ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না, সংস্কার হবে: আইনমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ মে,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ১২:২৫ পিএম, ১৪ জুলাই,সোমবার,২০২৫

ফাইল ছবি
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল হবে না, তবে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আইনটি সংস্কার হবে বলে জানিয়েছেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আইনটি সংস্কারে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার (০৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ‘অধিকারের ভবিষ্যৎ গঠন (শেপিং এ ফিউচার অফ রাইটস)’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ডে, ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের ইনচার্জ সুজান ভাইজ, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. গীতি আরা নাসরিন, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল হবে না। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ আইন সংস্কার হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে সরকার কাজ করছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমস্যা দূর করে এটাকে সর্বসাধারণ আইন করা হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কখনোই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করবেন না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য প্রণয়ন করা হয়নি। এটা সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছে।
বর্তমান সরকার মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাসী উল্লেখ করে আনিসুল হক আরও বলেন, সরকার গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা করছে না।
এসময় ড. গীতি আরা নাসরিন বলেন, বেশি গণমাধ্যম থাকলেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে না, সেটা আমরা দেখছি। সবচেয়ে জরুরি মুক্তভাবে কাজ করতে পারা। বিভিন্ন গবেষণা এসেছে, যে দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বেশি, তথ্যের প্রবাহ বেশি সে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়নি।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

আবু সাঈদ-মুগ্ধদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করতে হাইকোর্টের রুল

হঠাৎ কোটা ব্যবস্থা নিয়ে ফেসবুকে আসিফ নজরুলের পোষ্ট

এনবিআরের আন্দোলন ছিল সরকারবিরোধী, লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক ক্ষতির

আল জাজিরার প্রতিবেদন: হাসিনার পতনে ভূমিকা রাখা র্যাপ-মিম কি নতুন রাজনৈতিক আবহের জন্ম দিচ্ছে?
