বাবুনগরী, মামুনুল ও ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে দুদক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:১৬ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০৯:০৫ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৫

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে দুনীতি দমন কমিশন (দুদক)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের বিরোধিতা ও হুমকিস্বরূপ বক্তব্য দেয়াসহ সংবিধান অবমাননার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালত মামলা দুটি গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৭ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, সকালে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে একই আদালতে দুটি মামলার আবেদন জমা পড়ে। সেই দুই মামলার একটিতে বাবুনগরী ও ফয়জুল করিমকে আসামি করা হয়।
দুই মামলার মধ্যে একটিতে বাদী বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক এবং অন্য মামলাটির বাদী মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
অ্যাডভোকেট মশিউর মালেকের দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক সংগঠনটির ঢাকা মহানগর শাখার সমাবেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য তৈরির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়তে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে লাশের পর লাশ পড়বে। আবার শাপলা চত্বর হবে।’ মামুনুলের এমন বক্তব্যেল পর একটি শ্রেণি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে একের পর এক বক্তব্য দিচ্ছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে উত্তেজনাকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ এনে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১২০বি, ১৫৩ ও ১২৪ক ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার এ মামলা করেন অ্যাডভোকেট মশিউর।
অপরদিকে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তিন আসামি। জুনায়েদ বাবুনগরী ও মওলানা মামুনুলের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে সৈয়দ ফয়জুল করি গেন্ডারিয়ায় অনুসারীদের জড়ো করে তৌহিদি জনতার ব্যানারে সমাবেশ করে। সেই সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য মূর্তির সঙ্গে তুলনা করে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের উস্কানি দেয়া হয়।
মামলার আবেদনে বিএমএ মিলনায়তনে মাওলানা মামুনুল হকের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক মাহফিলে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, কোনও ভাস্কর্য তৈরি হলে তা টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেয়া হবে। তার এ বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
এর আগে, রবিবার (৬ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু ও সংবিধান অবমাননার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে এনে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জিশান মাহমুদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর এ আবেদন করেন।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

তরুণরা সক্রিয় থাকলে কোনো সমস্যাই অমীমাংসিত থাকতে পারে না : প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিএনপির ‘সদিচ্ছা’ দেখতে চায় এনসিপি, আজ ফের বসবে কমিশন

লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর আ.লীগের নেতা-কর্মীদের হামলার চেষ্টা

ভারতে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশিদের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত ঘোষণা
