‘বাসযোগ্য ঢাকার জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি’
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:১০ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নগরায়ন হতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে দুই দিনব্যাপী ঢাকা উত্তর সিটি স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ার ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, 'বাসযোগ্য ঢাকার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পয়োনিষ্কাশন, খোলা জায়গা, খেলার মাঠ থেকে শুরু করে জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।'
উন্নত বিশ্বের উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'জাপান, সিঙ্গাপুরের মতো দেশও একসময় এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল এবং তারা সফলভাবে তা মোকাবেলা করে স্মার্ট নগর গড়তে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমস্ত বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে আমরাও বাসযোগ্য ঢাকার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। বাসযোগ্য ঢাকা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধান আজ চিহ্নিত। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও অংশগ্রহণের ফলে সমস্যা এবং সমাধানের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা গেলেই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। যত্রতত্র, খেয়ালখুশিমতো স্থাপনা তৈরির সংস্কৃতি থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে।'
তিনি আরো বলেন, 'আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়ার সাথে সাথে ভোগ করার প্রবণতা বেড়েছে যার ফলে দৈনিক প্রচুর বর্জ্য এবং আবর্জনা তৈরি হচ্ছে। ঢাকা শহরে প্রতিদিন ৬ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এ বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনা না গেলে বাসযোগ্য ঢাকার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে।'
এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী নাগরিকদের ইতিবাচক মনোজাগতিক পরিবর্তনের উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, 'আইন ও নিয়মকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিকরাই উন্নত ও স্মার্ট নগরের প্রধান কারিগর।'
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নাগরিকদের সঠিক পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার বিষয়ে সচেতন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'সবার সচেতনতা এবং সহযোগিতা থাকলে বাসযোগ্য ঢাকা গড়া সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালে পয়োনিষ্কাশনের জন্য ঢাকা শহরকে পাঁচটি ক্যাচমেন্ট এলাকায় ভাগ করেন কারণ দুর্বল পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা বাসযোগ্য ঢাকার অন্তরায়।'
অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত কিংডম অব নেদারল্যান্ডস এর রাষ্ট্রদূত এ্যানে ভ্যান লিউয়েন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আনিছুর রহমান মিঞা, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, ইউনিসেফ, বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সেলডন ইয়েট, নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, সাবেক সচিব হেদায়েতুল্লাহ মামুন এবং বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুর রহমান।
এ সময় ঢাকার পয়োপনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও সমস্যার সমাধানকল্পে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় এতে ঢাকা শহরের নাগরিক সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থার দপ্তর প্রধানগণসহ নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।