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মজলিশা শুরার এক বৈঠকে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপর ‘নির্যাতন’ বন্ধ করার অঙ্গীকারসহ কয়েকটি দাবি মেনে নেওয়া হয় বুধবারের ওই বৈঠকে।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে ফের বিক্ষোভ, ভাংচুর করেন একদল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে বিপুল পরিমাণ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। সন্ধ্যায় হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২৪ আগস্ট কওমি মাদ্রাসাসমূহের কিতাব বিভাগের কার্যক্রম শুরু ও পরীক্ষা গ্রহণের জন্য কতিপয় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি প্রদান করা হয়।
‘কিন্তু আরোপিত শর্তসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালিত না হওয়ায় চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার আল জামেয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসাটি পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নির্দেশক্রমে বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ’
তবে এতেও পরিস্থিতি শান্ত না হলে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ফের বৈঠকে বসেন হাটহাজারী মাদ্রাসার মজলিশে শুরার সদস্যরা। সেখানে আল্লামা শাহ আহমদ শফি তার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।