৩৫৮ জন পদোন্নতি পেলেও, পদোন্নতি পাননি আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম
                                    
                                    
                                        
                                            ডেস্ক রিপোর্ট
                                        
                                    
                                   
                                     প্রকাশ:  ১২:১৪ এএম,  ১৩ মার্চ,শনিবার,২০২১ | আপডেট:  ১০:১৪ এএম,  ৪ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৫
                                
                        
                    সহকারী সচিব থেকে উপসচিব হিসেবে ৩৫৮ জনকে পদোন্নতি দিয়েছে জনপ্রশানস মন্ত্রণালয়। পদোন্নতি পাননি সিনিয়র সহকারী সচিব শতাধিক সফল অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া আলোচিত র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম।
গত রোববার (৭ মার্চ) প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে পদোন্নতি পেয়ে উপ-সচিব হয়েছেন ৩৫৮ জন কর্মকর্তা। দুটি প্রজ্ঞাপনে ৩৩৭ জনকে পদোন্নতি পেয়েছেন। বাকি ২১ জন কর্মকর্তা শিক্ষা ছুটিতে থাকায় তাদের নামে প্রজ্ঞাপন জারি না হলেও নিয়মানুযায়ী প্রত্যেকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে।
সারোয়ার আলম বিসিএস ২৭তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারে ২০০৮ সালের নভেম্বরে যোগ দেন। ২০১৪ সালের ১ জুন সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পান। এ পদে ১২ বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত। যা পদোন্নতির শর্ত পূরণ করে। তার বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় অভিযোগ নেই। এরপরও সারোয়ার আলমের পদোন্নতি না হওয়ায় অনেকে হতাশ প্রকাশ করেছেন।
বিসিএস ২৭তম ব্যাচের সারোয়ার আলমসহ প্রায় ৩০ কর্মকর্তা পদোন্নতি পাননি। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, যারা যোগ্য সকলেই পদোন্নতি পেয়েছেন। সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড সবকিছু বিশ্লেষণ করে যোগ্যদের পদোন্নতি দিয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আলিয়া মেহের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়।
সারোয়ার আলম ২০১৫ সাল থেকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি খাদ্যপণ্যে ভেজাল বিরোধী আন্দোলন ও দুর্নীতি বিরোধী বিশেষ অভিযানের সময় ব্যাপক সাহসী ভূমিকা রেখে আলোচিত হয়েছেন। যুবলীগ নেতা ক্যাসিনো ইসমাঈল হোসেন সম্রাটসহ ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন বড় নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে সারা দেশে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার এ কৃতি সন্তান। সর্বশেষ হাজী সেলিমপুত্র ইরফান সেলিমকে মদ্যপ অবস্থায় গ্রেফতার ছিল সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা।
ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারির পর অনেকেই আমাকে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমার পদোন্নতি হয়নি অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না বলে আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তারা অবাক হয়েছেন। তবে এটাই বাস্তবতা।


                                    
                                    
                                    
                                    
                                    


