ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’: বাংলাদেশে প্রভাব পড়বে কতটুকু
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:৫৭ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
ছবি : সংগৃহীত
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে ভারত-পাকিস্তান উপকূলে আজ সন্ধ্যায় আঘাত হানবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ভারতের গুজরাটের কুচ, সৌরাষ্ট্র বিভাগে এটি আঘাত হানবে বলে জানায় ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)। বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়তে পারে কি না, এ বিষয়ে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে। তাই, এর কোনো প্রভাবই বাংলাদেশের ওপর পড়বে না।
এদিকে আজ ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রাজশাহী, যশোর ও খুলনা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা ও বরিশাল বিভাগসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দেশের অন্যান্য জায়গায় তা সামান্য কমতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গা, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গা, রংপুর ও খুলনা বিভাগের কিছু জায়গা এবং রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়া হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গুজরাটের উপকূলীয় ও নিচু এলাকা থেকে ৭৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অরেঞ্জ এবং ইয়োলো অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ‘অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’-এর প্রভাবে উপকূলে ১৩০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে বাতাস বইতে পারে এবং গুজরাটের কুচ, দেবভূমি দরগা ও জামনগরে অতিবৃষ্টি হতে পারে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সিন্ধু প্রদেশের উপকূলীয় এলাকা থেকে ৬৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শেরি রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় এটি তাদের কেটি বন্দরে আঘাত হানতে পারে।
যদিও আরব সাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড় ভারতের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের করাচিতে সরাসরি কোনো আঘাত হানবে না বলে জানায় ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)।