বিশ্বের দীর্ঘতম প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’ সুন্দরবন দিয়ে, মোংলায় ভিড়বে আজ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:৩৫ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
ছবি সংগৃহীত
ভারতের প্রমোদতরী এমভি গঙ্গা বিলাস এখন সুন্দরবনে। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুন্দরবনের নৌ-সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোংলা বন্দর জেটিতে ভিড়বে। সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের নৌপথে ভ্রমণকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের একটি টিম রয়েছে। গত ১৩ জানুয়ারি এর উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব কালাচাঁদ সিংহ বলেন, বঙ্গ বিলাসে করে বিদেশি টুরিস্টরা সুন্দরবন ও বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখবেন। শনিবার দুপুর ২টার দিকে মোংলা বন্দরের জেটিতে ভিড়বে। সেখানে অভ্যর্থনা জানানো হবে।
জানা গেছে, গঙ্গা বিলাসে অধিকাংশই সুইজারল্যান্ডের নাগরিক রয়েছে। তারা মোংলা বন্দর থেকে সড়কপথে খানজাহান আলীর মাজারসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করবেন। পরে মোংলা জেটি থেকে আবার নৌপথে রওনা হবেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে মোংলা বন্দরের ৬ নম্বর জেটিতে ভিড়বে বিলাসবহুল পাঁচ তারকা মানের এ জাহাজটি। মোংলা বন্দর জেটিতে প্রমোদতরী ও বিদেশি পর্যটকদের স্বাগত জানাতে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহামুদ চৌধুরী, ভারতীয় হাইকমিশনার ও মোংলা বন্দর চেয়ারম্যানসহ পদস্থ কর্মকর্তারা অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গঙ্গা বিলাস সুন্দরবনের আংটিহারায় প্রবেশের পর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর প্রমোদতরীটি সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থান করে। শনিবার দুপুরে এটির মোংলা বন্দর জেটিতে ভিড়বে।
বাংলাদেশে অবস্থানকালে গঙ্গা বিলাস খুলনা জেলার কয়রার আংটিহারা হয়ে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে প্রবেশ করে মোংলা বন্দর হয়ে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ, খানজাহান আলীর মাজার এলাকা ঘুরবেন বিদেশি পর্যটকরা। পরে নৌপথে বরিশাল হয়ে মেঘনা ঘাটে অবস্থান করে সোনারগাঁও ও ঢাকায় ভ্রমণ করবেন প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাসের যাত্রীরা। পরবর্তীতে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ হয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী ও রংপুরের দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ করবেন পর্যটকরা। পরে চিলমারী থেকে ভারতে প্রবেশ করবে। গঙ্গা বিলাসের দেশের অভ্যন্তরে থাকাকালীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ প্রটোকল রুটের নাব্য রক্ষা, বার্দিং সুবিধা নিশ্চিতকরণ ও নৌপথ ব্যবহারের জন্য ভয়েজ পারমিশন প্রদান এবং ভয়েজ পারমিশনের সার্বিক মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবে।