বছর না যেতেই ফোর লেন সড়কের অবস্থা হয় ছেঁড়া কাঁথার মতো: সেতুমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৮ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ১২:৩৭ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ফাইল ছবি
দেশের বিভিন্ন স্থানের চার লেন সড়কের নির্মাণ মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দুই বছর পরে সংস্কার করতে হচ্ছে। নবীনগর-চন্দ্রা ফোর লেন সড়ক এক বছর না যেতেই ছেড়া কাঁথার মতো জোড়াতালি অবস্থা? এই ফোর লেন দিয়ে কী হবে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের লট নং-ডিএস-৫ এর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নির্মাণ মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন করে কোনো প্রকল্প নয়, যেসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তা যথাযথভাবে শেষ করতে হবে। যেনতেন ভাবে কোনো কাজ করা যাবে না। প্রতিটাই কাজই হতে হবে মানসম্মত। মানসম্মতভাবে কাজ না হলে টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই নতুন কাজ নয়, মানসম্মত কাজের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের কাজের মতো কাজ করতে হবে। কোয়ালিটির বিষয়ে প্রথমে নজর দিতে হবে। আমাদের রাস্তুাগুলোকে রক্ষা করতে হবে। ২৮টি লোড কন্ট্রোল স্টেশন হওয়ার কথা। কিন্তু এটা কবে হবে কেউ জানে না।
তিনি বলেন, এজন্য এডিবিকে বারবার ঋণ দিতে অনুরোধ করেছিলাম। সিলেট আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কানেকটিভিটি। অনেক চেষ্টার সবুজ ফসল ঢাকা-সিলেট ছয় লেন। সিলেটের মানুষ আজ সব থেকে বেশি খুশি হবে কারণ ছয় লেন কাজ হচ্ছে।
খানাখন্দের ভোগান্তির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী বলেন, ফোর লেন সড়ক নির্মাণে কোয়ালিটি (মান) ঠিক হচ্ছে না। ফোর লেন দুই বছর পরে সংস্কার করতে হচ্ছে। আমাদের এই ফোর লেন করে লাভ কী? ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কও দুই বছর পরে সংস্কার করতে হচ্ছে। এজন্য আবার আলাদা প্রকল্প নিতে হচ্ছে। নবীনগর-চন্দ্রা ফোর লেন সড়ক এক বছর না যেতেই ছেড়া কাঁথার মতো জোড়াতালি অবস্থা? এই ফোর লেন দিয়ে কী হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা-সিলেট ফোরলেন সড়কে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এরমধ্যে এডিবি ঋণ দিচ্ছে ১৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এডিবি আর সরকার মিলে কাজটা করা হবে। ভালো ঠিকাদার এই কাজ পেয়েছে আশা করি সময়মতো শেষ করবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উেপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রিন্সিপাল রওশন আরা মান্নান এমপি, দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং, প্রকল্পের পরিচালক এ কে মোহাম্মদ ফজুলল করিমসহ অনেকেই।