avertisements 2

আমার নামেই নাম, কাজেই অনেক আনন্দ হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০:১৩ পিএম, ৮ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০৬:৪০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

দীর্ঘ ২৪ সপ্তাহের অত্যন্ত কঠোর ও কষ্টসাধ্য এ প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করে আনুষ্ঠানিক সর্বমোট ২ হাজার ৫২৪ জন রিক্রুট (নারী-পুরুষ) সৈনিকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ফায়ারার হয়েছেন হাসিনা আক্তার বিথি (বক্ষ নং-৬৮৭)।

শপথ গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এই নারী সৈনিককে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মেয়েরা যে ভালো ফায়ারার হতে পারে সেটি প্রমাণিত হলো। আবার নামটাও আমার নামেই নাম, কাজেই আমার অনেক আনন্দ হচ্ছে’। অবশ্য কথাগুলো বলার সময় প্রধানমন্ত্রী চমৎকার একটি হাসি হেসেছিলেন।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে (বিজিটিসিঅ্যান্ডসি) ৯৫তম রিক্রুট নবীনদের শপথগ্রহণ ও কুচকাওয়াজ আনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও টেলিকনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সব বিষয়ে সেরা নবীন সৈনিক হিসেবে (বক্ষ নম্বর-৪৩১) রিক্রুট মো. খোকন মোল্লাকে প্রথম স্থান অর্জন করায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পাশাপাশি (বক্ষ নং-৬৮৭) রিক্রুট হাসিনা আক্তার বিথি শ্রেষ্ঠ ফায়ারার হওয়ায় তাকেও অভিনন্দন জানাচ্ছি’।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ওয়েব মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। শীতের প্রকোপ বাড়ছে। আমেরিকা ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে করোনা আবার সংক্রমিত হচ্ছে নতুনভাবে। আপনারা প্রত্যেকেই নিজেরা সুরক্ষিত থাকবেন। আপনাদের পরিবারকে ও আপনার বন্ধুদের সুরক্ষিত থাকার নির্দেশ দেবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। অনেকে মাস্ক পরছেন না। ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। করোনার টিকা বা ভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেশে নিয়ে আসব। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। টিকা বা ভ্যাকসিন প্রাপ্তি ও বিতরণ সুষ্ঠভাবে করা হবে’।

তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস যাতে আমাদের কোনো ক্ষতি করতে না পারে, এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। করোনার ধাক্কা সামলাতে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। করোনারোগী শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ দফা নির্দেশনা জারি করি। ১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করি’।

‘করোনার ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা দিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, শ্রমিক ও দিনমজুরসহ ৫ মিলিয়ন মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২ হাজার ডাক্তার ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। করোনাকালে খাদ্য উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। কোনো খাদ্য সংকট হয়নি’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্ত পারাপারে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। বর্ডা গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের এক্ষেত্রে কঠোর হতে হবে। আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি।   সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে পারবো, ইনশাআল্লাহ’।

তিনি বলেন, বতর্মান আওয়ামী লীগ সরকার ১২ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন করেছে। দারিদ্র্যের হার এখন ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। মুজিববর্ষে সবাই বিদ্যুৎ পাবে। গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছি। কেউ গরিব-গৃহহীন থাকবে না। পদ্মাসেতু নির্মাণ করছি। মেট্রোরেল ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। ২০২১-২০৪১ এই ২০ বছর মেয়াদী নতুন প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2