আ.লীগের খবর প্রকাশ করলে দুই থেকে সাত বছর শাস্তি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ মে,
বুধবার,২০২৫ | আপডেট: ০৬:৪২ পিএম, ১৪ মে,
বুধবার,২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ১৬ নম্বর আইনের ধারা ২০-এর (খ) উপধারা (১)-এর দফা (ঙ)-তে বলা হয়েছে, ‘উক্ত সত্তা কর্তৃক বা উহার পক্ষে বা সমর্থনে যেকোনো প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ, কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা; অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ, সংবাদ সম্মেলন আয়োজন কিংবা জনসম্মুখে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করিবে।’
অর্থাৎ, এই আইনের আওতায় আওয়ামী লীগ এবং তার পক্ষে/সমর্থনে প্রকাশিত যেকোনো প্রচারণা, মিডিয়া কার্যক্রম, জনসমাবেশ, বক্তৃতা কিংবা বিবৃতি দেওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এ ‘সত্তা’ শব্দটি ব্যবহার করা হলেও, সেটি মূলত সংগঠন বা রাজনৈতিক দলকেই বোঝায়। তার ভাষায়, সত্তা শব্দের ইংরেজি হলো entity, আর রাজনৈতিক দলও একটি entity হিসেবে বিবেচিত হয়। সুতরাং, কোনো entity নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আগে থেকেই সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ ধারায় বলা ছিল।
তিনি আরও জানান, পূর্ববর্তী আইনে দলীয় কার্যালয় বন্ধ, সম্পদ জব্দ ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকলেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল না। তবে সংশোধিত অধ্যাদেশে দলটির যাবতীয় কার্যক্রম, এমনকি তাদের পক্ষে বা সমর্থনে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, এখন যেহেতু তাদের সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, এর অর্থ দাঁড়ায়- আওয়ামী লীগের কোনো সংবাদ, বিবৃতি বা প্রচারণা কোনো গণমাধ্যমেই প্রকাশ করা যাবে না।
শাস্তির বিষয়ে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এ কেবল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিষয়ই নয়, বরং এর মাধ্যমে গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের ওপর আইনি নিয়ন্ত্রণও কঠোর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারা ৯-এর (৩) উপধারায় আগেই টেলিভিশন, মুদ্রিত সংবাদ বা প্রচারমাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত সত্তার পক্ষে সংবাদ প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সংশোধিত আইনে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বনিম্ন ২ বছর এবং সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড, সঙ্গে আর্থিক জরিমানারও বিধান রয়েছে।