নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে দেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে : ইসি আনিছুর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৬:১৭ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান। আজ রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি বলেন, ‘সমগ্র বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা যদি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে না পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
বাংলাদেশের আর্থিক, সামাজিক, ব্যাবসায়িকসহ সব কিছু থমকে যাওয়া আশঙ্কা রয়েছে।’
ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, ‘মাত্র ছয় দিন বাকি। সপ্তম দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা শুধু আমাদের দৃষ্টিতে এই নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন বললেই হবে না।
নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করার জন্য আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ৮৩৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব পালন করার জন্য সরকার নিয়োজিত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, নির্বাচনকে যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠু, অবাধ এবং অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে ২৮ নভেম্বর থেকে আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করে যাচ্ছেন।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টার কোনো শেষ নেই। আমরা সব ধরনের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে মাঠে কাজ করব। তবে অন্যান্য যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় এখনো পর্যন্ত সহিংসতা খুব কম হয়েছে। সাথে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘনও তুলনামূলক কম হয়েছে। তাতে আমরা তো আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। আমরা চাচ্ছিলাম আরো কম হোক। সম্ভব হলে এটা জিরো টলারেন্সে নেওয়া উচিত ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘সারা দেশে দুই হাজারের ওপরে প্রার্থী আছেন। যাঁদের সবার মানসিকতায় ভিন্নতা রয়েছে। এলাকাভিত্তিক মানুষের ভিন্নতা রয়েছে। কোনো জায়গায় ছোট একটি ইস্যু নিয়েও বড় সমস্যা হয়ে যায়। এসব কারণে আমরা মনে করি, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য আপনাদের (এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের) ভূমিকা পালন করতে হবে। আপনারা আগামী পাঁচ দিনের জন্য নিয়োজিত হবেন। এই সময়ে আপনাদের মূল কাজ হবে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা। বিশেষ করে ভোটের আগে-পরে অনেক সময় মিথ্যা সংবাদও পাওয়া যায়। এসব বিষয়ে নিরপেক্ষতা এবং দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’