একজন গরীব আমলা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:৫৪ পিএম, ৩ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০৬:৪০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
গরীব আমলার স্ত্রী ২০০ কোটি টাকার মালিক, নিউইয়র্কে তিনটি ,কানাডায় দুটি বাড়ী! ১৯৮২ ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা। স্বেচ্ছায় অবসর নেন ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর। এরপর উত্তর আমেরিকাই তার ঠিকানা।
কখনো নিউইয়র্কে কখনো কানাডায় থাকেন। পেনশনের টাকা উত্তোলনের আবেদনে নিজেকে অর্থকষ্টে থাকা গরীব অবসর প্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। অথচ তার স্ত্রী রাখি মিত্রের নামে নিউইয়র্কে তিনটি বাড়ী আর কানাডায় দুটি বাড়ী রয়েছে।
২ মিলিয়ন ডলার নগদ পরিশোধ করে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা এবং ফরেস্ট হিলে তিনটি বাড়ী কিনেছেন। কানাডার টরেন্টোতে ৩ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার দিয়ে বাড়ী কিনেছেন দুটি।নিউইয়র্কে নাসির আলী খান পলের কাছ থেকে প্রথম বাড়ীটি কেনেন ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। ঐ বাড়ীর মূল্য ৭৬০,০০০ ডলার (বাংলাদেশী টাকায় ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা) নগদে ক্রয় করেন।
বাড়ীর ঠিকানা ৮৭-৩০ ১৬৯ স্ট্রিট কুইন্স। দ্বিতীয় বাড়ী (৮৫-২৭, ১৬৮ প্লেস, জ্যামাইকা) কেনেন ঐ বছরের ডিসেম্বরে। ঐ বাড়ীর মুল্য ৭৮৫,০০০ ডলার। ঐ অর্থও নগদে পরিশোধ করা হয়। ১১৩,৮১ এভিনিউ কিউ গার্ডেনস ঠিকানার তৃতীয় বাড়ী কেনেন ২০১৮ সালের ১২ জুন। ইয়েলেনা সেডিনার কাছ থেকে ঐ বাড়ী কেনা হয় ৭ লাখ ৭৫ হাজার ডলারে।
২০১৭ এর নভেম্বরে অবসর গ্রহনের মাত্র দুমাসের মধ্যে কানাডার টরেন্টোতে কেনেন ১৪ লাখ ডলার (কানাডিয়ান) দিয়ে একটি বাড়ী। সর্বশেষ গত বছর টরেন্টোতেই ৯ লাখ কানাডিয়ান ডলার দিয়ে কিনেছেন আরো একটা বাড়ী। বিডি মিত্রের জন্মস্থান হবিগঞ্জ। ১৯৮৬ সালের ২৭ অক্টোবর তিনি সরকারী চাকরীতে যোগদেন।
২০১২ সালে তদ্বির করে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে ইকোনমিক মিনিষ্টার পদে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে দেশে এসে তিনি খাদ্য বিভাগে ভারপ্রাপ্ত সচিব হন। চাকরী জীবনে যেখানেই গেছেন সেখানেই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। কিন্তু এসব অভিযোগের পরও তিনি সচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পেয়েছেন।
সরকারী হিসেব অনুযায়ী তার বিদেশে সম্পদের পরিমান প্রায় ২০০ কোটি টাকা। বিডি মিত্র অধিকাংশ সময়ে নিইইয়র্ক এবং কানাডায় থাকেন। তবে মাঝে মধ্যে দেশে থাকেন। তার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির মামলা নেই।